Skip to main content

Full text of "Janmantar Tattwa"

See other formats


চা “বসতির ০ ১ ৪ 1 € 


৬১ ঠা 


৮১৬১১২১৪ ৬৬ ৪৯৬ 


5. 
মি 





১৮১১৮ 





পু 





১ 


ধর্্মকল্পদ্রম গুস্থমাল! ৪র্থ সংখ্য।। 


২১ 


২ 


২২১৮ "9 





ক 
পা 





ঞঁ 


শি 


১৮১১৮৯,৪২ 


চি 


»উ 8৮: 






কী 
১৬ 
ম্প্ঞ্ 





স্ধী রঁচ 
করিনা 
(০৫ 
০ 


২ 
ভরি দিদি ঘর € লরি পর ফরয 





৮2 টং 


শুক আও 


৬৭১ 





৯ 





.& 


২১২1%০০, | 
১/১নং কেদার বস্থর লেনস্থ হিতৈষী যক্ত্রে 
শ্রীভূপতি রায় চৌধুরী কাব্যতীর্থ 
কতৃক মুদ্রিত । 








ক ৩ ০ 


(৪র্থ সংখ্যা 









তি 


মশলা লাাপশ 


২৯ 
ভবঙ্গধন্মম গুল শাস্ত্র প্রকাশ ক 
৯২নং বহুবাজার শ্রী, কলিকাত। । 


সন ১৩২৭ সাল। 


[ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত 


সূচী পত্র। 
অবতরণিক! 
ৃষটিহেতু ট 
ঈশ্বরের গয়োজন 
জীবের জন্ম 
জীবের গতি ..* 


পা 


১৪৪ ১৭ 


৮৯ ২৩ 





স্প্প” াীপটি টি ও ৮৮৮৮ ) 


১1 

. অবতরণিকা। 
আমি মরিয়া! কোথায় বাইব ? এই প্রশ্ন সুখী দুঃখী, বিন্‌ অফিহপ্সোইং 
চিত্তে আপনা! আপনিই উিত হইয়া থাকে । উদ্দাম ইনি প্রবৃতির বতুতা" 
হইয়া যিনি বৈষয়িক স্তুথকেই সার্থক মনে করিয়াছেন, প্রকৃতির অবশ্থস্ভাবী 
পরিণামজনিত প্রতিক্রিয়ার সময় তিনিও একবার নয়নোম্নীলন করিয়! ভাবিয়া 
থাকেন “আমার এইরূপেই কি চিরদিন কাটিবে, অথবা আমাকে আমার সমস্ত 
প্রিয়জনকে পরিত্যাগ করিয়া অন্ত কোন অদৃশ্য অননুমেয় লোকে গমন করিতে 
হইবে ?” ছুঃখীর জীবনের ত প্রত্যেক স্তরেই হুঃখের ঘাত প্রতিধাতৈ অদ্মাস্তর 
চিন্তা সততই উদ্দিত হইয়া থাকে। কারণ সে যদি বিষয়-স্থখ-মুগ্ধ প্রতিবেশীর 
মধ্যে বাস করিয়৷ নিজের অনন্যসাধারণ ভীষণ হঃখের মূলে প্রাক্তন হৃষ্কৃতি দেখিতে 
ন! পায়, তবে তাহার ছুঃখানল দহামান হৃদয়ে শাস্তি-নুধাসিঞ্চন কে করিবে? 
কিরূপেই বা সে সংদারে ছুঃখের গুরুভার বহন করিবে? এইরূপ অবিদ্বান 
মুর্থের মনে যে প্রকার পরলোকের প্রতি বিশ্বাস স্বাভাবিক, সেই প্রকার যিমি 
ন, ধীহার হৃদয়াকাশে জ্ঞানালোক উদ্ভাসিত হইয়াছে, যিনি আত্মাকে 
লী নিত্য বস্ত এবং মৃত্যুকে শিদ্রীর রূপান্তরমাত্র বলিয়া বিশ্বাস ও 
অনুভব ,করেন, তিনিও জীবের প্রতি ক্ৃপাঁপরবশ হইফ্া জন্মাস্তর রহস্তকে একটি 
অবগ্তমীমাংসিতব্য বিষয়রূপে হৃদয়ে স্থান দেন। অতএব জ্ঞানী, অজ্ঞানী সকলের 
পক্ষেই জন্মাস্তররহস্ত একটি অপূর্ব আলোচ্য বিষয় । এবং এইজন্তই আরধ্যশাস্ত্র 
ভিন্ন অন্তান্ত যে সকল ওপধম্মিক শাস্ত্রে জন্মাস্তরের অনাদিসিদ্ধ শৃঙ্খলা স্বীকৃত 
হয় নাই সেই সকল শান্ত্রেও মৃত্যুর পর কোন অদৃশ্তলোকে ভূজ্যান চিরানন্দময় 
অথবা চিরছুঃখময় জন্মান্তরীয় দশ! স্বীকৃত হইয়াছে । কেধল যাহারা, গুলপ্রভ্ক্গ 


২ অবতরণিকা । র 


এবং তন্স,লক অনুমান ব্যতীত অন্ত প্রমাণের প্রামাণ্য স্বীকার করে না, যাহারা 
অবিবেকী, প্রমাদাচ্ছনন, এন্দ্রয়িক স্থুখলালসার তৃপ্তিসাধন ভিন্ন যাহাদের জীবনের 
আর কোনই উদদেশ্ত নাই, এইরূপ কতিপয় অতি পাঁষগড বাক্তিই পুনর্ন্ম ও 
পরলোকের অস্তিত্বে বিশ্বীসস্থাপন করিতে কুষ্ঠিত হইয়া থাকে। আর্ধ্শান্তরে 
এই সকল ব্যক্তিকেই "নাস্তিক" বলা ভষটয় থাকে। যথা-_“পরলোকোহস্তীতি 
মতির্যস্ত সআস্তিকস্ত ব্পরীতো নান্তিকঃ”__কৈয়ট | 


অন্যান্য উপধর্ম্বের মধ্যে লোক-স্তরে তিরস্কার বা পুরস্কারের প্রসঙ্গ বণিত 
খাঁকিলেও বৈদিক ঘর্যাশাস্ত্ ভিন্ন অন্য কোন শান্তেন মধ্যেই পূর্ণভাবে ভন্মাস্তরের 
বিষয় আলোচিত ও নির্ণীত হয় না। প্রাচীন গ্রীক ও উভিপৃশিয়ানদিগের 
ধর্ম ও দশনগ্রন্থ অধায়ন করিলে পু জন্মে কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাঁয় বটে, 
কিন্তু অভ্যানপচিন্তীতেই উপলব্ধি হয়, যে তাগ বেদাদি শাস্থ সমূহের পুনম বিষয়ক 
উপদেশের বিকৃত গতিধ্বনিমাত্র এবং তাহা আর্মাশাস্্েব উপদেশও যথাযথভাবে 
হাদঃজম করিতে সক্ষম হন নাই ।* বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত বালফোর টয়ার্ট ও 
পি, জি' টে তাহাদের প্রণীত “অনূসিন্‌ ইউনিভাম্‌” নামক গ্রন্থে যগ্কপি মরণের পৰ 
কোন মা কোনরূপে অস্তিত্ব স্বীকার করাই মানবের নৈসগঠিক সংস্কান এবং সভাতার 
অন্তকূল সিদ্ধান্ত এইরূপ কথ। বলির়।ছেন, তথাপি পৃনর্জন্মের শাস্স-ব্যাখ্যাত স্বরূপ 
উ্[দেবও নল্লনে এখনও প্রতিভীত ভয় নাঈ1 আর্ধাশান্স মতে জন্মাস্তব রহস্ত 











*:11:. 76-17)027782512012 0 লটোাস 50606 2৮16 1768, : 1 19, 711 (116 
00125222052) 25010 লি 1701721011৮ 15616 115 1100 10161611- 
09501109518, ৮1010)7 7) €176117015280755০0 €০ 0116 [52%311918) টিটো 
05 1205001205 60 676 015618 চো10 10100 ৮23 80015৮91703 [)10- 
(65560 105 1106 10101150116 12৮ 26617106707, 


11106 21627721011 01 10201070012 2125 10611659021 801716 
18৭11101010 116 20006500015 2) (70 ০৭56171120] 171010101121115 
০1 চাট শো টিমাহট 2 ০01] ঢ2৮ আত টি0 20৫09 ৫1)016৯াড | 17 
11017 00061717165) ৮170 ৮6 17012110 €106100)161 £111110155 ৫ 10121019711, 
16:102.55 10076677106 08986101760. ৮৮116101702 196 [399511916 ০৮617 10 
170702106 (00216260010 06 05115060017 108৮ চাতা? 11101 317 2 
110816. 5026 06521565106 21 ৮6৮ 0 12€ 18(211760 ৮17৩ 1106৪ 
৩1 0111.260 2100 611-0706160 0023101117300 .--116 81756617 01715056, 


জন্মাস্তর-তন্ব। ৩ 


ছুক্দেয় হইলেও অঙ্ঞেয় নহে। কারণ লৌকিক স্থুলপ্রত্যক্ষ ও অনুমান প্রমাণ 
দ্বারা পরলোক ও জন্মান্তর-রহস্ত নিঃসন্দিগ্ধরূপে জান! সম্ভব না হইলেও অলৌকিক 
সুক্-প্রত্যক্ষ ও আধ্ে।পদেশ দ্বার! উহ! জন! যাইতে পারে । কাধ্যের কারণাঁধ- 
ধারণ এবং জন্মান্তবেব স্বরূর্পনরূপণ গ্রকুপ্রস্তাবে একই *কথা। জগতের 
কারণ অনুসন্ধান করিতে হুটলে ঈশ্বব, আত্মা, জীব, কর্ম, জড়শত্তি, পরমাণু 
ইত্যাদি পদার্থের তক্বান্বেদণ বরিতেই হয়। প্রতাক্ষৈক প্রনাণ পুরুষবৃন্দ কখনও 
দাশনিক পদবাচ্য হইতে পাবেন না; কারণ ছুল ইন্দ্িয়নিচয় স্থভাবতঃই অসম্পূর্ণ 
হওয়ায় কেবল লৌকিক স্ুল প্রত্যক্ষ দ্।র। কোন পদার্থের তন্বনির্য় হওয়া অসম্ভব । 
এবং অন্ুনান খন প্রতভোক্ষেরই অবলম্বনে অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে তখন অসম্পূর্ণ 
গপ্রত্তক্ষমূলক অসম্পূর্ণ অঙ্ুমান প্রমাণ দ্বারাও জন্মাস্তর রহস্ত কখনই পূর্ণভাবে 
উদঘাঁটিত হইতে পাবে না। অতএব জন্মান্তবতন্ধ বিষয়ে অলৌকিক সুঙ্মপ্রতাক্ষ 
এনং আপ্টে(পদেশই মথার্থরূপে প্রমাণ পদবাচা হইতে পারে । জগৎ কিরূপে সৃষ্ট 
ভইর়াছে, চেতন ও অচেন পদা্থদ্রেব স্বরূপ কি, জীবেব উৎপত্তি কিরূপে হয়, 
মরণেব পব ভীবের অস্তিত্ব থাকে কিনা, সংসারে দেখিতে পাওয়া ঘন 'কেহ জন্ম 
হইতেই চিরন্ুখী, কেহ চিবদুঃখী, কেহ জন্মান্ধ, কেহ কমলনয়ন, কেহ অনেক 
পরিশরন করিয়াও দরিদ্র, কেহ ব| সামান্য চেষ্টাতেই ধনকুবের, কেহ চিররোগী ও 
বিকলাঙ্গ, কেহ সুস্থকাঁয় ও অবিকলাঙ্গ কেহ পবিশ্রম করিরাও শিবিকাবহন 
কনিতেছে, কেহ বিনা পরিশ্রমে শিবিকার আরোহণ করিতেছে এরপ স্থষ্টি- 
বৈধনোর কারণ কি? নিষ্পক্ষপাত করুণাময় পরমাআীর রাজো এরূপ পক্ষপাত 
কেন? কেবল স্কুল প্রতাক্ষেব শরণ গ্রহণ করিলে এ সকল প্রশ্নের কিছুতেই 
[সমাধান হঈটতে পারে না। ক্রমবিকাশবাদিগণ এই সকল প্রশ্নের সন্তোষজনক, 
সংশয়-বিরহিত উত্তর প্রদীন করিতে পারেন না। শোক-সম্ভপু-হদয়ে শাস্তি-ধাঁ 
সিনের শক্তি স্থুল গ্রত্যক্ষবাদের নাই । অগুসমূহের পরম্পর সংযৌগ হইতে জীবের 
জন্ম হয়, চতুভূ'তের সংঘাতই জীবত্বের কারণ, আবার উহাদের বিশ্লেষণই মরণ- 
বিকার, কোন বিজ্ঞ বাক্তিই এইরূপ কথা! শুনিয়া তৃপ্তিলাভ করিতে পারেন না। 
প্রবল যুক্তির দ্বারা পরাজয় হইলেও অন্তর্ধামী ইহা মানিতে প্রস্তুত হন না। 
একবারে বিবেকের কণ্ঠমর্দন না করিলে কেহই উপর কথিত যুক্তিজালে সন্তোষ ও 
শান্তিলাভ করিতে সমর্থ হয় না। ক্ষুদ্রতম জীব হইতে মনুষ্য পর্যাস্ত সকলেই ষে! 


$ অবতরণিকা । 


নিষ্ধ নিজ অস্তিত্ব রক্ষার অন্ত সদা সচেষ্ট, 'মরণের পর তাহ! আর থাকিবে ন1। 
এত ঢেষ', এন্ড পুরুতার্থ, পুণ্যের জন্য তপঃসাধন, ক্ুচ্ছ ব্রত, ইন্জিয় সংযম, বিষ্ভালাভ 
সকলই মরণীস্ত স্থায়ী, পঞ্চভূতের সঙ্গে সঙ্গে অনন্ত শুন্তে চিরবিলীন হইয়া! যাইবে, 
কোন্‌ ধীরমস্তিষ্ষ ব্যক্তি এরূপ প্রগল্ভ বিশ্বাসকে প্রপ্টত প্রস্তাবে হৃদয়ে স্থান দিতে 
গ্রস্ত £ যাহীর প্রতি জীবের এত মমতা, তাহার একেবারে বিনাশ হইবে, 
এ চিন্তা বোধ হয় জীবমাত্রেরই হৃদয়ের বাধাপ্রদ্দ। মরণের পর কোন মা 
কোনরূপে আমার অস্তিত্ব থাকিবে, অধিকাংশ মনুষ্যের হৃদয়ে এব্প্রকার বিশ্বাসই 
শ্বভাঁবতঃ স্থান পায়। স্পষ্ট বা অস্পষ্ট ভাবেই হউক, আত্মার অনশ্বরত্ব বাদের 
পক্ষপাতী হওযাই মানবের পক্ষে নৈসগিক। এই নিসর্গসিদ্ধ আকাজ্ষাকে অবলম্বন 
করিয়াই আপগ্রপুরুষ যোগী জ্ঞানী অতীন্দ্রিয়দর্শী মহধিগণ জন্মাস্তরের রহস্ত দর্শনে 
যোগনেত্র উন্মীলিত করিয়াছিলেন এবং তীহাদের অতিমান্নম গবেষণার ফলেই 
আর্ধ্যশান্ত্র জন্মাস্তর বাদের অলৌকিক রহস্তে পূর্ণ হইয়াছে । তন্ঠান্ত জাতির 
মধ্যে লেঁকিক বৃদ্ধিবৃত্তির চরম হুক্ষ্মতা সাধিত হইলেও যৌগ-লভ্য অতীন্দিয় দৃষ্টি ও 
অলৌকিক “খতস্তরা প্রজ্ঞালন্ধ হয় নাই। এই জন্যই জন্মান্তর ও পরলোক 
সন্বন্ধে অন্ঠান্ঠ জাতির মধোে এখনও মানবগণ সন্দেহদৌলায় আন্দোলিত 
ভইতেছেন। আর আমাদেব অনন্তাৰতার মহযি পতজলি সমস্ত সন্দেহকে নাশ 
করিয়া সত্যের গন্ভীর নির্ঘোষে ফোগদর্শনে বলিভেলেন-_ 

“সংস্কীরসাক্ষাংকরণাৎ পূর্ধবজাতি জ্ঞানম্”-_বিভূতিপাঁদ ১৮ স্থঃ 
/ যোগিন্‌! "তুমি চিন্তা করিতেছ কেন, দংস্কারেরর উপর মংযম করিতে শিখ। 
“তুমি পূর্ববজন্মে কি ছিলে. কোথায় ছিলে সবই অলৌকিক যোগবলে করতলামলকবৎ 
তোমার নয়নগোচর হইবে। তুমি ইহ্াও এ যৌগবলে জানিবে যে-_ 

"ক্রেশমূলঃ কর্ম শয়ে। দৃটাদৃইজন্মবেদণীয়ঃ 1৮ যো. দ. দ্বিতীয় পাদ। 

“সৃতি মূলে 'তদ্িপাকো জাত্যাবুক্ভাগঃ ।৮ যো, ঘ, দ্বিতীয় পাদ । 

জীবের প্রাক্তন কর্মই সকল র্রেশের মূল। এ জন্মে বা পর জন্মে উহার 

ভোখ্ব হইয়া থাকে। উহার দ্বার ভিন্ন ভিশন জাতির মধ্যে জীবের জন্ম হয়, 
এবং জীবিত কাল ও সুখছুঃখাদি ভোগও প্রাক্তন কর্মের দ্বারা নিদ্ধীরিত হইয়! 
গ্রাকে। আূতএব জীবের জন্ম জন্মান্তর লাভ নানাবিধ কর্মের দ্বারা হয় কিন! 
এজন বাঁদবিবাদ্ধ বা.বিহগাঁর কোনই প্রয়োজন নাই, কেবল সাধনার দ্বারা 


জধুপগ্তর- তত । ৫ 


অতীন্দ্রিয় দৃষ্টিলাভ করিতে পারিলেই জন্মাস্তর রহস্ত স্বয়ং জ্ঞানীর নেনে গ্রতিতাভ 
হইয়া থাকে । মহাভারতের অশ্বমেধপর্কবের ১৭ অধ্যায়ে লেখ আছে-__. 
যথান্ধকারে খগ্যোতং লীয়মানং ততস্ততঃ। 
চক্ষুম্মস্তঃ প্রপশ্াস্তি তথ৷ চ জ্ঞানচক্ষুষঃ ॥ 
পশ্ঠন্ত্যেবংবিধং সিদ্ধা জীবং দিবোন চক্ষুষা । 
চযবস্তং জায়মানঞ্চ যোনিং চান্বপ্রবেশিতম্‌ ॥ 
যেমন নেত্রান্ত পুরুষ অন্ধকার রাত্রিতে থগ্োৎ্গণকে এদিকে ওদিকে ভ্রমণ 
করিতে ও বুক্ষীদিতে বসিতে দেখেন সেই প্রকার জ্ঞানদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধ মহাত্মাগণও 
দিব্যচক্ষুর দ্বারা জীবকে পূর্বশরার ত্যাগ করিতে এনং অন্য যোনিত্বারা অন্ত 
শরীরে প্রবেশ করিয়া জন্মাত্তর লাভ করিতে দেখেন। শ্রীভগবান্‌ গীতারও 
১৫ অধ্যায়ে লিখিয়াছেন__ 
উৎক্রামন্তং স্থিতং বাপি ভুগ্জানং বা গুণান্বিতম্‌। 
বিমুঢ়া নানুপশ্রান্তি পত্তন্তি জ্ঞানচক্ষুষঃ ॥ * 
বিষয়ভৌগশীল ত্রিগুণতরজায়িত জীবাআ্মাকে দেহে অবস্থানকালে অথবা এক 
দেহ হইতে নির্গত হইয়া অন্য দেহে বেশ করিবার সময় অজ্ঞানী পুরুষগণ 
দেখিতে পায় না, কেব্ল জ্ঞননেত্র মহাত্মাগণই দেখিতে পান। অতএবম্বুঝ! 
গেল যে অলৌকিক যোগদৃষ্টির দ্বারাঁট জন্মান্তর বতত্ত জান! যাইতে পারে। 
সদ্গুরুর কপীয় ধাঁহাব জ্ঞননেত্র প্রদু্ঠত ক সেই ভাগ্যবান্‌ সাধকই 


ক 


ভীবের জন্ম জন্মান্তরের রহবর্ণন করিতে সন্থ হন। উহা! যেমনই কঠিন, 
তেমনই পরম কৌতুহলোদ্দ।পক | বিশেব৩ স্বৈচিত্রাময় কলিযুগে জীবের 


বৈচিত্রাপূর্ণ গহনগতি দেখিরা প্রায় সধ্চলা মনেই পবলোকের কথা জানিতে 
অভূতপুর্ধ আকাজ্ষা হইরাছে। এ: হেত অদগুর-বধপাপ্রাপ্ত অতি নিগৃঢ় জন্মাস্তর 
রহস্ত কখ! দেশকালপাত্রের অগ্ুকুলতাবে।ধ বর্তমান গ্রন্থে বিশদতাবে আলোচিত 
হইবে। ইহার দ্বার ধশ্মপ্রাণ জিজ্ঞাস্থগণের কোতৃহলনিবুত্তি, তত্বজ্ঞান এৰং 
মমুষ্যজীবনের পন্থা নিণীত হইলে শ্রম সবল জ্ঞান করিব । 


সৃষ্টিহেতু। 


জন্মান্তরের কথ৷ বলিতে হইলে প্রথমতঃ জন্মের কথা বলিতে হয়। স্থৃ্টি 
হইল কেন? কেণ্এত স্ৃষ্টি করিল? এরূপ অনন্ত সংগ্রাম, অনস্ত সুখতুঃখ ও 
অনস্ত বিচিত্রতীময় সংসারের উৎপত্তির কারণই বা কি ছিল? যদি পরমাস্বাই 
ইহার স্থষ্টিকর্তী হন তবে অনর্গক অনন্ত কোটি জীবকে এইরূপ জন্মমরণ চক্রে 
অনন্ত সুখভুঃখের সহিত ঘৃণিত করিয়া শাস্তিময়-সত্বীকে অশাস্তিময় করিবার 
তাহার প্রয়োজমই বাকি ছিল? তাহাকে ত শানে অনন্ত-শান্তিময় বলা হয়, 
তবে কেন তিনি এইরূপ অনন্ত অশাস্তিময় ছঃখময় বিশ্বের উৎপত্তি করিলেন ? 
ইহার দ্বার তাহার কি প্রয়োজন সিদ্ধ হইল? এই সকল প্রশ্ন আধ্যান্মিক পথে 
সামান্ত অধিকার লাভ ভইবাদাত্র প্রত্যেক সাঁধকেরই মনে স্বতঃই উদ্দিত হইয়া 
থাকে । এইজন্য থমতঃ স্ষ্টিব হেতৃনির্ণয় করা আনশ্তক | বেদাদি শাস্ত্রে 
সুষ্টিকে অনাদি অনস্ত বলা হইয়াছে যথা 

অন্য ব্রহ্ধাগরস্ত সমস্ততঃ স্থিতান্টে তাদৃশান্তনস্তকো টিত্রন্মাগডানি সাবরপানি জলত্তি। 

মহানারায়ণ উপনিবৎ। 

এই ব্রহ্গাণ্ডের চারিদিকে অনস্ত কোটি সাবরণ ত্রন্মাও দেদীপামান রহিয়াছে । 
আমর! ষে ব্রঙ্গাণ্ডে বাস করি উহাব কেন্দ্রশক্তি জ্যোতিদর্ণত। হুর্যাদেব। এ 
নূর্যদ্দেবের চারিদিকে অনেক গ্রহ প্রদক্ষিণ করিতেছে । এবং অনেক উপগ্রহ উক্ত 
গ্রহ সমুহকে প্রদক্ষিণ করিতেছে । আমাদের এই ব্রন্মাণ্ডে এ পর্য্যন্ত ২৪৮ গ্রহ এবং 
২* উপগ্রহ আবিষ্কত হইয়াছে । প্রত্যেক গ্রহ এবং উপগ্রহ কুর্য্য হইতেই আলোক 
প্রাপ্ত হইয়। থাকে। এ্রইন্ধপে ২৬৮টি গ্রহ, উপগ্রহ এবং কেন্ত্রস্থানীয় হৃর্য্যকে 
লইয়! আমাদের ব্রন্াণ্ড। এইরূপ 'মনন্ত কোটি ব্রহ্মা শুন্যমার্গে বিচরণ 
করিতেছে । দেবীভাগবতে লেখা মাছে - 

“সংখ্যা চেদ্রজসামস্তি বিশ্বেধাং ন কদাচন ।৮ 

বরং ধূলিকণীরও সংখ্য! হয় কিন্ত অনস্ত ব্রহ্মাণ্ডের সংখ্যা হয় না। লিঙ্গপুরাণে 

লেখা আছে-- 
কোঁটিকোট্যযুতানীশে চাগ্ানি কথিতানি বৈ। 
“ তত্র ত্র চতুর্বক্ত1 ব্রহ্মাণো হরয়ো৷ ভবাঃ ॥ 


+ জন্মাস্তর-ত | ৭ 


হাসংখাাতাশ্চ রুদ্রাখ্যা হাসংখ্যাতাঃ পিতামহাঃ | 
হরয়শ্চ হাসংগ্যাত। এক এব মহেশ্বরঃ ॥ 
কোটি কোটি ব্রন্দাও এই বিরাটের গর্ভে আছে। প্রতোক ব্রন্ধাণ্ডেই 
চতুমুখ ভদ্ষা, বিষুণ এবং রুদ্র আছেন। এইরূপে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডে অনন্ত ব্রহ্ধা. 
অনস্ত বিষুঃ এং অনন্ত রুদ্র আছেন। কেবল ঈশ্বরই এক। তিনি অগণিত 
্রহ্মাণ্ডে অদ্বিতীর় চেতনসত্তারূপে ব্যাপ্ত । এই সকল অনন্ত কোটি ব্রহ্গাণ্ডে 
অনন্ত কেটি জীব অবস্থিত। এ সকল ব্রহ্গাণ্ড কেন হইল, এত জীবই বা 
কি করিয়।! আদিল? এই প্রশ্নের উত্তরে মাওুক্যকারিকায় গৌড়পাদাচার্ধ্য 
লিখিয়াছেন-- 
বিভৃতিং গ্রসবং ত্বণ্ডে মন্তান্তে স্থপ্টিচিন্তকাঃ | 
্বপ্রমায়াস্বরূপেতি ক্িবন্যৈবিকল্পিতা ॥ 
ইচ্ছামাত্রং প্রভোঃ স্থপিস্থিতিস্থষ্টো বিনিশ্চিতাঃ | 
কালাৎ প্রহ্থতিং ভূতানাং মন্তযন্তে কালচিন্তকাঃ ॥ 
ভোগার্থং স্থষ্টিরিতান্ে ্রীড়ী "মিতি চাঁপরৈঃ | 
দেবস্তৈষ স্বভীবৌহ্যমাপ্তকামস্ত কা কথা ॥ ৯ 
সৃষ্টির হেতু নির্ণর করিবার জন্য কেহ বলেন যে পণণাত্ব! নিজের বিভূতি 
প্রকট করিবার নিমিন্ত স্থষ্টিরচন! করিয়াছেন । কেহ বলেন যে যেরূপ বিন! বিচীরেই 
অকন্মাৎ স্বপ্ন দেখ! যায়, সেই প্রকার জগতও অকম্ম1ৎ উৎপন্ন হইয়া থাকে । কেহ 
বলেন জগৎ মায়ার বিলাস মাত্র, কেহ পবমাকআ্মীর ইচ্ছাশক্তিকে সৃষ্টির কারণ 
বলেন, কেহ কালকেই জীবোৎপত্তির কারণরূপে নির্দেশ করেন, কেহ পরমাত্মার 
ভৌগের জন্ত এবং কেহ তাহার লীলার জন্ঠ স্থষ্টি হইয়াছে এই কথা বলেন। 
কিন্তু এই সমস্ত কল্পনাই মিথ্যা । কারণ আপ্তকাম ভগবানের কোনই ইচ্ছা হইতে 
পারে না। সৃষ্টি স্বভাবতঃই উৎপন্ন হইয়া থাকে । ইহার উৎপত্তির মূলে কোন 
কারণই নাই । এই জন্যই বেদ বলিয়াছেন-- 
যথোর্ণনাভিঃ স্থজতে গৃষ্থতে চ যথা পৃথিব্যামোষধরঃ »স্তবস্তি। 
যথা! সতঃ পুরুষাৎ কেশলোমানি তথ ক্ষয়াৎ সম্তবতীহ বিশ্বম্‌॥ 
যেরূপ উর্ণনাভ ( মাকড়সা ৫ প্রয়োজন ব্যতিরেকেই জালের বিস্তার ও সংস্কোট 
করে, যেনধপ পৃথিবীতে ওষধিসকল বিনা কারণেই উৎপন্ন হয়, যেরূপ জীবিত 


৮ স্হিহেতু । 


মনুযোর শরীরে কেশ ও লোম আপনাজাপনিই নির্গত হয় সেই প্রকার অঞ্গর 
পুরুষ পরমাত্মা৷ হইতে স্বতঃই এই অনস্ত কোটিব্রদ্াগসমন্থিত বিশীল বিশ্ব উৎপর 
হইক়্াছে। পরমাত্মার সত্তা! সর্বত্র বিছ্ধমান। এজন্য তাহাক় শক্তিরপিণী 
মহাপ্রক্কতিও স্বত্র বিদ্মমান। পরমাত্মার চেতনসত্ত নিকটে থাঁকিলে ম্পন্ন- 
ধদ্মিণী মহা প্রকৃতির মধ্যে ত্রিগুণম্পন্দন অপনাআপনিই উখিত হয়। কারণ 
প্রকৃতির শ্বভাবই স্পন্দিত ২ওথ1। এইকপে নিত্য বিভু পরমাত্মার চেতনসত্তার 
প্রভাবে হহাপ্রকতির মধ্যে ত্রিগুণের নিত্যই স্পন্দন হইয়া থাকে । এবং এই 
ব্রিগুণম্পন্দন ঘ্বার। অনস্ত কেটি বরদ্দাণ্ডের ও অনন্ত কেটি জীবের বিকাশ হইয়| 
থীকে। ইহাকে স্বভাব ভিন্ন আর কি বল! যাইতে পারে? মহাসমুদ্রও আছে, 
মহাপমুদ্রে নির্মল জলও আছে; জলের ধর্ম তরঙ্গায়িত হওয়া এবং প্রত্যেক তরঙে 
সুর্ধ্ের প্রতিবিম্ব গ্রহণ করা । কৃর্য্যরূগী পরমাত্বা সর্বত্র বিরাজমান। অতএব 
অনন্ত মহাসমুদ্রক্ূপিণী অনন্ত মহা প্ররুতিতে অনন্ত তরঙ্গরূপ অনন্ত ব্রন্ধাণ্ড বিলসিত 
হইবে এবং তরঙ্গে তরঙ্গে পবমাত্মার প্রতিবিষবরূপী জীবাস্মা প্রতিভাদিত হইয়৷ 
অনস্ত কোটি জীবের বিকাশ হইবে ইহাতে স্বভাব ভিন্ন আর কি কারণ হুইতে 
পারে এবং এরূপ স্বাভাবিক স্বষ্টিহেতুবিষয়ে বিজ্ঞ পুরুষের হৃদয়ে সন্দেহই বা কি 
হইতে পারে? এই জন্য শ্রীভগব।ন গীতায় পম্বভাবোহ্ধ্যাত্ম উচ্যতে” এই কথা 
বলি! অনাদি অনন্ত আধ্যাত্মিক হৃষ্টিকে স্বাভাবিক বণিয়াছেন। 


এন প্রশ্ন এই হইতে পারে যে যদি স্বষ্টি স্বাভাবিক হই তবে উহার মধ্যে 
বা ষুনে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রয়ো্ন কি আছে এবং “একোহহং বুস্তাম্‌ 
প্র্জায়ৈয়” আমি এক হইতে বভ হই এবং প্রজাস্ষ্টি করি এইরূপ বচনাবলী দার 
সৃষ্টির জন্ত পরমাত্মীর ইচ্ছাশক্তির কথ! কেনই বা বেদে দেখা যাঁয়। এই 
প্রশ্নের উত্তরে দেবীভাগবত বণিয়।ছেন-_ 
জড়াহহং তন্ সান্নিধ্যাৎ প্রভবামি সচেতন] | 
অয়স্থীস্তন্ত সারিধ্যাদয়সশ্চেতনা যথা ॥ 


প্রকৃতি জড়। জড়পন্ত স্বয়ং ক্রিয়া করিতে পারে না। এইজন্য যেরূপ 
লৌহে ক্রিঘ়োৎগন্তির জন্ট চুম্বককে সম্মুখে থাকিতে হয় সেই £কার চেতন ঈশ্বর 
মহাঁএকতির সর্বত্র ব্যাপকভাবে না থাকিলে মহ্থাপ্রক্কতির মধ্যে ত্রিগুণম্পন্দন 


জন্মাস্তর-তত্। & 


উৎপর হইতে পীরে ন|। স্ষ্টিববিকাশের মূলে বিভূ পরমাতার এই নিমিত্- 
কারণত! অবশ্যই অছে। এজন্যই বিষ্পুধাণ বলিয়াছেন-_ 

নিমিত্মাত্রমেবাপীৎ শ্জ্যানাং সর্গকন্মণি। 

প্রধানকারণীভূত। যতে। বৈ স্মজ্যশক্তয়ঃ ॥ 

নিমিত্তমাত্রমুট্তিকঃ নান্যৎ কিঞ্দিবেক্ষতে 

নীয়তে তপসাং শ্রেষ্ঠ । স্বশক্তা! বস্ত বস্কতাম্‌ ॥ 
এ. অনন্ত স্থষ্টির মূলে পরমাস্মা নিমিত্ত কারণ মাত্র। এত্যেক বস্তুর মধ্যেই 
বিকাশ-গ্রাপ্তিব শক্তি নিহিত ভাছে। জড়ামহা কৃতি চেতন ঈশ্বরের চেতনসত্া 
পাপ্ত ভইয়া প্রথমতঃ চেতনবতী হন এবং সাহাব পব তিনিই *ত্যেক বস্ত্র অন্তরে 
নিহিত বস্তুগত শক্তিকে উদবুদ্ধ কবিয়া ষ্টিকাধ্য সম্পাদন করেন। এ বিষয়ে 
ঈশ্বরের ইচ্ছা বা সাক্ষাৎ সম্বন্ধ কিছুই নাই । তবে যে বেদ সংসারস্থষ্টি-বিষয়ে তাহার 
ইচ্ছ। বণিয়। বর্ণন করিয়াছেন, তাহার অর্থ অন্যরূপ। এ ইচ্ছা তাহার মনোধর্ম 
নহে । কারণ তিনি প্রকৃতির বশ নহেন। মহীপ্রলয়ের পরে যখন এপ্রলয়গর্ভ- 
বিলীন সমষ্ট-জীবের কর্মসমুহ পুনরায় জীব-বিকাশের যোগ্য হয় তখনধ্খসেই সমষ্টি- 
জীবের অনন্ত প্রাক্তন কম্মের ০"রণান্ুপারেই ঈশ্বরের মধ্যে জীবন্ৃষ্টির স্বতঃ 
প্রেরণ। উৎপন্ন হয় । এই স্বতঃ ০পেরণকেই বেদে এক হইতে বহু হইবার ইচ্ছা 
কলিয়া বর্ণন কর, হইয়াছে । ইহা তাহার অগ্তঃকরণ-ধন্মোৎপন্ন প্রাকৃত ইচ্ছ' 
নহে, কিন্তু সমষ্টি জীবের সমষ্টি কর্মানুসারে ইচ্ছানিচ্ছারূপ স্বতঃ ইচ্ছামাত্র। 
অতএব উপযুক্ত শ্রুতিবচনের দ্বাবা স্থষ্টিবিষয়ে পরমাত্মার নিলিপ্ততা ও নিমিত্ত 
কারণত! বাধিত হইতেছে না । অতঃপর বেদ ও দর্শনাঁদি শাস্তে স্থষ্টিসধশালন বিষয়ে 
ঈশ্বরের কিরূপ প্রয়োজনীয়তা বণিত হইয়াছে তাহাই বিশদভাবে বিবৃত হইবে। 


ঈশ্বরের প্রয়োজন 


প্রাকৃতিক সমস্ত বস্তব মধ্যে কাধ্যকারিণী শক্তি থাকা সত্বেও স্বতন্ত্র ঈশ্বর 

স্বীকার করিবার প্রয়োজন কি? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উ্িত হইয়া থাকে। 

জল নিজেই প্রবাহিত হইতে পারে, অস্থি স্বয়*ই দগ্ধ করিতে পারে, বস্তু স্বয়ংই 

হিল্লোলিত হইতে পারে, তবে আবার উহ্বাদেৰ মধ্যে পৃথক সঞ্চালক কেন মানি? 
২ 


রং ঈশ্বরের প্রয়োজন ? 


অস্তঃকরণকে অন্তন্্ধীন করিছা একটু অনুধাবন করিলেই হৃদয়ের নিভৃত আকাশে 
আকাশবাণী রূপে এই গু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। মানিলাম প্রাকৃতিক সমস্ত 
বস্ত্র মধো কার্যযকারিণী শক্তি আছে কিন্তু উহা অন্ধশক্তি (1170 00:০6 ) 
চেতন" ক্কি 00761161160 00106 নহে । কাণ সমস্ত প্রার্কৃতিক-শক্তির ৬ ননী 
মহাপ্রক্কৃতিই জড় । একথ৷ দেবী ভাগবতের প্রমাণ দ্বারা পূর্বেই বর্ণনা করা 
হইয়াছে । অন্ধখক্তি য্দিকোন নিয়ামক চেতন বস্তর দ্বার নিয়মিত না! হয় তবে 
উহার আন্ধ্য পরিণম হইবে, নিয়মিত পরিণাম হইবে না। ইহা বিজ্ঞানসিদ্ধ সত্য 
কথা। দৃষ্াস্তরূপে বুঝ! যাইতে পারে যে বাপ্পপূর্ণ ইঞ্জিনের মধ্যে গাড়ী টানিবার 
বেশ শত্তি আছে ॥ কিন্তু উহ! জড়শক্তি বা অন্ধশক্তি হওয়ায় যদি এ শাক্তকে 
নিয়মিত করিয়া ইঞ্জিন চালাইবার জন্য একজন চেতনশক্তসম্পন্ন বাম্পীয়-াঁন- 
সঞ্চালক ন! থাকে তৰে, বাম্পের এ অন্গশক্তির দ্বার! কিছুতেই নিয়মিত কাঁজ হইতে 
পারিবে না। কতটা বাম্প ইঞ্জিনে থাকিলে তবে গাড্ী চলিবে বেশী বাম্প 
উৎপন্ন হইয়া ইঞ্জিন ফাটিয়া যাইবে না অথব। কম বাম্পে উভীর আকর্ষণশক্তি কম 
হইবে না, _একিরূপে কতক্ষণ ষ্টেশনে থাক উচিভ, পুনরায় কখন চলা৷ উচিত, 
স্থানে স্থানে বেগের কিরূপ তারতম্য হওয়া উচিত ইতগাদি নিয়মণ কাধ্য জড় 
অন্ধশক্তিসম্পন্ধ ইঞ্রিন নিজে করিতে পারে না। নিয়ামক চেতনশক্তিসম্পন্ন 
বাম্সীরদান-চালকই তাভা করিতে পারে । জড় তন্ধশক্তির দ্বারা কেবল এতটাই 
হইতে পারে যে বদি গাড়ী চলিতে আরন্ত করে ত থামিবে না চলিতেই থাকিবে, 
এবং যদ্দি থামে তাহা হইলে পুরা চলিতে পারিবে না, থামিয়াই থাকিবে। 
নি্মিত চলা ও থামা এবং আব্গরকতা অনুনারে বেগের তারতম্য হওয়া! নিয়ামক 
চেতনশ্ি-স।পেক্ষ ইভাতে অথুমাত্র সন্দেহ নাই। অতএব যথন দেখা গেল ফে। 
স'সারের সমান্ লেকক কাধ্যে ও চেতন-নিয়ামক ভিন্ন জড়শক্তির নিয়মণ হয়, 
না, তথন নহীপ্রক্কৃতির এই বিশাল জড়রাজ্যের এবং নিয়মিত কার্যের মধ্যে কোন 
বিভূ চেতন নিয়ানকশক্তির হাঁত নাই এরূপ কল্পনা কর! নিতাস্ত বাতুলতা মাত্র। 
পৃথিবী আছে তাহার শন্ডেৎপাদ্দিকা শক্তিও আছে কিন্তু কোন্‌ দেশে কোন্‌ কালে 
কিরূপ শশ্ হওয়া উচিত তাহার নিয়মণ জড় পৃথিবী করিতে পারে না। বনুদ্ধরার 
প্রতি অঙ্কে বিরাজমান চেতনশক্তি ভগবানই তাহা! করিতে পারেন। জল বর্ষণ 
করিতে পালে, কিন্তু কোন্‌ খতুতে কোন্‌ দেশে কিরূপ ও কত পরিমাণে বৃষ্টি হও 


'জন্মান্তর-তত্ । ১১ 


উচিত তাহীর নিয়মণ জলান্তর্গিত জড়শক্তির দ্বারা হইতে প্রারে না। প্ররুতির 
নিরামক চেতন ভগবানের দ্বারাই হইতে পারে । বাযুতে সধালিত হইবার অন্ধশক্তি 
নিশ্চয়ই আছে কিন্তু অন্ধশক্তির দ্বার। একদিক্‌ হইতেই বাধু বহিতে পারে। বসস্তে 
দক্ষিণ দিকের সুমধুর মলয় পবন, গ্রীষ্মে পশ্চিমী দিগদাহকর গ্রচণ্ড বাযুপ্রবাহ, 
বর্ষায় মেঘমালাসঞ্চারী পুর্বরপবন, শীতে হিমানীসম্পাতসন্কুল উত্তরীয় পবন- এইকপ 
খতুভেদে ভিন্ন ভিন্ন দিক্‌ হইতে বাধুর প্রবাহ বাধুমধ্যন্থিত চেতন নিয়[মকশক্তির 
,নিয়নণ ভিন্ন কখনই হইতে পাঁরে না । অক্ভিজেন ও হাইডোজেন এই দুই গাসের 
মধাদিরা বিদ্যুৎশক্িকে প্রবাহিত করিয়া! দিলে জল হয় তাহা ঠিক কিন্ত & 
বিগ্যংশক্তিকে প্রবাভিত করিবে কে? জন্ড বিছ্যৎ ত নিজে প্রবাহিত 
হইতে পারে না? তাহাকে কোনও চেতনের সহারতায় চালাইতে হয়। 
এইরূপে দিনের পর রাত্রি, রাত্রির পর দিন, অমাবস্তার পর পূর্ণিমা, শাতের পর 
ভাম্ম, খতুগণের নিয়মিত বিকাশ, 'রবিশশীর নিয়মিত উদয়ান্ত গমন, চন্দ্রকলায় 
নিয়মিত হৰাসবৃ্ধি, ভগবান্‌ ভাঙ্করের নিয়মিত রাশিচক্র প্রবর্তন,জন্ম ব|ল্য, যৌবন ও 
জরার নিয়নিত সংক্রমণ, যে বিশ্বগতে জড় প্রর্কতিব মধ্যে শিয়মভিনু, এঁকটা বুক্গ- 
পত্রও সঞ্চালিত হইতে পারে না সেস্থলে এই সকলেন্ব মধো চেতন টু সকলের 
নিয়ামক ভগবান্‌ বিদ্যমান আছেন তাহা আর প্রশ্ন করিয়। তর্ক করিয়া জানিতে হয় 
না, ভক্তিভরে হৃদয় রত্বাকরের অগাধ জলে অন্বেষণ করিলে অন্তধ্য।মী নিজেই 
নিজের জীজলামান সন্তা সাধকের মানসচক্ষে প্রতিফলিত করিয়! দেন। 

এই জন্যই মুণগ্ডক-শ্রুতি বলিয়াছেন -.- 

নায়মাত্বা প্রবচনেল লভো ন মেধা ন বহন 
যমেবৈষ আত্মা বুণুতে তেন লভ্যন্তশ্তৈষ আত্ম রা তন্থং স্বাম্‌ ॥ 

পরমাত্মা বাকা, মেধা ব! অনেক শাস্ত্রচচ্চা দ্বার প্রাপ্য নহেন। কেবল ভত্রু- 
ইাদয়ের সহিত তাহাকে জানিতে চাহিলেই তিনি ভক্তের নিকট নিজের অলৌকিক 
স্বরূপ প্রকট করেন। তীহারই নিয়মাধীনে--তীহারই প্রবল ইচ্ছাশক্তির প্রেরণায় 
কোটি কোটি ব্রহ্ধাও; অনন্ত গ্রহোপপ্রহ হুর্য এবং নক্ষত্র নিচয়ের সহিত প্রলয়ের 
নিবিড় অন্ধকারময় মহাগ্ভ হইতে উ্থিত হইতেছে, স্থিতির সহত্র সহস্র যুগময় 
কালের ক্রোড়ে তরঙ্গে তরঙ্গে তাহারই অনন্ত স্ৃষষাময়ী মহিছা প্রকট করিতেছে, 
'অ[বার ক।লপুর্ণ হইলে পর অনন্ত শৃন্ের শান্তিময় অঙ্কে বিশ্রমমলাভ করিতেছে ॥ 


১২ ঈশ্বরের প্রয়োজন । 


যদি তিনি নিয়ামকরূপে এই স্বষ্িস্থিতিপ্রলয়ের ক্রমবিধান না করিতেন তবে 
প্রলয়ের গর্ত হইতে ব্রহ্মাওসমূহ বহির্গত হইতেই পারিত না এব' কদাচিৎ বহির্গত 
হুইলেও চিরকালই সৃষ্টি করিত, পুনরার কদাপি মহাগ্রলয়ের ক্রোড়ে বিশ্রামলাভ 
করিতে পারিত না । অতএব সমষ্টি স্থ্টির শৃঙ্খলা-বিধানের জন্য বিতৃ নিয়ামক 
ঈ রের যে প্রয়োজন আছে এবিষয়ে অণুমাত্র সংশয় থাকিতে পারে না। এত 
কথা বলিয়াও শাস্ত্র আবার বলেন ষে তাহার কোনই ইচ্ছা নাই, স্বয়ং কর্তৃত্ব নাই, 
কারণ তিনি মায়ায় বশ নন। একথা সতাই, কারণ তিনি নিজে বদ্ধজীবের মত 
স্যষ্টি করিবেন কেন ? তাহার ত নিজের কিছুই কামনা নাই, কর্তব্য নাই । অতএব 
সিদ্ধান্ত হইল যে সমষ্টি প্রকৃতির স্বাভাবিক ম্পন্দনজনিত স্থ্টি আপনাআপনিই 
হইয়া থাকে, তবে প্রকৃতি জড় বলিয়া চেতনের অধিষ্ঠান ভিন্ন স্পন্দিত হঈতে 
পারে না, এইজন্যই চেতন বিতু পরমাত্মার অধিষ্ঠানেব প্রয়োজন হয় এবং এই 
নিশ্চয়ই স্মৃতিশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে । যথা-_ 
নিরিচ্ছে সংস্থিন্তে রত্বে যথা লোহঃ প্রবর্ততে । 
সত্তীমাত্রেণ দেবেন তথ! চাঁয়ং জগজ্জনঃ ॥ 
অত আত্মনি কর্তৃত্বমকর্তৃত্বং চ সশস্থতম । 
নিরিচ্ছত্বদকর্তীসৌ কর্তা সন্নিধিমাত্রতঃ ॥ 
_ যেরূপ ইচ্ছারহিত অযস্কান্তমণি (চুম্বক ) নিকটে থাকিলে লৌহ্ের মধ্য চেষ্টা 
পন হয় সেইপ্রকার পরমাস্সার সান্নিধ্য মাত্রেই প্রকৃতির মধ্যে ৃষ্টিস্থিতি প্রলয়- 
কারিণী ক্রিয়া উৎপন্ন হইয়া! থাকে । এই বিচারে পরমাতআ্মীয় কর্তৃত্ব ও অকর্তৃত্ব 
ভদ্মরহই আরোপ করা যাইতে পারে কারণ ইচ্ছারহিত হওয়ায় তিনি অকর্তী এবং 
অধিষ্ঠান করেন বলিক্া তিনি কর্তী। এইজন্যই সাংখ কার কপিলদেধ বলিয়াছেন-_ 
পতৎসনিধানাদধিষ্ঠাততং মণিবত* 1৮ 
অয়স্কান্ত মণিব মত কাহে থাকিলেই তহ।র অধিষ্ঠান হয় এবং তন্দ্রা প্রতি 
্ষ্টিলীলা বিস্তার করিতে পারেন। এইরূপে বেদান্ত দর্শনেও ঈশ্বরকে স্থষ্টির 
নিমিত্তকারণ বলা হইয়াছে । যথা 
“জন্মাগ্ম্য যত” 
“জগদ্বাচি্বাৎ” 
“তল্মাদ ব্রঙ্গকার্ধাং বিরদিতি সিদ্ধম্‌” 


? 
ঙ 


জন্মন্তর-তত্থ | ১৩ 


জগতের স্থৃষ্টিস্থিতিপ্রলয় সপ্ুণ ব্রদ্ধ ঈশ্বরের দ্বারাই হইয়। থাকে । তিনিই 
জগতের'কর্তা। আকাশাদি-ভূতোৎপত্তি তাহার অধিষ্ঠঠনরূপ নিমিত্ব-ক।রণত 
দ্বারাই সিদ্ধ হইয়া থাকে। 
সমষ্রিস্ষ্টির ন্যায় ব্যষ্টিস্ট্টি অখাৎ জীবনৃষ্টি বিষষেও ঈশ্বরের নিয়ামকত্ব বেদাদি 
শাস্ত্রে স্বীত হইয়াছে । কর্ম স্বভাবতঃ জড় এইজন্য জীব অহঙ্কারবশে যে সকল 
কর্ম করে তাহার নিজে ফলোৎপাদন করিতে পারে না । কর্ম্পমুহ চেতন ভগবানের 
* দ্বারা! প্রেরিত হইয়াই যখাধথ ফলোৎপাদন করিয়া থাকে এবং তাহাতেই পুণ) 
পাপময় কন্মানুসারে জীব স্বর্গনরকাদি ভোগ করিয়া থাকে। ন্াারদর্শনের 
চতুরাধ্যায়ের প্রথমাহ্নিকে এইজন্তই সুত্র আছে__ 
পঈশ্বরঃ কারণং পুরুষকন্দ্ীফল্য দর্শনাৎ।% 
জীব কন্মানুষ্ঠান বিষয়ে স্বাধীন বটে, কিন্তু কম্মফলভোগ বিষয়ে পরাধীন । 
কারণ কম্ম জড় হওয়ায় নিজে ফল দিতে পারে না । চেতন ঈশ্বর জড় কর্্দকে 
প্রেরণ করেন। তাহাতেই কন্মান্ুসার জীবের উচ্চাবচগতি প্রাপ্ত হয়।* অতএব 
কম্মফলদানবিষয়ে ঈশ্বরের নিমিত্ব-কারণতা সিদ্ধ হইতেছে। এবখীনৈ অনেকে 
এইরূপ সন্দেহ করেন যে এপ্রকাঁর প্রাক্তন কন্ম মানিবার প্রয়োজন কি ? কেবল 
বর্তমান জন্মের কৃতকন্ম মানিলেই ত চলে? এ প্রশ্নের উত্তর 'অবতরণিকণ্ঘ, 
ইতিপূর্েই দেওয়া হইয়াছে। প্রাক্তন পুণ্যপাপময় কশ্ম স্বীকার ভিন্ন অনস্তবৈচিত্রয- 
পুর্ণ সংসারে ভোগবৈচিত্র্যের হৃদয়হারিণী কোন মীমাংসাই করা যাইতে পারে না। 
কেন লোকে জন্ম হইতে অন্ধ হয়? কেন কেহ জন্ম হইতেই স্বাস্থ্যম্খ ভোগ 
করে এবং কেহ জন্ম ভিথারী হইয়া মানবদেহ প্রাপ্ত হয়? কেন কেহ জন্ম 
হইতেই যোগী হয়, কামিনী কাঞ্চনে আদৌ আসক্তি রাখে না এবং অন্ত কেহ 
সহ্ত্র চেষ্টার ফলেও কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ করিতে পারে না? কাহারও প্রতিভা 
ও বল জন্ম হইতেই অসাধারণ কেন দেখিতে পাই এবং কেহ দিবারাত্রি পরিত্ম 
করিয়া ও, সহস্র চিকিৎসা&করিয়াও হীনপ্রতিত, দুর্বল এবং চিররুগ্ন কেন থাকে ? 
হৃদয়কে জিজ্ঞাসা করিলে পূর্বব কন্ম ভিন্ন এসকল কথার সন্তোষজনক সমাধান 
আর কিছুতেই হইতে পারে না। এজন্ঠ পূর্ব কর্ম অবশ্ঠই মানিতে হয় যেরূপ 
বিজ্ঞান ও অনুভবের সহিত মহর্ষি পতঞ্জলি প্রাক্তন কর্ম সিদ্ধ করিয়াছেন। কেহ" 
কেহ এরূপ বলেন যে সংসারেব বৈচিত্রা বিষয়ে ঈশ্বরের লীলা ও বিভূতিবিকাশ 


১৪ ঈশ্ববের প্রয়োজন । 


মানিলেই ত চলে? ইহার জন্য আবার পূর্ব কর্ম মানিবার কি প্রয়োজন আছে? 
তিনি নিজের বিচিত্রলীল! দেখাইবার এবং অপূর্ব শান্তির বিকাশ দেখাইবার 
জন্যই সংসারে কাহাকেও ছুঃখী এবং কাহাকেও সুখী করেন, কাহাকেও জন্মান্ধ 
এবং কাহাকেও কমললোচন করিয়া সৃষ্টি করেন, কাহাকেও হ্তীমূর্খ এবং 
কাহাকেও অনীম প্রতিভাশীলী করিয়া! থাকেন। কিন্তু এরূপ সিদ্ধান্ত শুনিতে 
বিচিত্র ও কৌতুকজনক হইলেও হৃদয়ে শান্তি আনিতে সক্ষম হয় না। ঈশ্বরকে 
করুণাময়, ইচ্ছারহিত এবং পক্গপাতশৃন্ত চিরউদার পুরুষ বলা হয়। তিনি এরূপ, 
পক্ষপাত, বিষগ্রতীযুক্ত লীল! এবং নিষ্টরতা দেখাইবেন কেন? তিনি কেন কোন 
জীবকে জন্মান্ধ করিয়া! সংসারসুখে বঞ্চিত করিবেন, কাহাকেও ভিথারী করিয়া 
চিরজীবন কীদাইবেন এবং কাহীকেও ছুপ্ধফেননিভ শায় চিবআারামে বাখিবেন ? 
তাহার এরূপ পাগলের মত অসম্বদ্ধ লীল! করিবাব প্রয়োজনহ থাকিতে পারে না। 
আমর! ইতিপৃর্কেই ঈশ্বরকে মায়ার বশ হইতে স্বতন্ত্র, ইচ্ছারহিত, কামনারহিত 
এবং মায়ার প্রেরকরূপে বর্ণন করিয়াছি । শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে লেখা আছে-_ 
শ্মায়ান্ত প্রকুতিং বিগ্ভাসারিনং তু মহেশ্বরম্‌ 1 প্রকৃতি মায়। এবং ঈশ্বর মায়ার 
টালক মারী। তিনি মায়ার যদি বশ হইতেন তবে এব্ূপ অসম্বদ্ধ লীলা্দি করিতে 
পুরিতেন, কিন্তু মায়ার বশ নহেন--মারার চালক, অতএব তাহার দ্বারা এইরূপ 
অনিয়মিত অন্ঠায় কায হইতে পারে না। উদার ঈশ্বরের বিষয়ে এরূপ অনুদার 
পক্ষপাতযুক্ত হীনচিন্তা করাই মহাপাপ। 
শ্রীগীতায ভগবান্‌ নিজেই বলিয়াছেন-_ 
ন কর্তৃত্ব ন কম্মাণি লৌকন্ত স্থজতি প্রভুঃ | 
ন কর্মফলসংযোগং স্বভাবস্ত প্রবর্ততে ॥ 
, মাদতে কম্তচিৎ পাপং ন চৈব স্ুুকৃতং বিভুঃ | 
অজ্ঞানেনাবৃতং জ্ঞানং তেন মুহাত্তি জন্তবঃ ॥ 
৫ম অং--১৪-১৫ শ্লোক 
পরমাস্ত কাহারও পাপ ব। পুণোর জঙ্ত দায়ী নহেন। অজ্ঞানের দ্বারা জ্ঞান 
আচ্ছন্ন হইলে জীব নিজে নিজেই হখে পাইয়! থাকে। তিনি লোকের কর্তৃত্ব, কর্ম 
লনা কিছুই ছা করেন না লোকে নিজ নিজ প্রকৃতি অনুসারেই 
াপপুণ্য করব ফরিযী থাকে । 'অতএব ঈশ্বরের সম্বন্ধে পীয়প বৃথা অবৈজ্ঞানিকতা- 


ছন্মাস্তর-তত্ব ! ১৫ 


পুর্ণ বিচার করা ঠিক নহে। জীব নিজ নিজ প্রীক্তনণম্নসারে উচ্চনীচ কর্ম এবং 
কর্ম্মফলভোগ করিয়৷ থাকে । কর্ম জড় হওয়ায় ন্ঠিনি তাহার গ্রেরণামাত্র করিয়া 
থাকেন। এইজন্যই বেদান্তদর্শনে জৈব কর্মের সহিত ঈশ্বরের সম্বন্ধ দেখাইবার 
জন্য নিম্নলিখিত স্ত্র কর! হইয়াছে । যথা-- 
“কলমত: উপপত্তেঃ 1৮ 
“কৃতপ্রযত্বাপেক্ষত্ব বিহিত প্রতিষিদ্ধবৈয্থ্যার্দিভাঃ 1” 
“বৈবনালিঘণো ন সাপেক্ষত্বাৎ তথ! হি দর্শয়তি | 
ঈশ্বর কর্ম্ফলের দাতী, কিন্তু কর্মের বৈচিত্র্যান্থুসারেই জীবগণকে ভিন্ন ভিন্ন 

প্রকার ফল দান করিয়! থাকেন। এরূপ ন! হইলে শাস্ত্রীয় বিধি-নিষেধ নিরর্থক 
হইয়া যাইবে। জীবের কন্মীনুসারেই ঈশ্বর ভিন্ন ভিন প্রকার সৃষ্টি করিয়া 
থাকেন । যাহার প্রাক্তনন্থর্কৃতি আছে তিনি তাহাকে ত্ুখী করেন এবং মন্দপ্রারব্ধী 
জীবকে চঃঘী করেন। অতএব সংসারবৈচিত্র্যে ঈশ্বরের পক্ষপাত বা নৈষ্ট্যয 
কল্পনা হইতে পারে না। ভগবান্‌ ভান্যক্ষার শ্করাচার্ধ্য শারীরকভাস্কে ঈশ্বরবিষয়ে 
নিক্ললিখিতরূপ লিখিয়াছেন__ 

“্ঈশবারস্ব পর্জন্িবদ দ্রষ্টবাঃ। যথা হি পর্জন্ো ্ীহিষবানিস্ট্ সাধারণং 
কারণং ভবতি ব্রীহিষবাঁদি-বৈষম্যে তু তত্তদবীজগতান্ঠেবাসাধারণানি সামর্ঘ্যানি 
কারণানি ভবন্তি, এবমীশ্বরো দেবমনুষ্যাদি-স্থঙছৌ সাধারণং কারণং ভবতি দেব- 
মনুধাদিবৈষমো তু তন্তজ্জীবগতান্যেবাসাধারণানি কণ্পাণি কারণানি ভবস্তি। 
এবমীশ্বরঃ সাপেক্ষত্বান্ন বৈষম্যনিপ্বণ্যাভ্যাং হষাতি ।” 

্ষ্টিকীর্ধ্য বিষয়ে ঈশ্বরকে মেঘসদূশ মনে করা উচিত। অর্থাৎ যেমন মেঘের 
জল ব্রীহিযৰ ধান্ত আদির উৎপত্তি বিষয়ে সাধারণ কারণ মাত্র হইয়া থাকে, কিন্তু 
ব্রীহিষবাদির উৎপত্তি ও পরিণাম যে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার হয় তাহার পক্ষে মেধ 
কারণ ন৷ হইয় ব্রীহিষবাদির বীজগত অসাধারণ পৃথক পৃথক সামর্থ্যই কারণ 
হইয়া থাকে ঠিক সেই প্রকার দেবমনুষ্যাদি স্থষ্টি বিষয়ে ঈশ্বর সাধারণ কারণ । 
এবং এ সমস্ত জীবের স্ুুখছুঃখ খবর্য্যাদি ঘে পৃথক পৃথক দেখা যায় তাহার পক্ষে 
উহাদের ভিন্ন তিন্ন অসাধারণ কর্মই কারণ হইয়া থাকে। একই জল নিথবৃক্ষে 
তিক্তরম উৎপন্ন করে, ইক্ষুবৃক্ষে মিষ্টরস উৎপন্ন করে এবং হরীতকী বৃক্ষে কষায় 
রস উৎপন্ন করে। জল একই কিন্তু এঁ সকল বৃক্ষের বীজগত গার্থকাহেতু প্র 


৬ ঈশ্বরের প্রয়োজন | 


গ্রক'র ভিন্ন ভিন্ন রস উৎপন্ন হয়। প্রপ্রকার ঈশ্বরের ঢেতনসত্তী জড় কর্ণকে 
সাধারণ তানেই, প্রেরিত করিয়া থাকে! কিন্তু তীহার এ সাধারণ শক্তি 
বীজগত অসাধারণ কর্মাসংস্কারকে আশ্রয় করিয়া অসাধারণ বৈচিত্রপূর্ণ ফল 
উৎপন্ন করিয়া থাকে । অতএব সৃষ্টি বৈচিত্র ঈশ্বরের কোনই পক্গপাত বা 
সদয়নির্দয়ভাব নাই । 
তিনি গীতায় আরও বলিয়াছেন__ 
সমোহভং সর্বভৃতেঘু ন মে দ্বেষ্যোইস্তি ন প্রিয়ঃ | 
যে ভজ্ন্তি তু মাং ভক্তা। ময়ি তে তেঘু চাপাভম্‌ ॥ 
তিনি সর্বভূতের পক্ষে সমান, কেহই তীহার প্রিয় বা অপ্রিয় নাই। ধীহারা 
ভক্তির সহিত তীহাৰ ভজনা করেন তিনি তীভাদের ভজনরূপ ক্রিয়ার ফলদান 
করেন । অর্থাৎ তীশ্গারা তাহাতে এবং তিনি তীহাদিগের মধ্যে হন। 
শ্রতিও বলেন-_ 
পুণ্য বৈ পুণোন কন্মণা ভবতি পাপঃ পাপেন। 
পুণা কর্মের বাবা জীবের ন্ুখময় পুণ্যলোক প্রাপ্তি এবং পাপকর্শের দ্বারা 
ছুঃখময় পাপলোক প্রাপ্তি উইয়া থাকে। আরও ছান্দোগ্যোপনিষদে লেখা 
আছে-- 
পন্য ইহ রমণীয়াচরণা অভ্যাশো' তু ঘত্তে রমণীয়াং যোনিমাপদ্চেরম্‌ 
ত্রাঙ্গণযে(নিং বা ক্ষত্রিয়যোনিং বা বৈশ্তযোনিং বাথ ষ ইহ কপুয়চরণা! অভ্যাশো হ 
যত্তে কপুয়াং যোনিমাপদ্ভেরন্‌ শ্বযোনিং বা শুকরযোনিং বা চাগডালযোনিং বা ।” 
গপুণ্যময় কন্মের ফলে মনুষ্য পুণ্যময় ব্রাহ্গণযোনি, ক্ষত্রিয়যোনি ঘা! বৈশ্তযোনি 
লাভ করে এবং পাপময় কর্মের ফলে পাপযোনি অর্থাৎ কুকুরযোনি, শৃকরযোনি 
বা চগ্ডালযোনি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ঈশ্বর জীবর্কৃত পাপময় বা পুণ্যময় 
প্রাস্তনান্ুসারেই জীবগণকে এই সকল যোনি প্রদান করিয়া থাকেন। ইহাতে 
ভীহার নিজের ইচ্ছাকৃত কোন ব্যাপারই নাই, কারণ তিনি ইচ্ছার অতীত। 
এখানে আপত্তি হইতে পারে যে যদি জীবের কন্মানুসারেই ঈশ্বর ফল দিয়া 
থাকেন, তবে তীহার প্রশ্্য্যশক্তি কোথায় রহিল? তিনি ত কর্মেরই অধীন 
হইলেন, তাহার স্ব্ন্ত্রত। ও সর্বশক্তিমন্ত। সিদ্ধ হইল কৈ? এরূপ সংশয় করা 
'অকিঞ্চিৎকর ধ 


জন্মাস্তর- তত । |] ১খু' 


ফারণ দাহাবন্ধ না থাকিলে অগ্নি দহনক্রিয়া করিে পায়ে না, এজন অন্গিত্তে 
দ্বাহিকাশক্তি নাই এরপ সিদ্ধান্ত কর! মিথ্যা নহে কি? দাহিকাশক্তি আছে 
ব্লিয়াই অগ্নি দাহবস্তকে দগ্ধ করিতে গারে। জলের মধ্যে দাহিকা শক্তি নাই' 
এজন্য দাহা বস্ত থাকিলেও জল দহনকার্ধ্য করিতে পারে না। এইরগে জড় বর্দের 
নিয়ামক, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মধ্যে অনন্ত শক্তি আছে ধলিয়াই ঈশ্বর জীবফৃত' 
কর্মানুসারে ফল দিতে পারেন। বদি তার মধ্যে শক্তি না থাকিত, তবে 
ধ্বীব কর্ম করিলেও তিনি ফল দিতে পারিতেন না । অতএব জীবক্কৃত. প্রীক্তনের 

অপেক্ষা থাকিলেও ঈশ্বরে সর্বশক্কিমন্তার অভাব হইতে পারে না। দ্বিতীয়ত! 
দ্বতন্ত্রতার কথা । তাহার উত্তর এই ষে প্রজাগণের কর্ান্থুসারেই রাজ! দণ্ড 

বা পুরস্কার প্রদান করিয়া থাকেন। কিন্তু উহাতে রাজার স্বতন্ত্রত। বা শক্তির 
অভাব কল্পনা হইতে পারে না । অতএব বিচার ও শাস্ত্রীয় প্রমাণ দ্বারা ইহাই সিখ্ধ 

হইল যে ইচ্ছার অতীত এবং মায়ার বশ না হইলেও ব্রহ্ধাণ্ড ও পিপু উভয়বিধ 

নৃষ্টির স্থলেই ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বিশেষ প্রয়োজন আছে, তাহারই অলৌকিক 

চেতন প্রেরণায় সজল! সুফলা শশ্তপ্তামলা বন্ুন্ধরা সতত নযননঞতিরাম মৃত্তি 

পরিগ্রহ্‌ . করিতেছেন, তীহারই অতিমান্ুষ নিয়ামিকা শক্তির বলে অনস্তকোটি 
গ্রহ-উপগ্রহ-সমন্বিত-বরহ্মাণ্ত-কটাহ অনস্ত শূন্যে বিঘুর্ণিত হইতেছে এবং খাষি, দেত্র, 

পিতৃ, যক্ষ, গন্ধর্বব, মনুষ্য ও মন্ুষ্যেতর সমস্ত প্রাণী যন্তারূটের মত তীহারই অমোথ 

প্রেরণার বলে নিন্বত নিয়তি-চক্রে অনাদ্দিকাল হইতে আবপ্তিত হইতেছে । অতঃপর 
জীবোৎপত্তি-বিজ্ঞান আলোচিত হইবে। 


জীবের জন্ম 


পরমাত্মা ও গ্রক্কতির অনাদি অনন্ত সর্ধব্যাপিনী সত্তার মধো দেশকাঁল পরিচ্ছিন্ 
জীব-সত্তার আবির্ভাব কি প্রকারে হয়, এ প্রশ্নের উত্তর এতই কঠিন যে অনেক 
শান্ত্রেই ইহার মীমাংসা করা হয় নাই। অনেক দর্শনে জীবকে প্রবাহরূপে অনাদি 
বলিয়া ধ্রখানেই এ বিষয়ের পর্যযবসান কর! হইয়াছে। পৃথকভাবে জীবোৎপত্তি 
রিজ্ঞান আলোচিত হয় নাই। অথচ আমরা আধ্যশান্ত্ে এই বিষক্গে ভুরি ভূ 


৩ 


নর, জীবের তথা । 


গামাণ দেখিতে পাই যে জীব অন্মগ্রহণের পর মনুষ্যেতর যৌনি মুছে চ্ভুরপীতি : 
রুক্ষ যোনি ভ্রমণ করিয়া তবে হুলভ মন্ষ্জন্ম প্রাপ্ত হয়! থাকে । বখম উত্ভিজা 
হইতে আরস্ত করিয়া যৌনি সমূহের সংখ্যানির্ণয় করা হইয়াছে তখন জীব কোন ন! 
€োন সময়ে এই বিরাটের গর্ভ হইতে ব্যষ্টিরূপে অবশ্যই নিংস্থত্ত হইয়া তবে এই 
চ্ুরপীতি লক্ষ 'ঘোঁনি ভ্রমণ করিয্নাছিল, ইহা প্রত্যেক বিচারবুন্‌ ব্যক্তিই শ্বীকার 
'করিবেন। অতএব জীবতাব বিকাশের একটি সময় ও অবস্থা আছে ইহ! 
প্রমাণিত হইল।. সে অবস্থাটি কি এবং কখন হয় তাহাই এই অধ্যায়ের বিবেচ্য 
রিষয়। মহাগ্রলয় বা খওপ্রলয়ের পরে যে জীবন্থঠি হয় উহা নৃতন ভীবসষটি 
নহে। উহাতে মহাপ্রশনধ বা খগপ্রলয়ের পূর্ক্বে যে সকল জীষ বিশ্বের মধ্যে 
নিঝাস করিত এবং যাহার! মহাগ্রলয় ঝ খগপ্রলয়ের কবলে কবলিত হইয়াছিল, 
ভাহারাই ক্রমশঃ দেশ-কাল-যুগামুসাঁরে আবার উৎপন্ন হইয়া থাকে । কিন্তু ও 
মকগ্গ প্রলয়ান্তে প্রকাশমান জীব-সঙ্ঘের উৎপতি-নিদ্দান কোথায়, উহাদের মধ্যে 
জীবতাবের প্রথম বিকাশ কখন হওয়ার পর তবে উত্ভিজ্ঞ, স্বেদন্গাদি ক্রমে নান! 
যোনিতে খ্রঞ্কল জীব পরিভ্রমণ করিয়াছিল, এই বিষয়টিই এখন বিচার্যয। শান্ত 
চিৎ এবং জড়ের গ্রন্থিকে জীব বলা হুইস্নাছে। এবং এই চিজ্জড়-গ্রস্থির ভেদনকে . 
মুক্তি বলা হইয়াছে । চিৎ এবং জড়ের এই গ্রন্থি হইয়! ব্যাপক প্রক্কৃতি-পুরুষ 
তার মধ্যে অব্যাপক দেশ-কাল-পরিচ্ছিন্ন জীবভাবের বিকাশ নিম্নলিখিত ভাবে 
ফ্মভাবতঃই হইয়া থাকে। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে বিভু চেতন পরমাত্মার, 
চেতনস্তা প্রাপ্ত হইয়। অনস্তবিস্তারময়ী মহা প্রকৃতি অনস্ত স্পন্দনের দ্বার! অনস্ত 
সুষ্টিবিস্তার করিয়া থাকেন। এই স্থষ্টিবিস্তার-লীলার মধ্যে জড় ও চেতনে ছুই" 
প্রক্কার গতি স্বভাবতঃ হইয়া থাকে । এক জড় হইতে, চেতনের দিকে এবং 
দ্বিতীয় চেতন হইতে জড়ের দিকে । একটি সামান্ত দৃষটান্তের দ্বারা এই বিষরটি 
বুঝান যাইতেছে । একটি বৃক্ষ, যাহা! জড় ও চেতনের সমষ্টি, উহ! যদি মার! যায় 
তবে উহার উপাদানভূত জড় ও চেতনের শতি কি প্রকার হইবে? উহার 
অন্তর্গত চেতনসপ্তা প্রক্কতির স্বাভাবিক বেগে ক্রমশঃ উদ্ভিজ, স্বেজ, অগুজ ও 
জরায়ুজের ল$ল যোনি ডেদ করিয়া মনুয্য-যোনিতে পৌছিবে এবং মনুষা-যোমিতে 
উদ্নত কর্মাজসারে উন্নত যোনি প্রাপ্ত হইয়া সব্গুণের পুর্ণ পরিণামে ওঁ কষত্র চেতন 
প্রন্কৃতি'রাত্য তিক্র" করিকা মায়ারহিত নি অনীম চেতনে লন্ব হইয়া মুক্তিলাভ 


০... জল্মাতর তত | 5 
করিবে. এইরপে প্রকৃতির মধ্যে জড় হইতে চেতনের দিকে একটি ধায় 
আছে যাহ! স্বাভাবিকরপে প্রবাহিত হইয়। থাকে | কিন্ত বৃক্ষের মধ্যে যে জড়াংশ' 
আছে তাহার গতি কোন্‌ দিকে হইবে ? বিচার করিলে পর দেখা যাইবে থে ছুড়ে 
গতি নীচের দিকে হইবে। বখ! বৃক্ষের মধ্ণ হইতে চেতনসঙ্জ নির্গত হইবামান্র 
প্রাকৃতিক' বিশ্লেধণবিধি ' অনুসারে উক্ত: বৃক্ষের উপাদানতৃত জড় শরীর-ক্রমশঃ 
বিগলিত হইয়া' তমোগুণের দিকে অগ্রসর হইবে এবং অস্তে বৃক্ষের পত্র,. কাষ্ঠ 
প্রস্তুতি সকলেই মৃত্তিকা, প্রস্তরাদি জড়পদীর্ঘে পরিণত হইয়! যাইবে । এইরূপে 
জড়চেতনাত্মক জগতে স্বভাবতঃই চেতনধারাটি ব্রন্দের দিকে বা সতগুণের দিকে, 
এবং জড়ধারাটি তমোগুণের দিকে যাইয়া খাকে। প্রকৃতির উপর দিকের শেষ 
সীমা সব্বগুণ এবং তাহার পর গুণাতীত ব্রহ্ম । এন্ধন্ত চেতনধারা ক্রমোননত' 
হইয়া সত্বগুণের শেষ সীমায় আসিঙা ব্রন্দে লয় হইতে পারে। কিন্তু জড়ধার। 
কোথায় লয় হইবে? কারণ চেতনের মত জড়ের দিকে" ত কোনরূপ সীমা নাই ?' 
এজন্য নিয়ত পরিণণমিনী ব্রহ্ম ও প্রকৃতির অধঃপরিণামকে আশ করিয়া জড়ধারা' 
তমোরাজ্যের শেষ সীমায় পৌছিবে। কিন্তু তথায় লয় হইবার কিছু না পাইয়া যেম' 
সমুদ্রের তরঙ্গ বেগ্গাভুমিতে আঘাত করিয়া আবার সমুদ্রেরই দিকে প্রতী বৃদ্ধ হয়, 
ঠিক সেই প্রকার জড়ধারা তমোগুণের শেষ সীমার পৌছিয়া প্রকৃতির উন্নতিণীল' 
প্রবাহকে আশ্রয় করিয়া আবার বিপরীতভাবে রজোগুণের দিকেই শ্বভাবতঃর 
অগ্রসর হইবে। পরমাত্মার সত্তা সর্ধব্যাপী, এজন্য তমোগুণ হইতে রজোগুণের' 
দিকে অগ্রসর হইবার সময়েই আত্মসত্তা! উক্ত জড় প্রক্কৃতিতে প্রতিবিদ্িত হইবে 1. 
যে প্রকার সূর্যের প্রকাশ সর্বত্র থাকিলেও মলিনদর্পণে উহার প্রতিবিদ্বিত হয় না, 
কিন্তু মলিনতা৷ দুর ছওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবিস্বের উদয় হইয়া থাকে ঠিক সেই 
প্রকার পরমাত্মা সর্বত্র ব্যাপ্ত থাকিলেও পুর্ণ জড় গ্তিতে উহার প্রতিবিদ্ব হয় না; 
কিন্তু তমোগুণ হইতে কিঞ্চিং রজোগুণের দিকে অগ্রসর হইবার সঙ্গে সঙ্গেই জড় 
্রক্কৃতির মধ্যে ব্যাপক পরমাত্মার প্রতিবিত্ব বা অংশ প্রতিফলিত হইয়। থাকে । 
এই যে গ্রতিবিঘ্ের দ্বার! জড় চেতনের মধ্যে প্রক্কৃতির স্বাভাবিক গতি অনুসারে 
গ্রন্থি, ইহা হইতেই প্রথম জীবভাবের উদয় হইয়া থাকে। এইজ জড়ধারায় 
প্রতিফলিত উক্ত প্রত্তিবিতঘকে জীবাতআ্মাঁ বলা হয় এবং জড়ধারার যে অংশে 
প্রতিবিত্ধ পড়ে উহাকে কারণ শরীর বলা হয়। এইরূপ ব্যাপক প্রকতি-পুক্ধব 


৪ 8৩ ৰ জীবের জন্ম? ্ 


বন্য ময সৃষবীর্ণ এবং দেশ-কাল-পরিচ্ছিন জীব-সভার বিকাশ হহয় থাকে । এই 
জীব-সত্তাই কুন্ম শরীর ও সুলশরীরের সহিত যুক্ত হইয়া ক্রমশঃ নান! যোনিয় মধ্যে 
“দিয়া ভ্রমণ করিয়া থাকে আত্মা! চেতনশ্বরপ। এইজন্ত জড়-ধারা প্রতিফলিত 
উক্ত প্রতিবিষিত আত্মাও চেতনম্বরূপ, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু যেনপ অগ্নির 
মধ্য পূর্ণ দাহিকাশক্তি থাকিলেও ভন্মাচ্ছাদিত অগ্নি দীহনকার্ধ্য করিতে পারে না 
. স্েইগ্রকার আত্ম! পূর্ণ জ্ঞানময়, চেতনাময় ও সদামুক্ত হইলেও প্রার্কৃতিক . 
ভমোগুণময় জড়তাচ্ছন্ন আত্মার মধ্যে সেই শক্তির বিকাশ হইতে পারে না। এই 
জন্তই জড়তাময় অবিত্াপ্রস্ত উক্ত আত্মাকে বন্ধ বলা হয়। এই বন্ধন বাস্তবিক 
নহে, ওপচারিক মাত্র । অর্থাৎ যেরূপ স্বচ্ছ শ্বটিকের সম্মুখে রক্ত জবাপুষ্প 
রাখিলে স্ফটিকও রক্তবর্ণ বলিয়া বোধ হয় কিস্তু বাস্তবিক স্ষটিক রক্তবর্ণ নহে, 
সেইরূপ জড়-প্রককতির সম্পর্কে জাত্বাকে বন্ধ বলিয়া মনে হয় .মাত্র; বাস্তবিক 
নিত্য-যুক্ত আত্মার বন্ধন নাই । এই বন্ধনকল্পন। অস্তঃকরণের দিক্‌ হইতেই হইয়! 
থাকে, আত্মার দিক হইতে হয় না। . অর্থাৎ অস্তঃকরণই আত্মাকে ভ্রান্তিবশে 
বন্ধ মনে'করিয়া থাকে । আত্ম! বাস্তবিক বদ্ধ হয় না। এইজন্য চিত-বৃতি-নিরোধ- ৰ 
রূপ যোগ-ীধন! দ্বারা যখন অস্তঃকরণকে লয় করিয়া দেওয়া হয় তখন আত্মার 
উপর প্রন ভ্রান্তির জারোপ করিবার কিছুই থাকে না। এজন্ত তখন আত্মা 
্আহং ব্রদ্ধান্মি” আমি ব্রঙ্ম বলিয়া নিজের স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারেন । 
এইরূপে অস্তঃকরণের ভ্রাস্তিবশে নিত্যমুক্ত আত্মার প্রতি বন্ধনের আরোপ করা 
হুইয়। থাকে। অতএব আত্মার বন্ধন তারিক নহে, ওপচারিক মাত্র ; সাংখ্য- 


স্বগ, বেদাস্ত প্রভৃতি দর্শন শাস্ত্রে এইরূপ সিদ্ধান্ত কর! হইয়াছে। 
জড়ের সহিত চেতনের এইপ্রকার স্বাভাবিক সম্বন্ধ অবস্থাভেদান্থসারে আর্য্য 


শাস্ত্রে হুইপ্রকার মতবাদে পরিণত হইয়াছে । একটির নাম অবিচ্ছিন্নবাদদ এবং 
ছবিতীয়টির নান প্রতিবিত্ববা্ধ। অবিচ্ছিননবাদিরা জীবাত্বাকে পরমাত্মার অংশ বলিয়া 
থাকেন। প্রতিবি্ববার্দিগণ' অংশ ন! বলিয়া প্রতিবিষ্ব বলিয়া থাকেন। যথা 
বেদদাস্তিদর্শনে__“অংশে। নান! ব্যপদেশীৎ।” “আভাস এব চ।” বাস্তবিক এই 
সই অতবাদের মূলে কোনপ্রকার প্রভেদ নাই। প্রভেদ কেবল অবস্থা ভ্দানুসারেই 
হইন্সা থাকে। প্রথমাবস্থায় অত্যন্ত তমোগুণময় জড় প্ররকৃতিতে আত্ম! গা 
ত্মাচ্ছাদিত অগ্বির স্তার এরগ প্রচ্ছন্ন থাকেন যে ক্ষীণ গরুতিবিত্ব জ্যোতিঃ ভিন্ন 


জন্মাভতর-ততব । ৪9 


আত্মার আর পুর্শিক্তিসম্পন্ন কোনরূপ স্বরূপই প্রকটিত হয় না। সে সময় 
র্ণপুরুষের জ্ঞানময় জ্যোতির্শয় অংশত্বের কোনপ্রকার চিতই পরিদৃষ্ট না হওয়ায় 
গ্রতিবিদ্ববাদি গণ উত্ত অবস্থাকে প্রতিবিষ্ব বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন । অবছিতন- 
বাদ উহ্নার উপরে অবস্থার বিষয়। অর্থাৎ জড়-প্রক্কৃতি ওমোগুণ হইতে ক্রমশঃ 
সন্বগুণের দিকে যতই অগ্রসর হন ততই আত্মার নিম্বস্বকপ আপনা আপনিই 
ভম্মমুক্ত অগ্রির স্তায় প্রকটিত হইতে থাকে । সে সময় জীবাত্মার মধ্যে পরমাত্মার 
ম্বরূপমহিমা স্পষ্টই উপলব্ধ হইয়া থাকে । এজন্ত অবচ্ছিন্নবা্দিগণ প্র উন্নত 
অবস্থাকে লক্ষ্য করিয়াই জীবাত্মাকে পরমাস্্ার অংশ বণিয়াছেন। আবার এই 
অংশই ভ্রান্তিদায়িনী সুখ-ছুংখ-মোহমরী প্রক্কৃতির সম্পর্ক হইতে পূর্ণমুক্ত হইয়। পূর্ণ 
্রন্ষের সহিত খন একতা প্রাপ্ত হন তখন ইনিই নিজেকে ব্রহ্ম বলিয়াই মানিভে 
গারেন। এইরূপে অবস্থাভেদানুসারে অবচ্ছিন্নবাদ ও প্রতিবিষ্ববাদের কৃষ্টি 
হইয়াছে । উহার মধ্যে কৌন বাস্তবিক ভিন্নতা বা মতভেদ নাই। 
পূর্বেই বলা হইয়াছে যে প্রক্কৃতির যে অতি সুক্্ম জড়াংশের উপর ভীবাত্মা 
প্রতিবিষ্বিত হন সেই জড়ভাবকে কারণশরীর বলে। উহাকে বেদান্তশান্ত্ে 
অবিদ্ধা বলা হইয়াছে । ইহা জীব-ভাবের প্রথম কারণ এবং সুপ-হুত্ম-শরীরঘ 
প্রান্তিরও কারণীভূত হওয়ায় ইহার কারণশরীর সংজ্ঞা হইয়াছে? যথা বেদান্ত 
শাস্ত্রে | ঞ্চ 
অনির্ধবাচ্যানাগ্যবিস্থাব্ূপা! স্থৃলুত্্শরীরকারণমাত্রং স্বন্বরূপাজ্ঞানং যরস্তি 


তৎ কারণশরীরম্‌। 
অনির্বচনীয়া অনাদি অবিস্ান্বরূপ, স্কুল এবংদসুম্থা শরীরদয়ের কারণ 


নিজন্বরূপের বিষয়ে অজ্ঞানময় যে সত্তা তাহাকে কারণশরীর বলে। কারণপরীর 
উৎপন্ন হইবামাত্র জীবের মধ্যে অহংভাঁবের বিক।শ হইয়! থাকে এবং তজ্ন্ত, সু 
শরীরের দ্বারা ভোগাদির নিমিত্ত জীবের ভিতর শ্বভাবতঃই প্রেরণ উৎপন্ন হয়। 
এই প্রেরণাই কারণশরীরের উপর সৃক্্রশরীরোৎপত্তির কারণ হইয়া থাকে । যথা 
উরমদ্ভাগবতে-- | 
£শরীর-আকাশাৎ পুরুষস্ত বিচেষ্টতঃ। 

ওজ; মনে! বলং জজ্জে ততঃ গ্রাণো মহানণুঃ ॥ 
প্রাণেনাক্ষিপত্ত। ক্ষুতুডৃস্তর! জায়তে বিভোঠি। , 


২২. * জীবের জঙ্মষ্ট . 


পিপাসতোজক্ষতম্চ পাঙ্যুখং নিরতিচ্ভত ৪ 
সুখতত্কারুনিভিন্ং জিনা তরলোপজীয়তে। 
ততো নানারসো৷ জজ্ঞে জিহ্বর়] যো ধিগম্যতে 1 
বিবক্ষোমূখতো! ভূয়ে। ব্ধির্বাগ্ব্যান্থতং তয়োঃ | 
জলে চৈতন্তরুচিরং নিবোধঃ সমজারত ॥ 
'.. নাসিকে নিরভিগ্বেতাং দোধুয়তি নতম্বতি। 
: ত্র বাসুন্ধবহো স্বাণে! নসি জিদ্বক্ষতঃ | হর্তযাদি। 
আত্মার প্রেরণায় অনস্তাকাশে ক্রিয়া-শক্তির প্রুরণ হই থাকে এবং তাহা 
হইতেই ইঙ্জিয়। মন, বল ও লুক্ষপ্রীণের বিকাশ হয়। প্রাণের স্পন্দন 
কুধা-তৃষ্কার বিকাশ হইলেই তন্লিবারণার্থ মুখের উৎপত্তি হয় এবং মুখমধ্যে তালু ও 
রসপ্রাহী রসনেক্রিয়ের বিকাশ হইয়া থাকে। তদনস্তর কথা কহিবার ইচ্ছা হইলেই 
বাগিক্রিয় এবং বন্ধি দেবতার বিকাশ হয়। প্রীন্ববাযুর অত্যন্ত সঞ্চার এবং 
পন্ধ গ্রহণের ইচ্ছ। হওয়ামাত্র স্রাণেন্্িয়ের বিকাশ হুইয়৷ থাকে । এই প্রকারের 
অবিষ্তোপহিত চৈতন্তে অহংডাবের হুচন! হইয়াই ততপ্রেরণায় কারণশরীরের স্বারা 
সুক্মাশরীর ঝর্দকক& হইয়। থাকে । এই সুক্ষশরীয় বা লিলশরীর সপ্তদশ সুক্ষ 
উপাদানে গঠিভ | যথা পঞ্চদশীতে _ 
* বৃদ্ধিকশ্েন্দিয়প্রাণপঞ্চকৈম নসা ধিয়া। 
শনীরং সপ্তদশভিঃ সুস্মং তল্লিঙগমুচ্যতে ॥ 
পঞ্চ জালেন্ত্রিয়। পঞ্চ কর্সোরন্দিয়, পঞ্চপ্রাণ, মন এবং বুদ্ধি যোহার মধ্যে চিত্ত 
ও অহঙ্কার অন্ততূ্ত )* এই সপ্তদশ উপাদানে হুশ্মশরীর উৎপন্ন হইয়া থাকে 
চ্ষু, কর্ণ, নানিকা, জিহ্বা এবং ত্বকৃ এই পাঁচটি জঞানেস্তিয়। বাক্‌, পাণি, পাদ 
পায়ু ও উপস্থ এই পাঁচটি কর্শেক্র্রির। ' প্রাণ অপান, সমান, উদান, ব্যান এই 
পীচটি প্রাণ। ইহারা সকলেই হৃল্ষ বস্তু, ভুল কেহই নহে। চক্ষু বলিতে স্থৃল 
চক্কু-গোলক নহে, যে হুক্মশক্তির বার! সুল চক্ষু-গোলক দর্শনক্রিয়া সম্পাদন করে 
তাহাকেই চক্রুরিক্িয় বলা হয়। এইরূপে অন্ঠান্ত ইন্জিয়ের সম্বন্ধেও বুঝিতে 
হইবে। পঞ্চ প্রীণ ও হুল শক্তি যাহার দ্বারা পঞ্চ পুলবাযুর কার্য 
করিয়া থাকে। এইজন্য উহাও শুল্্স শরীরের অস্তর্গত। মনের শ্বভাক 
সবর বিবঞ্জ কয়! এবং বুদ্ধির ন্বভাব নিশ্চয় করিয়া! দেওয়া। চিত্ত, মন ও 


| জন্মাস্তর-তত্ব। ২৩ 
যুদধিয় হার! অর্জিত সমন্ত সংস্কারের আশ্রর স্থান এবং অহঙ্কার বুদ্ধির মূলে খাঁকিয়। 
জীবাস্মার কতৃ-তবত্রম উৎপর করে । এইরূপে সুক্মশরীর উৎপর হইবার পর তাহার 
'বেগে পঞ্চিভৌতিক স্কুল পরীর আকৃষ্ট হইক়্া থাকে । কারণ ুক্ম ইন্জিয় ভোগের 
যসত্রবূপ স্থুল ইঞ্জিয় সমূহ ভিন্ন ভোগ সম্পাদন করিতে পারে না। এইজগ্ত সুপ্ম মনের 
সহিত একাদশ ইন্্িয়ের মধ্যে ভোগের নিমিত্ত প্রেরণা! উৎপন্ন হইলেই ক্ষিতি, অপ, 
তেজ, মরু ও ব্যোম-নির্মিত সুলশরীর উৎপন হইয়! হুক্শরীরের উপর অবস্থিত 
ইয়| এইরূপে ব্যাপক প্রক্কৃতি-পুরুষরাজ্যে শ্বাভাৰিক প্রন্কৃতি প্পন্দন দ্বার! 
জীবভাবের উৎপত্তি এবং জীবাত্মার সহিত স্থুল; সুম্ু, করণ-শরীরের সম্পর্ক হইয়া 
থাকে। উল্লিখিত শরীরত্রয়কে বেদাস্তশান্থ্ে পঞ্চকোষও বল! হইয়া.খাকে। 
যথা-_-পাঞ্চভৌতিক স্থুলশরীর অন্লময় কোধ। পঞ্চকর্েন্ত্রিয় ও প্রাণশক্তিগুলি 
'মিলিয়া প্রাণময় কোষ । পঞ্চকর্খেন্জ্রিয় এবং মন মিলিয়৷ মনোময় কোষ? পঞ্চ- 
জ্ঞানেন্ত্রিয় এবং বুদ্ধি মিলিয়! বিজ্ঞানময় কোষ । অবিদ্গামুলক কারণশরীর আনন্দা- 
ময় কোষ। এইরূপে তিন শরীর বা! পঞ্চকোবযুক্ত জীবাত্মাকেই জীব, ধিলা হইয় 
থাকে এবং এই ভীবই অনাদি মায়ার চক্রে লক্ষ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করিয়। পরিশেষে 

মষ্য-যোনি প্রাপ্ত হয় এবং মনুষ্য-যোনির মধ্যে স্বে্ছাককৃত কর্মের দ্বারা কখন 
স্বর্গে, কখন নরকে, কখন দেব-যোনিতে, কখন মনুষ্য-পশ্বাদি যোনিতে বস্তার 
অত বিতুণিত হইয়া থাকে । উহা কেন এবং কি প্রকারে হয়, তাহাই অতঃপর 
আলোচিত হইবে । */ 


জীবের গতি । 
অনাগ্ধানস্তা.প্রকুতিমাতার অসীমনসঙ্কে চিজ্জড়-্রন্থি-যোগে কতই জীব অনবরত 
উৎপর়্ হইতেছে এবং দুল ভ নিঃশ্রেয়সপদ-প্রাপ্তি পর্য্যন্ত ঘটিকাযস্ত্রের মত জনম-মর়ণ- 
উক্রে কতই ঘুণিত হইতেছে তাহার ইয়ত। কে করিবে ? মহধি বশিষ্ঠ বলিয়াছেন-_. 
এবং জীবাশ্রিতা ভাবা ভবভাবন-মোহিতাঃ। . 
বরহ্মণঃ কল্লিতাকায়াল্পক্ষশোহপাথ কোটিশঃ ॥ * 


এ বি ১ মরন চাপি রনদ্য ভৌঃ। 
মৌর্থটই নির্বৃাৎ। ; & 


২৪ দ্লীবের গতি । 


স্ববাসনাধশাবেশাদাশা বিবশতাং গতাঃ। 
দশাস্বতিবিচিত্রাস্থ্‌ স্বয়ং নিগড়িতাশয়াঃ ॥ 
অনারতং প্রতিদিশং দেশে দেশে জলে স্থলে।, 
জায়ন্তে বা ঘিয়স্তে ব| বুদ্বুদা ইব বাঁরিণি ॥ 
কেচিং প্রথমজন্মানঃ কেচিজ্জন্মশতাধিকাঃ। 
কেচিছ্বা জন্মসংখ্যাকাঃ কে চিদ্দি-ত্রিভবাস্তরাঃ ॥ 
ভব্যাজ্জীতয়ঃ কেচিৎ কেচিদ্‌ ভূততবোস্তবাঃ ৷ 
বর্তমানভবাঃ কেচিৎ কেচিত্বভবতাং গতাঃ ॥ 
কেচিৎ কল্পসহআ্ীণি জায়মানাঃ পুনঃপুনঃ | 
একামেবাস্থিতা যোনিং কেচিদ্‌ যোন্তস্তরং শিতাঃ ॥ 
কেচিন্মহহুংখসহাঃ কেচিদল্পোদয়াঃ স্তিতাঃ | 
কেচিদত্যন্তমুদিতাঃ কেচিদর্কাদিবোদিতাঃ ॥ 
কেচিৎ কি্নরগন্ধর্ব-বিদ্যাধরমথোরগাঃ | | 
কে চিদ্্কেন্্রবরুণীস্তাক্ষা ধোক্ষজপদ্ুজাঠ ॥ 
কেচিৎ কুম্বাগুবেতালঘক্ষরক্ষঃপিশাচকাঃ। 
কেচিদ্‌ ব্রান্দণভূপাল! নৈশ্তশূদ্রগণাঃ স্থিতাঃ ॥ 
কেচিচ্ছপচ্চাণ্ড।লকিরা ভাবেশপুক্ধপাঃ। 
কেন্ড্ুণোববী: কেচিৎ ফলগলপতঙ্গকাঃ ॥ 
কেচির তৃজঙগগোনাসক্কমিকাটপিপীলিক 21 
কেচিন্স গেন্দ্রমহিষ মৃগাজচমরৈণকাঃ ॥ 
আশাপাশ'শনৈব্দ্ধ। বাসনাভাবধাবিণঃ | 
কায়াৎ কায়মূপাজন্তি বুক্ষাৎ বুক্ষমিবাগজা: ॥ 
তাবদ্‌ ভ্রমন্তি সংস!রে বারিণ্যাবর্তরাশয়ঃ | 
যাবদুঢ়। ন পন্ন্তি স্বমাত্ানমনিন্দিতম্‌ ॥ 

ৃষ্ট আ্বানমসৎ ত্যক্ত1 সত্যামাসাগ্ত সংবিদম্‌। 


কালেন পদমাগত্য জায়স্তে নেছ তে পুনঃ ॥ 
এইরূপ লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি চিদংশ জীব সংসার তাবনায় ভাবিত চিত্ত 


, হইয়া নিয়ত নিরতি-চুকে পরিভূমণ কৰিতেছে। অসংখ্য পূর্বেই উৎপন্ন হইয়াছে, 


জন্মাস্তর-তস্থ। ২৫ 


অসংখ্য এখনও উৎপর হইতেছে এবং নিব রিণী-নিঃকৃত জল-কণাঁর মত অসংখা 
ভবিষ্যতেও উৎপন্ন হইবে। জীব ম্ববাসনায় আশা-বিবশ হইয়! অতি বিচিত্রভাৰ 
বন্ধনপ্রাপ্ত হইতেছে এবং সমুদ্রে জলবুদ্বুদের মত জলে হলে অনুক্ষণ কালের 
কবলে কবলিত হইতেছে । কাহারও একই জন্ম হইয়াছে, কাহারও শতাধিক 
জন্ম হইয়া গিয়াছে, কেহ বা কল্পে কল্পে জম্মধারণ করিয়াছে, কেহ এখনই জন্ম 
লইবে এবং কেহ লইতেছে। কাহারও মহান্‌ দুঃখ হইতেছে, কেহ সামান্য ছঃখী 
এবং কেছ ছুঃখসাগরে নিমগ্ন হইতেছে । কাহারও কিন্নর-গন্ধর্বাদি যোনি প্রাপ্তি 
হইতেছে, কেহ কর্ফলে সৃর্যা-্চন্দ্র-বরুণ বা! ব্রহ্গা-বিষু-মহেশ্বর হুইতেছেন, কেহ্‌ 
বেতাল যক্ষ-রক্ষ-পিশাচার্দি যৌনিলাভ করিতেছে এবং কাহারও ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় 
বৈশ্ত শূদ্রাদি মানব জন্মলীভ হইতেছে । কেহ শ্বপচ চগ্ডালাদি নীচযোনি প্রাপ্ত 
হইতেছে, এবং কেহ তৃণৌষধি ইত্যাদি উদ্ভিদযোনি, কৃমি-কীটাদি স্বেটজিযোনি, 
মৃগেন্্-মহিষাদি পণ্ত-যোনি ও সারসহংসাদি অগুজ-যোনি সমূহে জন্মলাভ করিতেছে। 
অবিগ্থায় বিৰিধভাবে মুগ্ধ হইয়া এইরূপে সমস্ত জীব বৃক্ষ হইতে বৃষ্ষান্তরগত পক্ষীর 
মত শরীর হইতে শরীরান্তর প্রাপ্ত হইতেছে । এবং আনন্দময় পরঙাত্মার দর্শন 
না হওয়। পর্য্যন্ত অনস্ত জলাবর্তের মত সংসার-চক্রে আবর্তন করিতেটছ। এইরূপে 
লক্ষ লক্ষ জন্ম সংসার-চক্রে পরিভ্রমণ করিবার পর কদাচিৎ কালপ্রাপ্ত হইলে পর 
তবে জীব মায়াজাল হইতে মুক্তিলাভ করে এবং তখনই জীব নীজের ব্রহ্মত্ববীপ 
উপলব্ধি করিয়া জনন-মরণ-চক্র হইতে চিরকালের জন্য নিস্তার লাভ করিয়! থাকে। 
ইহাই মহধি বশিষ্ঠ বণিত অনন্তবিলাসময়ী জীবস্থ্টির অনন্ত ধারা । এখন এই 
জীবধারার প্রথমযোনি হইতে শেষযোনি পর্যন্ত জীবঁক প্রকারে অগ্রসর হয় 
ক্রমশঃ তাহাই বণিত হইবে। . 
সংস্কার বিনা ক্রিয়া হইতে পারে ন। এবং ক্রি! বিন! জীব প্রক্কৃতির উন্নতিশীল 
প্রবাহে অগ্রসর হইতেও পারে না, এজন্য চিজ্জড়-গ্রস্িদ্বারা 
পল জা জীবভাবের বিকাশের পর তিনশরীরবিশিষ্ জীবের 
*ন? চ * ৮. প্রন্কৃতি-প্রবাহে অগ্রসর হইবার নিমিত ক্রিয়ার প্রয়োজন । 
সে ক্রিয়ার সংস্কার কোথ৷ হইতে আসিবে? শাস্ত্র বলেন--প্রাক্কৃতিক ম্পন্দনই 
ক্রিয়া অর্থাৎ জীবভাব উৎপন্ন করিবার জন্ত তমোগুণ হইতে রদ্বোগুণের 
দিকে প্রন্কৃতির যে গতি, সেই গতিনিবন্ধন স্পন্দন হইতেই প্রাকৃতিক ক্রিয! 


২ জীবের গন্ভি। 


উৎপন্ন হয় এবং এই ক্রিয়ার সংস্কারকে আশ্রয় করিয়াই উত্ভিদ-যোনি হইতে মনুষ্য- 
যোনির পূর্ব পর্য্স্ত সমস্ত জীব অগ্রসর হইয়া! থাকে । জআর্ধ্যশীস্ত্রে জীবভাবের 
বিকাশের প্রথম যোনিকে উদ্ভিজ্জ বলা হইয়াছে এবং এ যোনি হইতে মনুষ্য-যোনির 
পূর্ব পধ্যস্ত চতুরর্শীতি লক্ষযোনি প্রত্যেক জীবকে ভ্রমণ করিতে হুয়, এরূপ সিদ্ধান্ত 
নির্ণীত হইম্সাছে। ঘথা বৃহৎ বিষুপুরপণে-_ 
স্থাবরে লক্ষবিংশত্যো জলজং নবলক্ষকম্‌। 
ক্কমিজং রুদ্রলক্ষ্ পক্ষিজং দশলক্ষকম্‌ ॥ 
পশ্থাদীনাং লক্ষত্রিংশচ্চতুর্লক্ষঞ্চ বানরে। 
ভতো! হি মানুষ! জাতাঃ কুৎসিতাদেবিবলক্ষকম্‌ ॥ 
মনুষ্য-যোনি লাভের পূর্ব্ব প্রথমতঃ জীবের বিশ লক্ষবার উদ্ভিদ-যৌনি লাভ হয়, 
াহার পর একাদশ লক্ষবার ম্বেদজ-যোনি লভ হয়, তাঁহার পর উনবিংশতি লক্ষ- 
বার অণ্ডজ-যোনি লাভ হয় এবং তাহার পর চতুস্ত্রংশৎ লক্ষবার পশু-যোনি লা 
চয়। এইরূপে চতুরশীতি লক্ষ যোনি ভোগ হইবার পর তবে জীব মন্থুষা-যোনি লাভ 
করিতে পাঁরে। মনুষ্য-যোনি লাভের পুর্ববে জীবেব অন্তিমজন্ম কোন যোনিতে 
হইয়া থাকে এবিষয়ে শান্জ্র বলিয়াছেন যে, ত্রিগুণানুসাবে জাবের মনুমোর প্রবাহে 
অস্তিমজন্মও ভিন প্রকারের হইয়া থাকে । যথা, তমোগুণানুস।রে অন্তিমজন্ম 
বানরের হয়, ভাহার প্রমাণ উপরেই দেওয়া হইয়াছে । সব্বগুণানুসারে অস্তিমজন্ম 
গোজাতিতে হয়। যথা পন্পপুরাণে_ 
চতুরশাতিলক্ান্তে গোঁজন্মা তপরং নর£। 
চুরাশিলক্ষ যোনির অস্তে গোজন্স হইর! ভৎপরে মন্থৃবাজন্ম লাভ হর : রজোগুণা- 
সারে অস্তিমজগ্ সিংহের হয়) এই বিষয়েও শাস্ত্রে প্রমীণ পাওয়া যায়। এই সকল 
যোনি প্রাধ্ধির বিষয়ে বেদেও বর্ণন আছে । যথা, খণ্বেদীয় এতরেয়োপনিষদে-_ 
“এষ চেতর।ণি চাগুজানি চ স্বেদজাশি চোছিজ্জানি 51৮ 
শনগষ্যেতর যোনিতে জীব উদ্ভিজ্জ, ম্বেদজ। অগুজ এবং জরাঘুজ এই চার যোনি 
প্রাপ্ত হুইয়া থাকে । জীবের এইরূপ যৌনিলাভ কেবল সুলশরীরের পরিবর্তনের 
দ্বারাই হইয়া থাকে। হুক্ম ও কারণ শরীরের পরিবর্ভন বা নাশ হয় না। যথ৷ 
ছান্দোগ্যোপনিষদে-» ৮ 
জীবাপেতং বাব কিলেদং ভিয়তে ন জীবে! ভ্রিয়তে। 


জন্মান্তর-তত্ব। চা 


গুঙ্ষ ও কাঁরণ শরীরযুক্ত জীথাত্মা কর্তৃক পবিত্যন্ত হইলে স্থূল শরীরেরই মৃত্যু হয়া 

থাকে) জীবাস্মার মৃত্যু হয় না। এইরূপ গীত।তেও ভগবান্‌ বলিয়াছেন যথা-_ 
বাঁসাংসি জীর্ণ।'নি যথা বিহায় 
নবানি গৃহ!তি নরোহপরাণি? 
তথা শবীবাণি বিহাদ্ব জীর্ণা- 
নানি সংযাঁতি ননানি দ্েহী ? 

ষে প্রকাব জীর্ণবস্থ পরিভ্যাগ করির! মনুষা নূতন বন্ত্র পরিধান করিয়া থাকে 
সেইরূপ জীবায্বা জীর্ণশবীব ত্যাগ পুর্ববক অন্য নৃতন শবীর পরিগ্রহ করিয়া! 
থাকেন। এইরূপে জীনাম্মার স্থলশবীর পরিত্যাগকেই মৃত্য বলা হয়। প্রথষ 
উদ্টিদ্যোনি হইতে শেষ উদ্দি্-বোনি পর্যন্ত সুক্ম ও কাবণশরীরযুক্ত জীবাত্মা 
নিশ লক্ষবাব এই প্রকাঁবে একে পব দ্বিন্তীয়, দ্বিতীম়্ের পর তৃতীয় ক্রমানুসারে 
ক্রমোনত উদ্দিদধোনি গ্রঙ্গণ কিয়া উত্ত সোনিকে সমাপ্ত করেন। তদনগ্তর 
পীবাস্ম। ১১ লক্ষবার ক্রমোরত স্বেদজ কীটাদিব যোনিসমূহ প্রীপ্ত হন। 
স্বেরজ-বৌনির পর ১৯ লক্ষবাঁর ভীব্বে ক্রমোন্নত অগুজ-যোনি প্রাপ্তি হয়। উহার 
মধ জলোৎপন্ন মত্স্ত,মকবাদি ক্রমোরত অগ্ডজ-যোনি ৯ লক্ষবার এবং স্থলোৎপন্ন 
নিহঙ্গ পতঙ্গাদি ক্রমোনত অগুজ-যোনি ১* লক্ষবার প্রাপ্তি হয়। অগ্জ-যোনি 
সমাপ্ত কাবরা জীব জরাঘুজ পাশু-ঘোঁনিব মধ্য প্রবেশ করে এবং ৩৪ লক্ষবার 
ক্রমোরত পশ্ত-যোনি সমুহ প্রাপ্ত হইয়া তবে জরামুজ পশ্ত-যোনি সমাপ্ত করিতে 
পবে। এইরূপে ৮৪ লক্ষবাব মন্তুষোতব যোনিসমন্ে জন্ম হইবার পর তবে জীবের 
মনুষা-যেনি লাভ হইন়্া থাকে । কিন্থ মনুষ্য তব যোনিসমূ্ধে থ্বেরূপ জন্মগ্রহণের 
সংখা। শাস্ত্রে নির্ণীত হইয়াছে মন্তষা-যোনিতে সেইরূপ সংখানিদ্ধীরণ হইতে পাৰে 
না। ইহার কাবণ এই যে মন্যোহব দোনিসমুছ্ে জীবের বুদ্ধি বিকাশ ও অহঙ্কার 
বিকাশ না হওয়ায় জীব ভাল-মন্দ, গাপ-পুপ্য কোন কর্মহি নিজে ক'রতে পারে না। 
গ্রবাহিনী-পতিত কাষ্ঠ-খণ্ডের স্তায় তমোগুণ হইতে ক্রমোদ্ধীগামিনী ব্রন্ধাগ্-গ্রকৃতিৰ 
গ্রাবাহে জীবকে প্রবাহিত হইতে হয়। অতব যখন ব্রদ্ধাও-প্রকতি ক্রমশঃ 
উপরের দ্রিকে উঠেন এবং জীব সেই প্রবাহে পড়িয়া থাকে, তখন মন্যোভর 
যোনিসমূহে জীবের কখনই পতন হইতে পারে না। প্রথম উদ্ভিদ হইতে শেৰ 
পণ্ড পর্যন্ত তাহীর অনাদ জমোয়ভিই হইগা থাকে ।  এইজপে বাঙাহীন ক্রমোন্নতি 


২৮ - জীবের গতি । 


হওয়ার জন্যই মহধিগণ জীব-গতির উপর সংযম করিয়া ৮৪ লক্ষ যোনির সংখা 
নির্দেশ করিতে পারিয্বাছেন। কিন্তু মগুষ্য-যোনিতে আসিলেই জীবের বুদ্ধি বাড়িয়া 
যায়, অহঙ্কার বাড়িয়া! যায়, জীব নিজের শরীর ও ইন্জ্রিয়ের উপর প্রভৃত্ব করিয়া 
ভালমন্দ কত কর্ম ই করে এবং সেই সকল স্বওস্ত্র কর্মের তারা কখন স্বর্গে, কখন 
নরকে ইত্যাদি কত যে স্ুুদশা ছূর্দশাই লাভ করে, তাহার ইয়ত্তা! হইতে পারে ন!। 
কারণ সে যখন স্বতন্ত্র, তথন তাহার কর্ম্ম-সংস্কীর শ্বতশ্ত্র এবং কর্মের বশে উচ্চাবচ 
বিবিধ যোনিপ্রান্তিও নিশ্চিত। অতএব মনুষ্য-যোনিতে কতবার জন্মগ্রহণ করিয়া 
তবে মনুষ্য পূর্ণতব প্রাপ্ত হইতে পাবে, ইহা সকল মনুষ্যের পক্ষে একরপও হইতে 
পারে মা! এবং ইহার সংখা। নিণয়ও হইতে পারে ন|। 
মনুষ্েতর সমস্ত যোনিতে জীব ব্রক্ষীগ্-প্রক্কৃতির স্পন্দন জনিত প্রার্কতিক 
সংস্কারকে আশ্রয় করিয় প্রবাহপতিত রূপে অগ্রসর হইয়া 
থাকে। এজন্ত শ্রী সকল যোনিতে জীব সমূহের এ্রূপই 
চেষ্টা হইবে যেরূপ ক্রমোন্নতিশীল প্রবাহে জীব অগ্রসর 
হইতেছে । উহ ব্রমোন্নতি অনুসারে পৃথক পৃথক হইলেও এক প্রবাহে 
একইরূপ হইবে। এই জন্যই মনুষ্যেতর যোনি সমূহে সমতেণীর জীবের 
মধ্যে সমানরূপ চেষ্টাই দেখিতে পাওয়া যায় । যেমন পিংহ বা ব্যাপ্তকে কেহ 
কখনও ঘাস খাইতে দেখিবেন না । ইহারা নিজের প্রকৃতি অনুসারে মাংসই 
থাইবে। আবার গরু কদাপি মাংস না থাইয়া ঘাসই থাইবে। এইরূপে ব্রহ্ধার্ড 
প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন স্পন্দনজনিত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কার ও স্বভাব “প্রাপ্ত হইয়া নানা 
যোনির মধ্য দিয়া জীব ক্রমশঃ গগ্রীসর হয়। বিস্তু এ সকল সংস্কার ব্রন্গাও-প্ররুতি 
বারা প্রাপ্ত হয় বলিয়! উহাদের সহিত জীবের স্বামিত্ব-সপ্থদ্ধ থাকে না এবং এই জন্যাই 
মনুষোতর জীবসমূহের মধ্যে পূর্বজন্মের সংস্কার পরজন্মের কারধরূপ হয় না। 
পূর্বাজশ্মের সমাপ্তির সময় পূর্বজন্ম-প্রদ প্রাকৃতিক সংস্কার বঙ্গাও-প্ররুতির মধোই 
থাকিয়া যায় এবং জীব প্রকৃতি-চালিত হইয়া আগামী জন্মের নূতন সংস্কার নূতন 
প্রাকৃতিক স্পন্দনের ফলরূপে নৃতন ভাবেই প্রাপ্ত হইয়া থাকে এবং তাহার নূতন 
অন্ধের চেষ্টাও তদ্রপ হইয়! থাকে । দৃষ্াস্তরূপে বুঝা যাইতে পারে যে যদি কোন 
জীবের প্রাকৃতিক সংস্কারাহুসারে স্বান-যোনি প্রাপ্তি হয়, তবে সে শ্বান-যোনি-মুলভ £ 
মাংস ভক্ষণই করিবে এবং নিদ্রা-তয়-মৈথুনও শ্বানপ্রকৃতির সংস্কারাছুসারে করিবে । 


মনুষা ও ত'দতর যোনি 
সমূহে কর্ণের তারতঙ্য। 


জল্মাস্তর-তখ ৷ টি 


কিন্তু যদি শ্বান*যোনি শেষ হইধার পব তাহার অর্ব-যোনিলাভ হয় তবে আর 
স্বীন-যৌনির সংস্কার তাহাকে আদৌ আশ্রয় করিবে না, সে নবীন অশ্ব-যৌনির 
সংস্কারবশে মাংস খাওয়া ভুলিয়! গিয়া ঘাস খাইতে আরম্ত করিবে। অঞ্ু্ঠং সে 
গ্বটন-যোনিতে মাংস খাইত, সুতরাং সেই সংস্কারবশে পবের যোনিতেও খাওয়া 
উচিত এরূপ হইবে না । অতএব সিদ্ধান্ত হইল যে মনুষ্যেতর যোনিসমূহে জীবের 
গতি একমাত্র প্রাকৃতিক সংস্কারের বলেই হইয়া থাকে, উহাতে পুর্বকর্মের সহিত 
পরবর্তী কর্মের কোনই সব্বন্ধ থাকে না এষং প্রারব-সঞ্চিত আদি কোনপ্রকার' 
স্কীর বৈচিত্রযও উহার মধ্যে নাই। পরস্ত মনুষা-যোনিতে পদার্পণ করিয়া 
জীবের গতি পরিবর্তিত হইয়। থাকে । এ সময় বুদ্ধি-বিকাশ এবং নিজশরীর ও 
ইন্ছ্িয়গণের উপর মমত্ব সম্বন্ধ স্থাপিত ভওয়াতে মন্থুষ্য ব্রন্ধাগু-প্রক্ৃতির সংস্কার" 
ধারাকে পরিভাগ পূর্বক স্বতন্ত্র কর্ম প্রগাবে ব্যক্তগত স্বতন্ত্র সংস্কার উৎপন্ন 
করিতে থাকে । তদনুনাবে মন্ুষ্-বো'নতে আদিয়! পূর্ধবকন্মানুসারে জীবের 
আগামী জন্ম প্রাপ্তি হইয়া থাকে এবং উন্নত বা অবনত নিজকুত প্রারব্ধানথুসারে 
উন্নত বা অবনত জন্মলাভ হইরা থাকে । এই কাবণ বশতই মনুষ্েতর যোনি- 
সমূহে কেবল মাত্র প্রাকৃতিক সংস্কার ([750106) থাকিলেও মনুষ্য-যোনিতে 
আসিয়া! জীব পরার, সঞ্চিত ও ক্রিমমাণ এই তিনপ্রকার স্বোপার্জিত সংস্কারব্ণে 
তিন্ন ভিন্ন গতি লাভ করিয়া থাকে । পশ্বাদি যোনিসমূহে ব্রহ্গাণ্ড প্রক্কতির 
অধীনত এবং শবীর ও ইন্জিয় সমুহের উপর শ্বামিত্বের অভাব থাকার জন্য পল্ত 
প্রভৃতির মধ্যে আহার-নিদ্রা-ভয়-মৈথুনাদি সকল ক্রিয়াই নিয়মিত, হইয়া থাকে । 
উহাতে প্রারুৃতিক নিয়নবিরুদ্ধতা অথব! অপ্রাক্কৃতিক বলাৎকারের সহিত কোন 
কার্যাই হয় না । এই জন্তই পণ্ডপক্ষী আদির মধ্যে অনিয়মিত মৈথুনার্দি কদাপি 
দৃষ্টিগোচর হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে স্ৃষ্টি-কাধ্যের জনতা খাতুকাল 
উপস্থিত হইলে উহাদের মধ্যে স্বয়ংই মৈথুনেচ্ছ। উৎপন্ন হইয়া থাকে । আবার 
হৃষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের পরেই এ ইচ্ছা একেবারে বিলুপ্ত হয়। সে সময় শ্ত্রী-পুকধ$ 
একসঙ্গে থাকিলেও কাম-প্রবৃর্তি উৎপন্ন হয় না । কিন্তু মনুষ্যযোনিতে আসিলেই 
উদ্দা ইন্্রিয়-প্রবৃত্তির বশে জীব ব্রহ্গাগুপ্রক্কতির এই মধুর নিয়মকে অতিক্রম করে 
এবং অনিয়মিত ভাবে যথেচ্ছ ইন্দ্িয়-সেবা-পরা়ণ হইয়া প্রকৃতির ক্রমোরতিণীল 
প্রবাহ হইতে পৃথক হইয়া পড়ে। এই কারণেই পশ্থার্দি জীবের মধ্যে আহার 


৩ জীবের গত । 


নিদ্রা, ভয়,মৈথুনাদি নিয়মিতভাবে হইলেও মনুষ্য-যৌনিতে আপ্রিয়া জীবের নকল 

ক্রিয়া অনিয়মিত হয়া যার । ব্রপ্ধাড প্রকৃতির ধার তমোগুণ হইতে সত্বগুণের 

দিকে এক্রেমোযত হর বলিরা মন্ুয্যেতর জীবসমূহ এই ধারার অবলক্কনে যতই 

উর্ধগতি প্রাপ্ত হুক, তত্তই উচ্চাদের মধো পঞ্চকোষের ক্রমবিকাশ এবং তনিবন্ধন 
শারীরিক, মানসিক ও ক:দ্ন্বদ্ধীয় বিবিধ বৃত্তিব স্বস্তি হইয়! থাকে । প্রত্যেক 
জীব-শরীরের উপাদানের মধ্যে তিন শর্দীর অথবা পঞ্চকোধেব সম্বন্ধ থাকে বলিয়া 

জীব্মাত্রের মধ্যেই পঞ্চকৌষ বিষ্ঠমান থাকে । কেবল প্রভেদ এই যে নিয়ভ্রেশীর, 
জ্পীবের মধ্যে সকল কোষের বিকাশ হয় না । ভবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কোষ 
সমূহেরও ক্রমবিকাশ হইয়া থাকে । তদনুসারে উদ্ভিজ্জ মোনিতে অন্মময় কোষের 

বিকাশ, স্থেদ্জে অন্ননয ও গ্রাণময় উভরেবই বিকাশ, অগুজে অন্নময়, প্রাণময় ও 
মনোময় তিন কোযেবই বিকাশ, এবং জরধুজ পশু-যোনিত্তে আনময়। প্রাণময়, 
মনোময় এবং বিজ্ঞানময় চার কোধেসই বিকাশ ভ্ইয়। থাকে । উচ্ভিদে কেবল অন্নময় 
কোষের বিকাশ হয় বলিয়া এই যোনিতে জীব প্র।ণ-ক্রিক্সা দ্বারা একস্থান হইতে 
স্থানীস্তরে গয়ন করিভে পারে না; কিন্ত স্বেদজে গ্রাণনয় কোষেরও বিকাশ হওয়ায় 
শ্বেদজ কীটাদি ইতস্ততঃ গমনাগমন করিতে পাবে এবং নিদের প্রাণ-শক্তির ছার! 
মহামারী আদি উৎপন্ন করিয়া পবেব প্রণকে বিপদগ্রস্ত কাবতে পারে । অগজে 
মনোময় কোষের নিকাঁশের জন্তাই অগুজ কপোত, চক্রণাক আদি পক্ষীর মধ্যে 
অপূর্ব অপত্ঙ্গেহ ও দাম্পত্যপ্রেম দেখা গিয়া থাকে । জরারুজ পণ্ডগণের মধ্যে 
অন্নময়াদি কোমত্রয়ের অতি'রিন্ত নিজ্ানময় কোেবও স্ফুতি হয় বলিয়া পশ্তুগণ 
নানাবিধ মনোনুত্তি এবং বুদ্ধিবুদ্তিরও পর্রচয় প্রদান করিয়া থাকে । গোমাত। 
মিজের সম্থানকে বুন্ুক্ষু রাখিয়[ও জগজ্জনের পরিপালনেব জন্ত অনৃতধারা বর্ষণ 
করেন। অন্ধ-কণা-তৃপ্ত শ্বান কৃতজ্ঞতার সহিত বিনিদ্র-রজনীতে নিজ স্বামীর 
সম্পত্তিরক্ষ। করিয়া থাকে এৰং প্রসুর বিপদে অনলালাক্রমে আত্মবলিদান করিয়া 
ছন্য হয়। পণুরাজ সিংহ দুর্বল পণ্তর উপর কর্দাপি আক্রমণ করে না এবং 
যৌবনাবস্থায় পিভানাতার দ্বারা সংগুহীত মুগ-মাংসও ভক্ষণ না করিয়া নিজের 
বীরত্থে সংগৃহীত মাংসভোজন করিয়া থাকে । এইরূপে চারি কোষের ক্রমবিকাশের 

সঙ্গে সঙ্গে মনুব্যেতর জীবসমূঙধ ত্রমোনত বুততিসমুহের কুস্তি দেখিতে পাওয়া যায়। 
তথাপি এই সকল যোনিতে আনন্দময় কোদের বিকাশ হয় না। 'এক। ইহাদের 


জনাতৃর-ন্ব | ৩১ 


মধ্যে বিকশিত বৃদ্ধি-বৃত্িও স্বশরীরের উপর অভিমান আনয়ন করিবার ' যোগ্য .হয 
না। আনন্দময় কোষের বিকাশ না হওয়ার জঙ্ই মনুষ্যেতর জীবের! হাসিতে 
পারে না। হ্বদয়াননদ বিকাশস্থচক স্পষ্ট হালি মনুয্যই হাসিয়া থাকে । কারণ 
আনন্দময় কোষের বিকাশ ননুষ্যের মধ্যেই হইর| থাকে । এই আনন্দময় ফেবের 
বিকাশের জন্ই “আমার শরীর, আমার ইন্দ্রিয়, আমি ইহাদের দ্বারা যথেচ্ছ ভোগ 
করিতে পারি” ইত্যাদির বুদ্ধ ও বাসন! উৎপন্ন হইয়া মন্ুযোর মধ্যে ইন্জিয় 
লালসাকে বলবভী করিয়া দেয়। কারণ যাহার মধ্যে যে শক্তি আছে সে যদি 
জানে যে আমার এই শক্তি এবং ইহার দ্বারা একট সুখসাধন করিতে পারি, তবে 
হ্বভাবতঃই তাহার ইচ্ছা-শক্তিচালন। ও স্ুখভোগের দিকে বাড়িয়া উঠিবে। 
মনুষ্যেতর জীবের মধ্যে ইন্জ্রিয়ভোগ-শাক্ত থাকিলেও উহার জ্ঞান থাকে না এগন্য 
প্রক্কৃতি এ ইন্দ্রিয়-লালসাকে নিয়মিত কবিতে পারে । মনুষ্যে ইন্্িয়ের শক্তি ও 
জ্ঞান, শরীরের উপর অহঙ্কার সবই পরিষ্ুট হয়। এবং এই জন্তই অতিরিক্ত 
ইন্জিয়-পরায়ণত্ত দ্বার! মনুষ্য গুবতির ক্রমোনতিণীল প্রবাহ হইতে চ্যুত ইয়! পড়ে 
এবং ইহাতে তাহার আবার অধে।গতির আশঙ্কা উপস্কিত হইয়া থাকে। যে 
শক্তি মন্থুষোর এই অধোগমনের আশঙ্কী নিবারণ করিয়া মনুষ্যকে' ক্রমোন্নতির 
অবসর প্রদান পূর্বক পূর্ণত্র দিকে অগ্রাদর করে, দেই শক্তির নামই ধর্ম। এই 
ধর্মের বিধিই মানবীয় প্রক্কতি-ওবুত্তির বৈচিত্যানুসারে বেদাদি শাস্ত্রসমূহে 
সন্নিবেশিত হইয়াছে । মনুয্যেতর যৌনিসমূহে বুদ্ধি-বিকাশের অভাব ও অন্নতাহেতু 
শান্ত্রোক্ত ধন্মবিধির আশ্রয়ে এ সকল জীঙ্জের উন্নত হইবার শক্তি নাই। প্রকৃতি- 
মাতাই অসহায় শিশুব মত ক্লিজের অঙ্কে ধারণ করিয়া এ সকল জীবকে উন্নত 
করিতে করিতে মনুষ্য-যোনি পর্য্যন্ত পৌছাইয়া দিয়া থাকেন। উহাদের দ্বার! 
অনুঠিত স্ুকর্ম ও কুকম্মের ভাব প্রক্ৃতিমাতার উপরই থাকে । এজন্য মন্ুষযেতর 
যোনিসমুহে পাঁপ-পুণ্য কিছুই আশ্রয় কবে না। ব্যাস্ত ব্রহ্মহত্যা করিয়?ও পাপী 
হয় না এবং গোমাত! ছুগ্ধ দীন করিয়াও পুণাৰতী হন না। কারণ উহাদের 
অস্তঃকরণে এ সকল ক্রিয়ার কোনরূপ অনুকূল ব! প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া উৎপন্ন 
হয় না। পরস্ত মনুষ্য-যোনিতে স্বকীয় কন্মের অভিমান উৎপন্ন হইয়! থাকে ? মনুষ্য 
বুঝিতে শিখে বে "আমি এই কাধ্য কবিয়াছি”; তাহার আত্মার সহিত স্ুুককৃত 
হস্ধতের অভিমান ও সম্বন্ধ স্থাপিত হয় এবং এই জন্তই মন্ুয্য-যোনিস্ডে পাঁপ-পুণ্যের 


গুহ জীবের গতি! 


দায়িত্ব উৎপন্ন হইয়। থাকে 1 এই পাপ-পুণ্যের দায়িত্ব লইয়। মানুষ যদি শান্তাজাহু- 
সারে ধর্শকার্ধ্যে রত হয় তবেই অধোগতির সম্ভাবন1 ইইতে রঙ্গ পায় এবং ক্রমশঃ 
উন্নত্‌ হইয়া! নিঃশ্রেয়স পদ লাভ করে। নতুবা উদ্দাম ইন্্িয় বৃত্তির বশে আবার 
মচ্গুষ্যেতর যোনিতে পতিত হইয়া থাকে । অতএব সিদ্ধাস্ত এই নিশ্চয় হইল যে 
মন্থুষ্যেতর় যোনিসমূহে কর্ম-স্বাতন্ত্য না থাকায় ব্র্মাগ্-প্রকৃতির আশ্রয়ে জীৰ 
ক্রমোন্নতি লাভ করিয়। মন্ুষ্য-যোনি লাভ করে; কিন্তু বুদ্ধি-বিকাশের নিমিত্ত মনুষ্য- 
যোনিতে আসিয়৷ জীব শ্বাভিমানের সহিত ব্যাপক প্রক্কৃতি হইতে পৃথক হইয় 
নিজের ব্াক্তিগত ঝষ্টি-প্রকৃতি লাভ করিয়। থাকে । এবং প্র ব্যক্তিগত গ্রক্কতির 
মধ্যে দ্বিবিধ বিশেষত্ব উৎপন্ন হয়। এক বিশেষত। শাস্ত্াজ্ঞানুসারে উদ্দাম গ্রবৃত্বিকে 
নিয়মিত করিয়! নিঃশ্রেয়সের দিকে অগ্রসর হইবার শক্তিলাভ এবং দ্বিতীয় বিশেষত। 
ইন্দ্রিয় লালসায় অভিভূত হইয়া আবার নিষ্নগতি প্রাপ্ত হইবার শক্তি লাভ। 
অতঃপর উল্লিখিত দ্বিবিধ শক্তির তারতম্যান্ুসারে মনুষ্য-যোনিতে জীবের কত 
প্রকার গতি ও জন্মজন্মাস্তর হইয়া থাকে তাহাই আলোচিত হইবে। 
পশু+যোনি হইতে মনুষ্য-যোনিতে আসিয়! ভীব প্রথমতঃ পশ্ুবংই আচরণ 
| করিয়া থাকে ; কারণ, প্রথম মানব যোনি হওয়ায় উহ! পাশ- 
সি বিক প্রকৃতির প্রায়ই সমতুল্য হয়। পৃথিবীর অনেক অরণ্য- 
| | দেশে এখনও এরূপ পশু প্রায় “জঙ্গলী' মনুষ্য দৃষ্ হইয়া থাকে। 
ব্যাপক-প্রকৃতি পশুদের জন্ট যেমন নিজের স্পন্দনজনিত বন্ম-সংস্কার উৎপন্ন করেন, 
সেইরূপ প্রাথমিক মনুষ্যের জন্যও করিয়া! থাকেন। তবে বুদ্ধি-বিকাশের বৃত্ি- 
শ্ড্রণে দুখ হওয়ায় মনুষ্য ব্যাপকগ্রক্কৃতির এ কী্ধ-প্রেরণাকে নিজের আত্মার সহিত 
অভিমানযুক্ত করিয়! লয় এবং তদনুসারে উহা! তাহার ব্যক্তিগত কর্মের কারণ হইয়। 
গড়ে। এই ব্যক্তিগত কর্ম-সংস্কার মনুষ্য-যোনিতে তিনপ্রকারের হইয়৷ থাকে ) যথ! 
সঞ্চিত, ক্রিয়মাণ এবং প্রারন্ধ। অনেক জন্ম ধরিয়া মনুষ্য যে রাশি রাশি বর্ধন 
করিতেছে, অথচ সব কর্মের ভোগ না হইয়! কেবল প্রবল কর্শগুলিরই ভোগ 
হইতেছে, খী সকল অভুক্ত রাঁশিকৃত কর্ধ-সংস্কারকে সঞ্চিত বলে। সঞ্চিত কর্খসকল 
চিত্তের গভীরদেশ যাহাকে চিদাকাশ বলে, তথায় সঞ্চিত থাকে এবং ধীরে ধীরে 
জন্মজন্মাস্তরে ফলদধন করে। নবীন বাসনার বশে প্রতিজল্মে যনুষা যে 
লকল নবীন নবীন, কর্শ করে, তাহার সংস্কারকে ক্রিরমাণ সংস্কায় বলে। 


জন্মান্তব-তত্ব | ৩৩ 


* সঞ্চিত এবং ক্রিরমাণ উভরদিধ কন্ধের মধো যে কর্মগুলি প্রবলতম হওয়ায় 
চিন্তের উপবের দেশ অর্থ।ৎ চিন্তাকাশকে আশ্রয় করিয়া মন্ুষ্যকে ভোগায়তনরূপ 
নৃতন জন্মের নৃতন শরার প্রদান করে তাহাদের নান প্রারন্ধ সংস্কার । দৃষ্ান্তরূপে 
বুঝা বাইতে পারে যে ধদি কোন মন্তব্য এক জন্মে এইরূপ ক্রিয়মাণ কর্মসংস্কারসমূহ 
সংগ্রহ কবে বে হাভ!দেব মপ্যে কতকগুলি কর্ম স্বর্-প্রাপ্তিব সাধনীভূত, কতকগুলি 
পঞ্চ'নেনিতে পাঠাল মত এনং কতক গুলি উন্নত মনু যোনিতে আনিবার মত; 
১তন্চে এত কন্ম কলিবাশ ফল এই হইবে যে ভাভার মৃত্রার সমদ্নে উক্ত তিন শ্রেণীর 
কম্মেব মধো বনপন্ছন কক্খসংস্বাবই ভাহাব চিন্তাকাশকে স্বতঃই আঙ্য় করিৰে 
এবং উভা '্রারদ্ধ ভষ্য়া ভদন্সসাবে মন্তধাকে পব জন্ম প্রদান করিবে। যদ্দি 
ভাহার মগ্রনা-জগ্মঘোগা সংক্কাব বলবন্তুন ভয় তবে সে প্রথমে মন্তষ্যই হইবে এবং 
পশুত্ন ও অমবন্র পাইবার কর্ম ক কণ্মরূপে চিদীকাশে গচ্ছিত থাকিবে । 
মন্যু-ন!নিতে কর্ম স্ব'তন্থা থাকায় যদি এ মন্তষ্য জন্মগ্রহণ করিয়া! পুরুষার্থ- 
বলে অহ্ঠাননত সংস্গাবসমূত সংগ্রহ কপিতে পারে এবং ত সব সংস্কা'রর ফল পঞ্ড- 
যোনিপ্রাপ্রি বা স্বগঞ্র।পিব নিমিত্ত সঞ্চিত কন্মসংস্কার সমূহের অপেক্ষাও বলবান 
হয় তবে বলণত্তব কম্ম সংদ্বাবেব বেগে তাহার তানুকুল জন্ম হইবে, পশুত্ব বা 
আমবত্র প্রাপ্তি দ্বিচায় জন্ম ভইবে না। এবং যদ্দি তাহার ভাগাবশে এইরূপই হয় 
যে সে ক্রমশঃ অস্কান্নত সংক্ষাব সংগ্রহ কবিতে কবিতে মুক্ত হইয়া যায় তবে আর 
তাঙার পশ্ছহ।দি যোনি প্রাপ্তি হইন্ডে পারিবে না । তৎসন্বন্ধীয় কর্মসংস্কার 
মহাকাশে বিলীন হইয়া যাইবে । জার ধদি এরূপ না হয় তবে দ্বিতীয় জন্মে বা 
কাল।স্তবে পশ্ুতব।দিব সংস্কারেব ছ্বাবা তাহার পশু-যোনি প্রাপ্তি হইবে। মনুষ্য- 
যোনিতে বন্ধ স্বাগতা থাকায় মনুষ্য পুরুষার্থৰলে মন্দ সংস্কারের বেগকে নষ্ট করি! 
উত্তম মংস্ক।ব উৎপন্ন করিতে পারে । এজন্যই সকল যোনির মধ্যে মনুষ্য-যোনিকে 
শ্রেষ্ঠ বলা হয় এবং কোন অবস্থাতেই মন্তষোর হতাঁশ হইবার প্রয়োজন নাই। 
কাঁরণ সে অতীত জীবনে যতই পাপ করুক না কেন পুরুষার্থ করিলে ভবিষ্যৎ 
জীবনকে সে 'অনশ্তই ভাল করিতে পারে। কিন্ত উল্লিখিত ত্রিবিধ কর্ম্ম-ব্যবস্থানু- 
সাবে যদি তাহার পণু-যোনি প্রাপ্তি বা স্বর্গীয় যোনি প্রাপ্তির যোগ্য কর্ম-সংস্কার 
মনুধ্য-যোনি প্রাপ্তির যোগ্য কম্ম-সংস্কার অপেক্ষা বলবান হয় তবে তাহার প্রথমতঃ 
পণ্ড যোনি বা স্বর্গীর যোনি প্রাপ্তি হইবে। এই সকল যোনি*কেবল ভোগ যোনি 
৫ 


৩৪ জীবে গভি। 


হওয়ায় তথায় মনুষা স্বতন্ত্র ভালমন্দ কোন কর্মই করিছে পাবে না। ভাহাকে এ 
সকল যোনিতে ভোগ সমাপ্ত করিয়া নৃতন কর্দের জন্য আবার মন্গষ্য-বিগ্রহ ধারণ 
করিতে হয়। এইবপে প্রারন্ধ, সঞ্চিত ও ক্রিম্নমাণ সংজ্ঞক ভ্রিবিধ সংস্কারের বশে 
জীব ঘটাযন্ত্রের মত সংস্কার-চক্রে নিঃশ্রেয়সলাভের পূর্ব পথ্যন্ত অনবরত ভ্রমণ করিরা 
থাকে । তাহার কথন ম্বর্, কখন নরক, কখন দেব-যোনি. গমি-যোনি, কখন 
মনুষ্য, পণ্ড, পক্ষী আদি কত যোনিই প্রাপ্তি হয় । মনুষ্য-যে!নির মধোও গ্রাক্তন 
কর্মবশে জীব নানাগ্রকার সুখন্ঃখময়ী স্থিতি প্রীপ্ূ ভ্ইয়া থাকে । শ্রীভগ্রান্‌ 
পতঞ্জলি যোগদর্শনে বলিয়াছেন--- | 
"ক্লেশমূলঃ কম্মীশয়ে। দৃষ্টাদৃষ্টজন্মবেদনীয়ঃ।৮ 
“সতি মূলে তদ্ধিপাকো জান্টযারুর্ভোগাঃ 1৮ 

অবিগ্যা রাগ-দ্বেষ প্রভৃতি ক্লেশসমূ যাবতীয় কশ্শুসংস্কাবের মুল কারণ । বর্তমান 
দুষ্টজন্ম অথবা ভবিষাৎ আনুষ্টজন্মে এই ক্লেশপ্রদ কর্মম-সংস্কাবের ভোগ হইয়া থাকে। 
অবিদ্া্দি ক্লেশ হৃদয়ে নিহিত থাকিলে মনুষ্য প্রাক্তন কর্মের পবিণামরূপে ভিন্ন 
ভিন্ন প্রকাবের জাতি, আমু এবং ভোগ লাভ কবিয়া খাকে । কোন জাতির মধ্যে 
জগ্ম হইবে আর্য্য কি অনার্ধ্য, ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয়, বৈশ্য বা শদ্র এই সকল প্রাক্তন 
কর্মসাপেক্ষ ৷ এবং ষন্তদিনে পূর্বপ্রীবন্ধ সংস্কার শেষ হইতে পাবে আযুও তত- 
দিনের জন্য প্রাপ্ত হইয়। থাকে । স্রখভ্ঃখাদি ভোগও প্রাক্রনাম্সাবে হয়। তবে 
ইহাঁও নিশ্চিত যে অলৌকিক পুরুষার্থবলে মনুষা নিজেব জাতিকে উন্নত অবনত, 
আযুকে কমবেশি এবং ভোগেব মধ্যেও নানাগ্রকাব তারভমা করিতে পারে । মনুষ্য 
যৌগিক পুরুষার্থের বলে দৃষ্টসংস্কারকে অদৃষ্ট এবং অদুষ্টকে দৃষ্টরূপে পবিণত করিতে 
পারে। এইবূপে একজন্মেই মন্তযা ভন্নত বা অবনত হইতে পারে । আর যদ্দি 
এরূপ প্রবল পুরুষার্থ করিবার শক্তি ঝ! স্তবিধা উৎপন্ন ন! হয় স্তবে শাস্ত্ীয় বিধানা- 
নুসারে ভাবশুদ্ধিপূর্বাক বিষয় ভোগের দ্বারাও বিষয় বাসন! বলবতী না হইয়া ক্রমশঃ 
ন্‌ হইয়া যায়। দৃষ্টান্তরূপে বুঝা যাইতে পারে যে যদি কোন লোভের বস্তকে 
লোৌভের সহিত গ্রহণ ন৷ করিয়া ভগবৎ সমর্পণপূর্বক হত্প্রসাদ রূপে গ্রহণ কর! 
যায় তবে লোভ-বুদ্ধি 'আবশ্াই মন্দীভূত হইবে। কামের বস্তুকে মথেচ্ছভাঁবে উপভোগ 
করিলে কাম-বাসনা মন্দীভূত না হইয়া ঘ্বতাহুতিপ্রাপ্ত বসির ন্যায় ক্রমশঃ প্রবলতরই 
হয়! উঠে।' কিন্তু ধার্মিক সস্ততিলাভ-কামনায় দম্পতি যদি উভয়কে প্রজাপতি ও 


জন্মাস্তর-তব । ৩৫ 


বনুন্ধরার প্রতিমৃ্তি মনে করিক়! ধন্ম্াবিরুদ্ধ কামসম্বদ্ধ কবে তবে উদ্ভ বাসনা বলব্ী 
না হইয়া ক্রমশঃ নাশ প্রাপ্ত হঈবে। এইরূপে ভীবশুদ্ধিপূর্ধবক বিষয়ভোগের দ্বারাও 
মন্থ্য সদ্গতি প্রাপ্ত তইয়! থাকে । এই সকল সংস্কার-শুদ্ধির সভায়তা গ্রহণে এবং 
অসৎ সংস্কার হইতে নিবৃত্তিল্লাভের নিমিত্ত সংশাস্ত্রেব সহায়তা গ্রহণ করা আবশ্যক । 
সেই শাস্ম ও ধন্মীধিকীর আধ্যাত্মিক জগতে ক্রমোননতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ও 
অধিকারান্থুসারে নানা প্রকারের হইয়। থাকে । এই হেতু সংসারে নানাবিধ 
*ধশ্মনীত পরিদৃষ্ট হয়। এ সবগুলিই সত্য, কারণ সবগুলিরই জীবেৰ উচ্চনিয় 
অধিকাবানুসারে উপযোগিভা এবং কল্যাণকাঁবিতা আছে । এইজন্াই উটীভগবান 
গীতীয় বলিয়্াছেন-- 
শ্রেয়ান্‌ ব্বধন্দ্ে নিগুণঃ পবধর্ধ্াৎ স্বন্নষ্ঠিতাৎ। 
স্বধন্মে নিধনং শ্রেয় পবধর্থ্ো ভয়ীবহঃ ॥ 
নিজের ধণ্ম সাধাবণ অধিকাবেক হইলেও ভাভাই স্ভীল। কাবণ যাঁভাব ষে 
ধর্মমভের ভিভবে জন্ম হয় উহা তাভীব প্ররুতিব অনুকূল অবশ্াই হইবে । নতৃবা 
সেখানে তাহার জন্ম হইত না । এবং গ্ররুতিব অনুকূল হওয়ায় উহার দ্বারা তাহার 
কল্যাণ অবশ্যই হইবে । অন্যের ধর্ম উন্নত হইলেও উহা তাঁহার পক্ষে ভাল নহে। 
কাঁরণ উহা তাহার প্রকৃতিব অনুকূল নহে । একাঁবণ নিজেব ধর্খে প্রাণ দেওয়া 
ভাল, তথাপি পরধণ্্ব গ্রহণ কৰা উচিত নহে পশু-প্রক্কৃতি-পরায়ণ নিরুষ্ট মনুষ্য 
জাতির মধ্যে কোনপ্রকার ধর্মববাবস্থার অধিকার উৎপন্ন না হইলেও তদপেক্ষা উন্নত 
অনার্ধ্যজাতিব মধ্যে স্বাধিকারান্ুকুল ধর্ম্মবিধি ও ধর্মমত অবশ্যই প্রবন্তিত হইয়া 
থাকে । এ সকল ধর্শাবিধিব অনুবর্তনের দ্বারা অনার্ধানুলভ পশুভাব, বিষয় প্রবণভা, 
স্বার্থপরতা আদি দোষসমূহ ক্রমশঃ কমিয়া আসে এবং ইহারই পরিণামে উন্নত 
ক্রনদ্বাবা আর্ধাজাতির মধো উহাদের জন্ম হয়। আর্যাগাতির মধ্যে সত্বপ্জণের 
বিকাশের অবসর অধিক হওয়ায় উক্ত যোনিতে মন্থষোর আধিভৌতিক লক্ষা নিরন্ত 
হইয়া! আধ্যাম্মিক লক্গ্য উৎপন্ন হয় । তখন জীবের লক্ষ্য আত্মার দর্শন এবং 
স্ুখেব লক্ষ ব্র্ধানন্দ সাগরে অবগাহন লীন হইয়া থাকে | বেদ-বিহিত বর্ণ-ন্খ্ এবং 
আশ্রমধর্মের অনুপ্ঞান্ুদারে আর্ধাজাতি উল্লিখিত লক্ষাসাধনে *কৃতকার্ধা ভ্ইয়া 
থাকে। অনাধ্যজাতির মধো ব্রিগুণেব বিকাশ সম্পূর্ণ নু হইয়া বজোওপ 
তমোগুণেব আধিকা এবং সন্বগুণের নানত! থাকার আধাগাতি মুলত ব্ণ'শরম 


৩৬ জীবের গতি । 


ধর্মবিধি উক্ত জাতির কর্তব্যরূপে পরিগণিত হইতে পারে না। চারি বর্ণ এবং 
চাঁর আশ্রমের বিধি কেন অনাদিকাল হইতে আর্ধাজাতির মধো প্রচলিত আছে 
এবং ইহাদের মৌলিকতাই ব! কি, গ্রন্থান্তবে এ বিষয়ের আলোচনা কবা হইবে 
বর্তমান গ্রন্তে ইহাই আলোচা যে কিরূপে বর্ণঘন্ম এবং আশ্রমধশ্ম্র্ধ সহায়তায় 
আধ্যজাতি মুক্তিপথে অগ্রদব হইতে পাবে। শাস্থে বর্ণবন্মকে প্রবুন্তিরোধক এবং 
আশমধন্মকে নিবৃত্তিপোষকরূপে বর্ন করা হইয়াছে। ত্রিগুণমদী প্রকৃতিব 
তমোরাঁজ্যে জীবভাবেব বিকাশ হইবার পব্‌ ক্রমশ? তমোভূঘি, বজন্ত:মাভূমি, 'রজঃএ 
সত্বভূমি এবং সন্বভূুমি এইনূপে চারভূমির সাতাবো জাব ক্রুমানত হইয়া তবে 
সত্তগুণের পুর্ণতায় মোক্ষলাভ করিতে পাবে । এই চাব ভূনিতে ব্টিবণ।থ সুলকঙ্স 
শরীরের প্রক্ৃতি-প্রবুত্তি অনুসাবে জীনকে যে সকন ব্রমোননহিদারিনী ধর্ম বিধি 
প্রতিপালন করিতে হয় তাভাই আধাশান্সে বর্ণধন্মপিধি পলিয়া উক্ত হইয়াছে 
প্রথম ভূমি শুদ্রর । উহ্নাতে ভমোগুণেব আধিক্য থাকে । তামসিক বদ্ধির লক্ষণ 
গীভায় এইরূপ কথিত হইয়াছে যে উভা অধত্ম্মা ধন্মধদ্ধি এবং ধন্মে অধন্মবৃদ্ধি উত্পন্ন 
করে। অর্থাৎ বিপধাত নোধই ত।দসিক বৃদ্দিন লক্ষণ । এজন্য ত।মপিক ভূমিতে 
নিজের বৃদ্ধিব দ্বারা কাঁজ করিতে গেলে ভ্রম প্রমাদ এবং পহন সন্তাবনা পদে পদে 
অনশ্ঠস্তাবী । একাবণ৭ গাধাশান্্ শর্রকে শিছের ইচ্ছার কাজ না কিয়া ছিজবর্ণের 
অনুক্ঞানুসারে কাজ করিতে উপদেশ ওম উঠতে শুর অবমাননা না 
করিরা বরং ত্ধেকারানুনারে কলানণকণ উন্নতির পন্থা প্রশস্ত কব! হইয়াছে । 

এইভাবে কাঁধ্য করিলে শুদ্রনূ্ণ থাকিবার সময় মন্তযা বিপরাত বুদ্ধিস্থলভ উদ্দাম 
প্রত্তিব গঠিনিরোধ করিতে অবগ্যই সমর্ণ ভইবে । তৎপরবে যখন সে বৈশ্যযৌনিতে 
পদার্পণ করিবে, ভখন রজস্তমোশ্তণ ভাভার মধ্যে রিক্তা প্রকাশিত ভওয়ায় 
কর্মুম্পৃহী এবং ধনাজ্জনস্পৃভা অবগ্ঠহ নপ্বতী হইবে কারণ লীলসা উৎপন্ন 

করা রজোগুণের স্বভাৰ। কিন্ত এর লালসা যদি কল্যাণবাহিনী না হইয়া 
বিষয়াভিমুখিনী হয় তবে বৈশ্তেব 'আরার পত্ঠন হইবে, অভ্রা্থান হঈবে না । এজন্য 
বৈশ্যযোনিতে জীবের উন্নতিসাধনার্থ আগাশাস্র উপদেশ দিতেছেন যে নৈশ 
বাণিজ্যাদি ছর! 'ধনাজ্জন অণশ্য করুন, কিন্ত এ ধনে তাহাকে গোরক্ছা, 
অন্যবর্ণের প্রতি হপালন, দরিদ্রসেবা ৩5তি জাবোপকানসাধন কবিতে হইবে। 
এষ্টরীপে বছে প্রণসুলছ কন্মপ্রতুত্ি্র চরিঝর্তি। করিয়া? বৈগ্ুযোনিতে গ্রধুগ্তি- 


জ্মাস্তর- তত্ব । রঃ 


নরোধের ব্যবস্থা করা হইয়াছে । তদনস্তর ক্ষত্রিযযোনিতে আসিয়া তীর মধ্যে 
রজঃসবগুণ স্বভাবতঃ উৎপন্ন হইবে । রজোগুণের সংঅবহেতু যুদ্ধাদিতে প্রবৃত্তি 
ক্ষত্রিয়ের অবগ্তই হইবে। কিন্তু এ যুদ্ধ যাহাতে পরকীয় পীড়নরূপে পবিণত ন! হইয়। 
ধর্মযুদ্ধ দ্বার! স্বকীয় রক্ষা ও জগতে শান্তি বিস্তারর্ূপে পরিণত হয় সেজন্ত ক্ষত্রিয় 
গ্রকৃতিগত সন্বগ্তণের সাভাঁষ্য আর্ধযশাস্্র লইতে বলিয়াছেন । সকগুণেব সাহাঁষ্যেই 
রজোগুণী ক্ষত্রিয় নরপতি প্রজাবক্ষণার্থ আনগ্তকভ [ভ্ুলার ধশ্মুদ্ধ করিয়া এবং প্রাণ 
বিশিময়ে প্রজার শান্তিবিধান কয়া প্রবুন্থিনিবধোবধ করিতে পারিবেন । তাহার পর 
ব্রাহ্ণযোনিতে আলিয়া তাভার মধো ঘন বুজা গুণ তমো গুণের নাশে শুদ্ধসত্বগুণের 
ক্রমবিকাশ হইবে তখন তিনি স্বত:ই প্রবৃত্ডিনার্গ পরিত্যাগ করতঃ নিবৃত্তিপথে 
পথিক হইবেন। তখন দ্রন্ণ লালসা পরিহাব কধিরা তিনি তপোঁধন হইবেন, 
ইন্দিয়ম্পূহ| দমন কবিয়া তিনি সত্বনী হইবেন, ইভলোকের স্থখে আস্থাহীন হইয়া 
তিনি পরলোকের আনন্দ জন্য সাধন! ও তগস্তা করিবেন, অনাজ্জীয় বস্তসদূহের 
গ্রাতি বৈবাগাসম্পন্ন তয় আত্ন্ুসন্ধান-ততপর হইবেন । এইক্ধপে জীবন নদীর 
গতিকে অন্তমুথ করিরা তিনি বঙ্গপমুদ্রেব দিকে প্রবাহিত করিরেন। ইহাই 
ব্রাহ্ণধোনির একমীত্র উদ্দেন্য ও আব্যশা্ত্রবেভিত কর্তব্য । এই কর্তব্পালনে 
যিনি পরাজ্মুখ হইবেন ভাভাব ত্রাহ্মণবৌনিতে জন্মগ্রহণই বৃথা, তিনি জাতিত্রাঙ্গণ 
মাত্র, পূর্ণ বাক্ষণ নহেন ৷ এরূপ ব্রাঙ্গণ জন্মান্তরে আর পুনরায় ব্রাহ্গণযোনি প্রাপ্ত 
না হইয়া কণ্ধান্ছুসাব নীচ যোনি গুপ্ত হইয়া! থাকে অথবা তীব্র ছুফর্মের ফলে এই 
দ্মেই হীনযোনিত লাভ কবিয়। থ।কে। অন্যপক্ষে ব্রাহ্মণযোনির অন্তর্গত নৈসগিক 
সাস্তিকরুন্তি অবলম্বন কবিয়া উপর কথিত কর্তবাসমূহের অনুষ্ঠান করিলে তিনি 
সত্বগুণ-পবিণামে গ্রবৃন্তর পুর্ণ নবোধ করিয়া অপবর্ণলাভ করিতে সমর্থ হন। 
ইহাই বর্ণধন্মের দ্বারা উত্তবোত্বর প্রবৃত্তিনিবোধের আর্ধযশান্ত্রসঙ্গত পন্থা। 
এইরূপে আশ্রমধর্মের শাস্ত্ান্ুপারে পরিপালন দ্বারা নিবৃত্তির পৌষণ হইয়া! থাকে । 
ব্রহ্মচর্যা-গা্স্থা-বাঁনপ্রস্থ-সন্যাস এই চতুবাশ্রমের মধ্যে ্রহ্গচর্য্যাশ্রমে আচার্যের 
অধীনস্থ হইয়। ইহাই শিক্ষা করিতে হয় যে“কিরূপে গৃহস্থ শ্রমে ধন্ম্মূলক প্রবৃত্তির 
সেবা হইতে পারে যাহার দ্বারা শীঘ্রই প্রবৃত্তিবীজ নষ্ট হইয়া নিবৃত্তির পথে চিত্ত 
প্রধাবিত হয়। এইরূপ ব্র্গচর্যাশ্রমে ধর্মমূলক প্রবৃতিদ শিক্ষালাভ করতঃ 
গৃহস্থ শ্রমে উত্ত প্রবৃত্তির চরিতার্থ হয়। উহা 'াবতুদ্বিব সহিত ধর্মভাবে অনুষ্টিত 


'ষ ভীবেব গতি! 


হওয়ার চিন্তকে অধিক তব বাসনার দ্বাবা বাপিত না কবিয়া বাসনাব বীজনাশই 
করিয়া থাকে। এইরূপে বাসনার নাশে নিবৃত্তির পোষণ হইলে পর তবে 
বানপ্রস্থাশ্রম আরম্ভ হয়। এই পবম তপোময় পবিত্র আশ্রম তগস্তার অগ্নিতে 
ভোগদিগ্ধ কলেবরকে উত্তপ্ত করিয়া অনলসংযোগে পবিত্রীক্কত স্বর্ণের গ্ঠায় উহার 
ভোগ-মালিন্ত নিঃশেষিত করা হইয়া থাকে। তৎপরে তপঃক্ষীণ-কল্পষ, পরম 
পবিত্র বানপ্রস্থসেবী যথাকালে তুৰীক়্াশ্রম সন্গ্যাস গ্রহণ করিয়া ব্রহ্ষধানযোগে 
নিংশ্রেরদলাভ করিয়া থাঁকেন। এইরূপে ব্রঙ্গচর্যযাঅমে যে নিবুন্তির বীজ ধপন' 
করা হয়, তাহাই গৃহস্থাশ্রমে অগ্কুরিত এবং বানপ্রস্থাশ্রমে পল্লবিত হইয়া সন্ন্যাসা শ্রমে 
তাগ-রস, সাধন-কিরণ ও জ্ঞীন-মলয় সংযৌগে পরম পরিপুষ্ট কলেবব লীভ করিয়া 
নিত্যানন্দময় মধুব মোক্ষফল প্রসব কবিয়া থাকে । ইহাই আশ্রমধর্ম্ের সহায়তায় 
নিবৃত্তিপোষণের নিগুটু তঝোপদেশ । 

সচ্চ্দানন্দময় ব্রহ্ম সংভাব, চিংভাব এবং আনন্দভীবের দ্বারা প্রকৃতির মধ্যে 
বিলাসপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন। এইজন্য তীহার ত্রিভাবকে উপলব্ধি না করিলে 
জীবের পূর্ণতা প্রাপ্তি এব* অপবর্গলাভ হুর না। তাঁহার অদ্দিতীয় সংভাবের উপরই 
দ্বৈতভাবময় সমস্ত বিশ্বের বিকাশ হইয়া থাকে। এজন্য কর্শের ছারা 
তাহার সতভাবের উপলব্ধি হটয়। থাকে । নিক্ষাম কর্মযোগী নিজের 
প্রীণকে জগৎ সেবাব দ্বারা বিরাঁটেব প্রীণেব সভিত মিলাইয়া এই অদ্ধিতীক্ব 
সংভাব অন্থভব করিতে সমর্থ হ্ইয়া থাকেন। জ্ঞানযৌগের দ্বারা তীহার 
জ্ঞানময় চিত্ভাবের এবং উপাসনা যোগের দ্বারা তীভার নিত্য-সুখময় 
আনন্দভাবের উপলব্ধি হইয়া থাকে । এছন্ঠ কর্ম-উপাসনা-জ্ঞান এই ভ্রিবিধ যৌগের 
সহায়তাব্যতীত বন্ধস্বরূপের উপলব্ধি হওয়া অতি কঠিন। কোন একটি ষোগ 
অবলম্বন করিলেও আস্তে একের পূর্ণতায় অন্য দুইটি ভাব শ্বভাবতঃই প্রাপ্ত হওয়া! 
অসম্ভব নহে। কিন্তু অন্য ছুই যৌগের সাধন! সহযোগী না হইলে সাধনপথে 
নানাপ্রকার অসুবিধা হই থাকে এবং তজ্জন্ পদেপদে সাধকের পতন সম্ভাবন! 
হয়। একারণ নিঃশ্রেরসলাভ প্রয়াপী মুমুক্ষুর পক্ষে কর্মোপাসনাজ্ঞানরূপী 
ভ্রিবিধ যৌগেরই যুগপৎ সহায়ত! গ্রহণ করা আবগ্তক। এই সকলের বিস্তারিত 
রহন্ত পুরাণতত্ব নামক "গ্রন্থে বর্ণিত হইয়াছে । শ্রীভগবান্‌ এই জন্তই ্বমুখনিংস্ৃত 
গীতার প্রথম ৬ অধ্যায়ে, প্রধানতঃ কর্মযোগের কথা, দ্বিতীয় ৬ অধ্যাষে প্রধানতঃ 


জনাব তিক | ৯ 


উপাসলাযোগেষ কথা এবং তৃতীয় ৬ অধ্যায়ে প্রধানত জ্ঞানযোগের কথ। বলিয়া 
মোক্ষল[ভার্থ ত্রিবিবযোগেরই আবগ্তকা বনি কবিয়াছেন। তাহার নিংখাসরূণী 
বেদেও এই জন্য কর্মকা", উপাসনাকাণ্ড এবং জ্ঞানাকাণডের বিজ্ঞান প্রতিপাদনার্থ 
ব্রাহ্মণ, সংহিতা ও উপনিষদ নামক ভাগত্রয়ের অবতারণা করা হইরাছে। এইরূপে 
কর্োপাসনাঞ্জানরূপ যোগত্রয়ের অনুষ্ঠান দ্বারা সাধক সম্হক্ই সচ্চিদানন্। সত্তার 
সম্যক উপলব্ধি করিয়া নিঃশ্রেয়সপদে প্রতিঠিত হইয়! থাকেন। তাছার ভাবত 
আমূল নাশ প্রাপ্ত হইয়! নিত্য-শুদ্ধ-ৃদ্ধ-মুক্তত্বরূপ শিবত প্রাপ্তি হয়। ভ্নসি, 
'অহং ব্রন্ধান্মি ইত্যাদি মহাবাকোর চরিতার্থতা এই অবস্থাতেই হইয়া থাকে । এষ্ঠ 
অবস্থায় ঘতদিন স্বরূপস্থিত পুরুষেধ শরীর থাকে, ততদিন তীহাকে জীবন্ত, 
বলা হয়। তাহার ক্রিন্ঘান স্স্কার, বাসনার নাশে, আমল নার্স প্রাপ্ত হয়। 
তিনি নিজের ইচ্ছায় তখন আর কিছুই কবেন না। সঞ্চিত কর্ম তাহার কেন্দ্রকে 
পরিতা।গ কবিয়া বিরাট কেন্দ্রকে আশ্রয় করে । কেবল প্লারন্ধ কর্মেবই অর্থাৎ 
যে কর্মের দ্বারা তাহার শেষশরীব প্র(প্রি হইয়াছিল তাহাব বেগ থাকে। ভিনি 
সেই বেগেই কাজ করিরা থাকেন। বাসনার নাশ হওয়ায় প্রারব্বেগানুঠিত কর্ধের 
দ্বারাও নবীন সংস্কার উৎপন্ন হয় না? ভোগের দ্বারা প্রারন্ধ সংস্কার ক্ষয়প্রাপ্ত 
হইতে থাকে । উহা ভর্জিত বীজের মত নবীন ক্রিয়মাণ সংস্কার উৎপন্ন করিতে 
সমর্থ হয় না। এইরূপে সমস্ত অবশিষ্ট প্রারনধ নষ্ট হইক্সা গেলে জীবনুত্ত মহাপুরুষ 
বিদেহমুক্তি লাভ করিয়া থাকেন। আকাশ হইতে সমুদ্রে পতিত বিন্দুর স্টায় 
তাহার আত্ম! তখন ব্যাপক পবমাত্মায় বিলীন চ্ইয়| অনন্তকালের জন্য আনন্দময় 
হইয়া যায়। . তাহার স্থুল-সুক্ষম-কারণ-শরীর মহী প্রকৃতির তত্তদ্পদানের সহিত 
সম্মিলিত হইয়া লয় প্রাপ্ত হইয়া যায়। প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিণীমের দ্বারা বে 
জীবত্ব-নিদানভূত চিজ্জড়গ্রস্থির উৎপত্তি হইয়াছিল, তাহা এইথানে গ্রস্থিতেদের দ্বার] 
নষ্ট হইয়! যাঁয়। এই ভাষের আভাস লইয়াই বেদ বলিয়াছেন-_ 

ভিগ্যাতে হাদয় গ্রন্থিশ্ছিদাস্তে সব্বসংশয়াঃ। 

্ষীয়ন্তে চাস্ত কর্ম্াণি তন্মিন্‌ দৃষ্টে পরাবরে ॥ 

হচ্গদর্শনে তীহার হৃদয়গ্রস্থি ভিন্ন হইয়া যায়, সকল সংশয়জাল ছিন্ন হইয়া যায় 

এবং সমস্ত কর্ম্মরাশি ক্ষয় হইয়া যায়। বেদ আরও বলিয়াছেন*- 

ন তন্ত প্রীণা উৎক্রামস্তি অন্রৈব সমবলীয়প্তে | 


৪৪ জীবের গতি। 


তাহার প্লাণ উপরদিকে উঠে না এই সণ্দারেই মহাপ্রাণে বিলীনতা 
প্রাপ্ত হয়। কারণ সহজ গতিতে উতক্রমণ নাই। অনাদ্কাল হইতে যে 
জন্মমরণ চক্র চলতেছিল, তাহার গতি এইখানে আসিয়াই চিরশান্তি অবলম্বন 
করে। সমুদ্রাগত শ্রোতশ্থিনীর স্তর তাহার জীবাস্মা ব্রহ্ম-সমুদ্রে বিলীন হইয়া 
সদানন্দময় চির-শাস্তি চির-অমরতা প্রাপ্ত হয়। এই মম্মেই মুণ্ডক শ্রুতি 
বলিয়াছেন-_ 
যথা নগ্ঃ শ্যন্মানাঃ সমুজে- 
ইন্তং গচ্ছন্তি নামনূপে বিহায়। 
তথা বিদ্বান নামরূপাদ্‌ বিমুক্তঃ 
_.. পবাংপরং পুরুষমুপৈতি দিব্যম্‌। 
গতাঁঃ কলাঃ পঞ্চদশ প্রতিটা 
দেবাশ্চ সর্বে প্রতিদেবভাস্থ । 
কর্ম্মাণি বিজ্ঞীনময়শ্চ আত্ম! 
পরেহুব্যয়ে সর্ব একীভবস্তি ॥ 


যেরূপ প্রবাহিনী বিতে বহিতে সমুদ্রে মিশিরা লয়প্রীপ্ত হয়, তখন আর 
তাহার পৃথক নীম ও আকুতি থাকে না সেইরূপ ক্রঙ্গসাক্গাংকার হইবার পর 
মুক্তপুরুষ নাম-রূপময়ী মায়ার রাজ্য অতিক্রম করতঃ পাংপব পরব্রঙ্গে বিলীন 
ইইয়া থাকেন। তীভার দশেক্দ্িয় এবং পঞ্চপ্রাণ মহ্থাপ্রকৃতির মধ্যে লয় 
হয়া! যায়, ইন্জ্রিয়াধিষ্টাত্রী দেবতাগণ সমষ্টি দেবভায় বিলীন হন, সঞ্চিত ক্রিয়মাণাদি 
সমস্ত কর্ম মহাকাশে বিলীন হইয়া যায় এবং তাহার জীবাস্া অব্যয় পরমাত্মসত্তায় 
চিরবিলীনতা। শ্রীপ্ত হইয়া থাকে। ইহাই সহজগতির চরম সীমায় জীবের 
নিঃশ্রেয়স লাভ । 
সহজগতির দ্বারা এই সংসারেই মুক্তিলাভ হয়। কিন্তু অন্য ছুই প্রকার 
গতি আছে যাহার দ্বারা এরূপ হয় না। এই ছুই গতিকে 
বান তি ধূমান এবং দেবযান গতি বলে। যথা গীতায়-_ 


যর্ত্র কালে ত্বনাবুত্তিমাবৃত্তিং চৈব ষোগিনঃ। 
প্রমাত। ঘাস্তি তং কালং বন্গ্যামি ভরতর্যভ ॥ 


জন্মাস্তর-। 


অগ্ির্জো(তিরহঃ শুরু বন্মাসা উত্তরায়ণম্। 
তত্র প্রযাত৷ গচ্ছত্তি ব্রঙ্গ ব্রন্দবিদো জনা: ॥ 
ধূমো রাত্রিস্তথা কৃষ্ণ: ষগ্মাসা দক্ষিণায়নম্‌। 
তত্র চান্ত্রমসং জ্যোতির্যোগী প্রাপা নিবর্ততে 
শুরুকষ্ণে গতী হোতে জগতঃ শাশ্বতে মতে। 
একয়! বাত্যনা বৃত্তিমন্তষ়া বর্ততে পুনঃ ॥ পানি 
যেকালে গতি প্রাপ্ত হইলে অনাবৃত্তি এবং যেকালে পুনরাবৃত্তি হয় তাহা নিয়ে 
ধলা হইতেছে । অগ্ল্যভিমানিনী দেবতা, জ্যোতিরভিমানিনী দেবতা, দিবসাভি- 
মানিনী দেবতী, শুক্লপক্ষদেবতা৷ এবং উত্তরায়ণ দেব্তা_-এই সকল দেবতার লোক 
অতিক্রম করিয়া যে উর্ধাগতি লাভ হয় তাহাকে দ্রেবধান গতি বলে । এই গতি 
প্রাপ্ত হঈলে জীবকে আর সংসারে ফিরিয়া আসিতে হয় না । তিনি ক্রমশঃ 
সপ্মলোকে মাইয়। ব্রঙ্গজ্ঞানলাভে ব্রহ্মকেই প্রাপ্ত হন । আর যাহ! দ্বিতীয় গতি 
পিত্রমান বা! ধূমযান নামে প্রসিদ্ধ, তাহার দ্বারা নীত হইলে জীবকে ধুমাঁভিমানিনী 
দেবতা, রাত্রাভিমানিনী দেবতা, কৃষ্ণপক্ষদেবত। এবং দক্ষিণায়ণদেবন্ভাগণের 
লোক অতিক্রম করিয়া চন্্রলোকে পৌছিতে হয়। ধুমযান গতি-প্রীপ্ত যোগীকে 
চন্ত্রলৌকে ভোগসমাপ্তিব পর আবার সংসারে ফিরিয়। আসিতে হয়। অনাবৃ্তি 
ও আবুন্তিদায়িনী শুক্লা ও কৃষ্ণীনায়ী এই ছুইটি গতি বিশ্বজগতে চিরপ্রসিদ্ধ আছে। 
এক্ষণে প্রথমতঃ ধুমযানগতিব বিষয়ে বর্ণন কবিয়। পরে দেবযানগতির বিষয়ে 
বর্ন কর! হইবে। ধূমযানগতি সম্বন্ধে ছাঁন্দোগ্যোপনিষদে নিম্নলিখিত বর্ণন 
পাওয়া যায়__ 
অথ ষ ইমে গ্রাম ইট্টাপূর্তে দত্তমিত্যুপাসতে তে ধুমমভিসম্ভবস্তি 
ধুমাদ্রাত্রিং বাঁত্রেরপরপক্ষমপর-পক্ষাগ্ঠান্‌ ষড় দক্ষিনৈতি মাসাংস্তান্নৈতে সংবৎসরমভি- 
প্রা বস্তি। মাসেভ্যঃ পিতৃলোকং পিতৃলো কাঁদাকশমাকাশীচ্চন্্রমসমেষ সোমো। 
রাজ! তদ্দেবীনামননং তং দেব! ভক্ষরান্ত। তশ্মিন যাবৎসম্পাতমুধিত্বাথৈ তমেবাধবানং 
পুন পিবর্তান্তে ॥ 
ইষ্টীপূর্তাদি সকাম যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়! তাহার ফলে গৃহস্থগণ মৃত্যুর পর 
ধূমযান অর্থাৎ পিতৃযান গতি প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। এই গত্তি অনুসারে ক্রমশঃ 
ধূমাতিমানিনী দেবতা, রাত্রিদেবতা, কৃষ্ণপক্ষদেবতা, মীসুদেবতা, দক্ষিণায়ন 
৬ রর 


২ জীবের গতি। 


দেবতার লোক অতিক্রম করত ত্তীহাঁরা সংবৎসরাঁভিমানিনী দেবতার লোক 
প্রাপ্ত হন। এই প্রকারে পিতুলোক ও আকাশের ভিতর দিয়! বাইয়া 'পরিশেষে 
তাহার! চন্ত্রদেবতার লোক প্রাপ্ত হন। তথায় চন্ত্রই রাজা। এই লোকে 
জলময় শরীর প্রাপ্ত হইয়! জীব, তত্রত্য দেবভাগণের ভোগ অর্থাৎ বিলাসের 
নন্ত হন। তিনি দেবতাগণের সহিত বিবিধ আনন্দ উপভোগ 'করেন। জীব 
কর্মক্ষয় পর্যন্ত এইরূপ চন্ত্রলোকে বাস করিয়া পরে ষে পথে উর্ধগতি হইয়াছিল, 
সেই পথেই পুনরায় সংসারে ফিরিয়া আসে। শাস্ত্রে যে স্বর্গাদি প্রাপ্তির 
কথা বর্ণিত আছে এই ধূমষান গতি উহারই অন্তর্গত। এই জন্যই শ্রুতিতে স্বর্গ 
সম্বন্ধে লেখ। আছে-_-. 
নাকন্ত পৃষ্ঠে তে জুকৃতোহনুতৃত্বা ইমং লোকং হীনতরং বাবিশস্তি। 
স্বর্গে পুণ্যফল ভোগ করিয়া পুনরায় নরলোক বা আরও হীনলোকে জীবের 
জন্গ হয়। 
গীতায়ও আছে-- 
ৃ ব্রৈবিস্তা মাং সৌমপা: পুতপাপা 
যজজরিষ্ট। স্বর্গতিং প্রীর্ঘযন্তে | 
তে পুণ্যমাসাগ্চচরেন্রলোক- 
মশ্রস্তি দিব্যান্‌ দিবি দেবভোগান্‌ ॥ 
তে তং তুক্ত। স্বর্গলোকং বিশালম্‌ 
ঙ্গীণে পুণ্যে মর্ত্যালোকং বিশস্তি। 
বৈদিক কর্মকা গাঁধিকারী পুরুষগণ সকাম যন্তের দ্বারা যক্ঞেশ্বরের পূজা করিয়া! 
যক্পশেষ সৌমপান করতঃ নিষ্পাপ হইয্া স্বর্গলোক প্রান্ত হন। এই পুণাময় 
স্বর্ঁলোকে তাহাদের দিবাভোগ সমূহ লাভ হয়। এইরূপে বিশাল স্বর্গলোকে 
বিবিধ ভোগের সহিত অনেক দিন বান করিবার পর পুণাশেষে তাহারা আবার 
মৃত্যুলোকে প্রবেশ করেন। ইহাই পুনরাবৃত্িপ্রদ ধূমযান গতি। এই গতির 
দ্বারা ভূলোক হইতে কেবল স্বর্গলোকেই জীব যায় না, প্রত্যুত পিতৃ, ভুব:, শ্বঃ, 
মহ:, জন এই প্রকারে উর্ধপঞ্চম লোক পর্ধ্স্ত জীবের গতি হইতে পারে। এবং 
এই গীঁচ লোকেই বিচিত্র প্রকার ভোগলাভের পর কর্ক্ষয়ে জীবের আবার 
ঝুমারে জন্ম হয়। লোক কি, এই বিষয়ে হিন্দুশীন্তরে অনেক বিচার পাওয়া যায়। 


জন্মাস্তর-তস্ক। ৰা 6৩ 


এক একটি ব্রপ্ধাণ্ডে চতুর্দশ লোকের স্থিতি হিনুণান্ত্রে বর্ণন করা হইয়াছে । 
কেন্ত্র-শক্তিত্বরূপ একটি রধ্য এবং তাহার চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ উপগ্রহা দি 
জ্যোতিফ মগ্লী যাহারা সূর্যের আলোকেই আলোকিত এবং সুর্যের মহাকর্ষণেই 
কেন্ত্রীস্থগমন করে, এই সমস্তকে লইয়াই একটি সৌরজগৎ ব ব্রন্দা্ড। এই স্থুল- 
সুগ্র হৃষ্টিময় ব্রন্মাওকে চতুর্দশ ভাগে বিভক্ত করিয়া মহর্ষিগণ উহাদের নাম চতুর্দশ 
ভূবন রাধিয়াছেন। আমাদের এই মৃত্যুলোক ও অন্ঠান্ত গ্রহগুলিই স্থললোক । 
যেমন আমাদের স্থল শরীরের মধ্যে সুক্্শরীরও আছে পেই প্রকার প্রত্যেক 
ভুবনের স্থল সুস্্স উভয়বিধ রূপই আছে । সচরাচর চতুর্দশ লোক বলিতে সুক্ষ 
লোকই বুঝায়। তবে প্রত্যেক সুক্ষ লোকের সহিত সমভাবাপন্ন স্থল লোকও 
আছে। উহা! উপযুক্ত গ্রহোপগ্রহাদির মধ্যে বিত্তন্ত। স্থল লোকের দেশাবচ্ছিন্নতা 
থাকিলেও সুক্ষের তদ্রুপ নাই। এজন্য সুক্ষ চতুর্দশ লোক একের পরে দ্বিতীয় 
এরূপভাবে সজ্জিত ন! হইয়া একের মধ্যে সুশ্মতররূপে দ্বিতীয়, এইভাবে সজ্জিত 
আছে। জীব কর্শবশে এ সকল লোকে গিয়া থাকে। নুম্ধু শরীরে 
ভোগান্থকূল সাত্বিক কর্মের দ্বীরা সুক্ষ উদ্ধলোক সমূহে এবং রাজসিক কর্দের 
দ্বারা হুক্ম অধোলোক সমূহে জীবের গতি হুইয়া থাকে । এরূপ স্থৃলশরীরে 
ভোগযোগ্য সান্বিক কার্যের দ্বারা তত্তৎ স্থুল উদ্ধীলৌকে এবং প্রবল রাজসিক 
কর্মের দ্বারা তত্ব স্থল অধোলোক সমূহে জীবের গতি হইয়া থাকে। স্থললোক 
গুলি পাঞ্চভৌতিক হইলেও প্রতোক লোকে কোন না কোন তত্বের প্রাধান্ত 
থাকে যেমন চন্দরলোকে জলততব্বের প্রাধান্ত, স্বর্ঁলোকে তেজস্তত্বের গ্রাধান্ত 
ইত্যাদি । এজন্য পরী সকল লোকপ্রাপ্ত জীবগণের শরীরও এরূপ তত্ব বিশেষের 
প্রীধান্যে গঠিত হয়। উপর পঞ্চম লোক অর্থাৎ জনলোক পর্য্যন্ত ধূমযান গতি । 
এজন্য পঞ্চম লোক পধ্যস্ত লোক সমুহ হইতে ভোগান্তে সংসীরে নবীন কর্া 
সংগ্রহের জন্য জীবকে প্রত্যাবর্তন করিতে হয়। দেবযান গতির দ্বারা ষষ্ঠ 
লোক ব! সপ্তম লৌকে গতি হইয়! থাকে । উহা হইতে আর প্রত্যাবর্তন করিতে 
হয় না। পুরীণাদি শীল্তে র্গাদি লৌকের যে বিচিত্র বর্ণন আছে তাহা দ্বার! 
পিতৃলোক এবং এই সকল লোক বুঝিতে হইবে। এই সকল লোকে সুক্ষ শরীরে 
সু্মভীবে নুখভোগ হইন্বা থাকে । যথার্থপক্ষে আমাদের স্থল মৃত্যুলোক ব্যতীত 
প্রেতলোক, নরকলোক, পিতৃলৌক, ভুবঃ আদি "ছয় উদ্ধলোক এবং অত 


৪8 ্‌ ত্রীবের গতি । 


আদি সাত 'অধোলোক দকলই হুক্মলোক। এ সকল ুল্ম লোকের ভোগ 
অতি বিচিত্র । 
যথা মহাভারতে-_ 
স্নুখঃ পবন; স্বর্গে গন্ধশ্চ স্থরভিস্তথা | 
ক্ষুংপিপাসাশ্রমো নান্তি ন জরা ন চ পাতকম্‌। 
তথায় শীতল দ্দিগ্ধ পবন প্রবাহিত হয়, স্ুুগন্ধে দশদিক আমোদিত থাকে, 
ক্ষুধা তৃষ্ণার ক্লেশ থাকে না, রোগ বা বা্ধক্য থাকে না, নীরৌগ চিরযৌবন লার্ভ 
করত স্বর্শবাসী ভীব আনন্দে কাল কাটাইতে পারে। পরস্ত ত্রিগুণমরী প্রকৃতি 
সর্বনব্রই সুখছুঃখমোহময়ী হওয়ায় স্বর্গের অনুপম সুখও ঢুঃখলবলেশ-বিহীন নহে | 
স্বর্গীয় স্থখের সঙ্গে তাপছুঃখ খুবই বেশি থাকে। সুখের সময়ে অধিকতর 
সুখভোগীকে দেখিয়া ঈর্ধযাজন্ত যে দুঃখের উদয় হয় তাহাকে তাঁপ ছঃখ বলে। 
যে পুণ্যকর্খ্ সমূহের বিপাক বলে স্বর্গলাঁভ হয়, তাহা প্রতোক স্বর্গবাসীর একবূপ 
নহে, উহার মধ্যে তারতম্য থাকে । এই তাঁরতমা হেতু দিব্য স্থখভোগের মধ্যেও 
তারতমা হয়। এজন্য অধিক স্ুখপ্রাপ্ত স্বর্গবাসীকে দেখিয়া তদপেক্ষা অল্ল-স্থখ- 
প্রাপ্ত স্বর্গবাসীর হৃদয়ে ঈর্ধ্যার তুষানল দিবানিশি প্রজ্জলিত থাকে। আব সংসারে 
হ্থথভোগ কম, এজন্য তাপছুঃখও কম, কিন্তু স্বর্গব(সীর তীব্র স্ুখভোগ-প্রৰণ চিত্তে 
তাপছুঃখের মর্ধব্যথা নিদারুণ কষ্টপ্রদ হইয়া থাকে । ইহা ব্যতীত আরও কয়েক 
প্রকার দঃখ স্বর্গজুখের সহিত অবশ্থন্তাবীরূপে সম্বদ্ধ থাকে। 
*.. যথী গরুড় পুরাণে-_ 
স্বগেিপি ছুঃখমতুলং যদাবোহণকালতঃ। 
প্রড়ত্যহং পতিষ্যামি উত্যেতদ্ধুদি বর্ততে ॥ 
নারকাংশ্চৈব সংপ্রেক্ষা মহদ্ডঃখমনাপ্যতে । 
গবং গতিমহং গন্ঠেত্যহর্নিশমনির তিঃ ॥ 
ত্বণন্থিখের মধ্যেও দ্রঃখের সীমা নাই, কারণ স্বর্গারোহণের দিন হইতেই 
পতনের চিন্তা! স্বর্গীয় জীবের হৃদয়ে অস্রহ জাগরুক থাঁকে। নরকস্থ জীবগণকে 
স্বর্গ হইতে দেখিক়্াও মহান্‌ দুঃখের উদয় হয়। কারণ স্বর্গভোগীন্তে নাজানি 
'আমাবও বুঝি এই গৃতি হইতে পারৈ, এতাদুশ দ্শ্চি্ত স্বর্গবাসীর জদয়কে নিশিদিন 
উদ্বেলিত কবে। ম্বৃহাব জীবনে যত বেশি সুখ, তাহীর হৃদয়ে ছুঃখের 


ভামাসতর-তর। 8৫ 


আঘাতও তত তীব্রভাবে লাগিয়া! থাকে । এজন্য স্বরগনুখ ভোগাবসানে পতনের 
চিন্ত। এবং নরক যাতনার আঁশঙ্ক! শ্বর্গবাসীর হৃদয়ে দুঃখের শেল বিদ্ধ করিয়া থাকে 
এবং অমরপুরীর অমৃতের সঙ্গে তীব্র হলাহল মিশ্রিত করিয়। দেয়। মহাভারতের 
বনপর্বে স্বর্গের স্থখছুঃখ সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণন দেখিতে পাওয়া যায় । যথা-_- 

উপরিষ্টাচ্চ স্বল্পোকো৷ যোহয়ং স্বরিতি সংজ্বিতঃ। 

উর্ধগঃ সংপথঃ শশ্বদেবযানচরো মুনে ॥ 

নাতগ্ততপসঃ পুংসো নামহাযজ্ঞযাজিনঃ | 

নানৃতা নাস্তিকাশ্চৈব তত্র গচ্ছন্তি মুদগল ॥ 

ধর্শাত্বানো জিতাত্মানঃ শান্তা দ্বাস্তা বিমৎসরাঃ। 

দানধন্মরতা মর্তযাঃ শূরাশ্চাহবলক্ষণাঃ ॥ 

তত্র গচ্ছ্তি ধর্্মীগ্র্যং কৃত্ব! শমদমাত্মকম্‌ । 

লোকান্‌ পুণাকৃতাং ব্রহ্মন্‌ সন্তিরাচরিতান্‌ নৃভিঃ॥ 

দেবাঃ সাধ্যাস্তথা বিশ্বে তথৈব চ মহর্ষয়ঃ | 

যামা ধামাশ্চ মৌদগল্য গন্ধর্বাপায়সস্তথা ॥ 

এমীাং দেবনিকায়ানাং পৃথক্‌ পুথগনেকশঃ । 

ভাম্বন্তঃ কামসম্পন। লোকাকন্সেজোময়াঃ শুভাঃ ॥ 

্রযস্ত্রংশৎ সহস্রাণি যৌজনাঁনি হিরপায়ঃ । 

মেরঃ পর্বতরাড়, যত্র দেবোগ্যানানি মুরগল ॥ 

নন্দনাদীনি পুণানি বিহায়াঃ পুণ্যকর্্মণাম্‌। 

ন ক্ষুৎপিপাসে ন গ্লানির্ন শীতৌষে ভয়ং তথা ॥ 

বীভৎসমণ্ডতং বাঁপি তত্র কিঞ্চিন্ন বিস্যাতে। 

মনোজ্ঞাঃ সর্বতোগন্ধাঃ সুথস্পর্শ্চ সর্ববশঃ ॥ 

শব্দীঃ শ্রুতিমনোগ্রাহা সর্বতস্তত্র বৈ মুনে। 

ন শোকো ন জরা তত্র নায়াসপরিদেবনে ॥ 

ঈদৃশঃ স মুনে লোক: স্বকর্ম্মফলহেতুকঃ। 

স্থরুতৈত্তত্র পুরুষাঃ সম্ভবস্তা আ্মকর্্মভিঃ |, 

তৈজসানি শরীরাঁণি ভবস্ত্যত্রোপপগ্চতাম্‌। 

কর্মাজান্তেব মৌদগলা ন মাতৃপিতৃজাযত 


৪৬ জীবের গতি । 


ন সংস্বেদো ন দৌর্গন্ধ্যং পুরীষং মুত্রমেৰ বা। 
তেষাং ন চ রজো! বন্ত্রং বাধতে তত্র ৰৈ মুনে ॥ 
ন ম্লায়স্তি অ্জস্তেযাং দিবাগন্ধা! মনোরমাঃ। 
সংযুজ্যন্তে বিমানৈশ্চ ব্রহ্মননেবংবিধৈশ্চ তে ॥ 


ঈর্ষাযাশোকক্লমাপেতা৷ মোহমাৎসর্ধ্যবর্জিতাঃ। 

স্থথস্বর্গজিতগ্তাত্র বর্তযন্তে মহামুনে ॥ 

তেষাং তথাবিধানাং তু লোকানাং মুনিপুঙ্গবঃ 

উপযুণীপরি লোকম্ত লোক! দিব্যগুণান্িতাঃ ॥ 

পুরস্তাদ ব্রাঙ্মণান্তত্র লোকাপ্তেজোময়াঃ গুভাঃ। 

বত্র যাস্ত বয়ে ব্রহ্গন্‌ পৃতাঃ শ্বৈঃ কর্ম্মভিঃ শুতৈঃ | 

্ভবো নাঁম তত্রান্তে দেবানামপি দেবতাঃ। 

তেষাং লোকাৎ পরতরে যান্‌ যজস্তীহ দেবতা: ॥ 

স্বয়ন্প্রতান্তে তাম্বস্তো লোকা: কামছুঘাঃ পরে। 

ন তেযাং স্ত্রীকতস্তাপো ন লোকৈত্বর্যমতসর: | 

ন বর্তয়স্ত্ঠাহুতিভিস্তে নাপ্যমৃতভোজনাঃ | 

তথ! দিব্যশরীরান্তে ন চ বিগ্রহমূর্তয়ঃ ॥ 

ন সুখে হখকামান্তে দেবদেবাঃ সনাতনাঃ | 

ন কল্সপরিবর্তেষু পরিবর্তস্তি তে তথা ॥ 

জর! মৃত্যুঃ কুতন্তেষাং হর্ষ: গ্রীতিঃ স্থুখং নচ। 

ন দুঃখং ন স্থুখং চাপি রাগদেষৌ কুতো মুনে ॥ 

দ্েবতানাধ মৌদগল্য কান্থিতা লা গতিঃ পর1। 

হঙ্পাগ্যা পরম! সিদ্ধিরগ্গা! কামগৌচরৈঃ | 

্রয়ন্িংশদিষে দেব! যেষাং লোক! মনীধিভিঃ | 

গম্গান্তে মিয়নৈঃ শেষের নৈরধ্বা বিধিপূর্ব্বকৈঃ ॥ 
৬. স্বর্গলোক উপরিভাগে অবস্থিত, তথার নিরস্তর দেবযান সকল গমনাগমন 
করিতেছে। সে স্থানে তপোঁবলবিহীন, যঙ্জানুষ্ঠানবিরহিত মিথ্যাভিরত নাস্তিকের 

গ্রমন করিতে সমর্থ হয় না| ধাহারা ধার্শিক, জিভাত্মা, শান্ত, দাস্ত, নির্দৎসর, 


জন্মাস্বতত্ব। ৪ 


ধ)ান ও ধর্শে একান্ত অনুরক্ত এবং সমরপ্ররিয় মহাবীর ঠাহারাই শমদমমূলক 
অনুত্তম ধর্মাুষ্ঠানপূর্বক সৎপুরুষগণ-নিষেবিত এই পবিত্র লোক প্রাপ্ত হন। 
দেবতা, সাধা, বিশ্ব, মহর্ষি, যাম, ধাম, গন্ধর্ব ও অপ্নরাগণ ইসাদের কামফলপ্রদ 
অনেকানেক লোক দেদীপ্যমান রহিয়াছে । ত্রয়ন্ত্রিংশৎ যোজন বিষ্তৃত হিরণুয় 
অদ্রিরাজ মেরুতে নন্দন প্রভৃতি অনেকানেক পবিত্র পরম বমণীয় দেবোগ্ান 
শৌজা পাইতেছে। সেই স্তান পুণ্যবান্‌ লোকদ্রিগের বিহীরভূমি । তথায় ক্ষুধা, 
পিপাসা, গ্লানি, তয়, বীভৎস বা অন্য কোনপ্রকার অগ্ডভ অনুভূত হয় না। 
সর্বদাই পরম রমণীয় ন্থম্পর্শ সুগন্ধ গন্ধবহ মন্দমন্দ বেগে সর্বত্র সঞ্চারিত 
হইতেছে । শ্রুতিন্ুখাবহ শব্দ শ্রবণ ও মন মোহিত করিতেছে । তথার শোক, 
তাপ, জরা ও আয়াসের লেশ নাই। ইহলোকে স্বোপার্ঞিত পুণ্যফলে মনুষ্য 
এইবপ সর্বন্থখাম্পদ স্থান প্রাপ্ত হইয়! থাকে। তথায় গমন করিলে কম্ধর্জ, তৈজস 
শরীর সমুদ্ভুত হয়। পিতৃমাতৃজ শবীর পরিগ্রহ করিতে হয় না। তথায় স্বেদ, 
পুরীষ, মূত্র. ছূর্গন্ধ ও রজঃ প্রভৃতি বস্ত দ্বারা বস্ত্র অপবিত্র বা মলিন হয় না। 
ভত্রত্য লোকদিগের দিব্যগন্ধযুন্ত মনোরম মাল্যদাম ম্লান হয় ন্দ। তাহারা 
সর্বদা বিমান ছারা গমনাগমন করেন। ঈর্ধা, শোক ও শ্রমজনিত ক্রেশের 
লেশও অনুভব করেন না এবং নিম্মংসর ও মোহবিবর্ডিত হইয়া পরমস্থথে 
কালযাপন করেন। ইঈদৃশ লোক অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট আরও লোকসমূহ আছে। 
এইরূপে অশেষ গুপসম্পন্ন অনেকানেক দিব্যলোক উপযুঠপরি অবস্থিতি 
করিতেছে । পূর্বদিকে শুতাম্পদ তেজোময় ক্রন্ষলোক অবস্থিত। তথায় 
পবিত্রস্বভাৰ খধিগণ স্ব স্ব শুতকর্্মফলে গমন করেন । তথায় খু নামে দেবগণ 
আছেন। তীহাদিগের লোক সর্লোৎকৃষ্ট । দেবতারাঁও তাহাদের উদ্দেশে যজ্ঞ 
করিয়া থাকেন। তীহার। প্রভাসম্পর, সকলের অভীষ্ট ফলপ্রদাতা, তাহাদের 
স্রীজন্ত তাপ নাই এবং খর্ধর্যক্কত মাৎসর্যযও নাই। তীঙ্থারা আহৃতি দ্বারা ভীবিক৷ 
নির্বাহ এবং অমৃত ভোজন করেন না। তীহাদের শরীর দিব্য ও অনির্বচনীয় 
কোনপ্রকার আক্কতি বা মূর্তি নাই। তীহার। দেবদের ও সনাতন, তীহা দর 
নুখকামনা নাই। কল্প পরিবর্তিত হইলেও তাহারা পরিবপ্তিত হন না, নিরস্তর 
একভাবেই খাঁকেন। তীহাদিগের জরা, মৃত্যু, হর্য, শোকু, ছুঃখ, রাগ ও দ্বেষ 
নাই 1 এই দুষ্ঞাশা পরম গতি দ্েবতাদিগেরও দ্অভিলফনীয়, ইহা! বিষয়বাসন।- 


৪৮ | জীবের গতি। 


নিরত জনগণের অগম্য । মনীষিগণ বিবিধ নিয়মানুষ্ঠান ও বিধিপুর্বরক দীনাদি 
দ্বারা এই ্রয়ন্ত্ংশৎ দেবলে।ক প্রাপ্ত হন। এই ব্রঙ্গালোকের বিষয় দেবযানগতির 
অন্তভূতি, এজন্য ইহার বিষয়ে পরে বল! হইবে । এখন স্বর্গের হুঃখ সম্বন্ধে ব্্ণন 
করা হইতেছে। 
যথা মহাভারতের বনপর্বে-- 

কৃতস্ত কর্মণন্তত্র ভূজ্যতে যং ফলং দিবি। 

ন চান্ৎ ক্রিয়তে কম্ম মূলচ্ছেদেন ভূজ্যতে ॥ 

সোহত্র দৌষো৷ মম মতন্তগ্তান্তে পতনং চ যৎ। 

শ্রখবাযাপুমনক্কীনাং পতনং যচ্চ মুদগল ॥ 

অসন্তোষ: পবীতাপো দুষ্ট দীপৃতয়া শ্িয়ঃ | 

ফদ্ভবতাধরে স্থানে স্থিতানাং তত সুঢক্ষরম্‌ ॥ 

সংজ্ঞা মৌভশ্চ পতভীং রজসা চ 'প্রধর্ষণম্। 

প্রশ্নীনেষু চ মাঁলোষু ততঃ পিপতিষৌতয়ম্‌ ॥ 

লোকে শর্গপ্রীপ্ত হয়! পৃর্কৃত কর্মের ফলভোগ করে/কিন্ অন্য কোনরূপ 

নবীন কর্থের অনুষ্ঠান করিতে পারে না। স্ৃতরাং তাহাদের পুণাপাদপ ক্রমে 
ক্রমে সমূলে উন্মুলিত হইয়া যায় । পুণ্োর ক্ষয় হইলে পুনরায় যে অধঃপতন হয়, 
ইভা শ্বর্গম্ুখের দোষ। কারণ বহছুদিবস স্খে কাঁলাতিপাত করিয়। পরিশেষে তর্গতি 
লীভ করিলে তাহা সাঁতিশয় ক্লেশকর হইয়া উঠে। স্বর্গগত অন্ত ব্যক্তির অধিকতর 
পুণ্যর্জিত অতুল প্শ্বর্ধা সন্দর্শন করিয়া 'অমরলোকস্থ জন্গণের যে অসন্তোষ ও 
পরিতাঁপ জন্মে ইহা অপেক্ষা কলেশজগনক 'মার কি আছে? কণ্ঠ বিলম্বিত মালা 
শ্লান হঈলে পতনোনুখ বাক্তির 'মন্তঃকবণে ভয়েব সর হয় এবং পতনকালে শ্িনি 
রজোগুণাক্রাস্ত হন ও তীহার বুদ্ধি বিমোহিত হইয়া যায়। এই সকল কারণেই 
বিচারবান্‌ জ্ঞানী পুরুষগণ শ্বর্গস্খকেও পরিণীম্টঃখপ্রদ হওয়ায় পরিত্যজ্য ও 
তুচ্ছীকরণের যোগ্য বলিয়া বর্ণন কবিয়াছেন। এইরূপে পূর্ব বর্ণনানসারে 
চন্্রলোকে (পিতিলোক) স্থখ ভোগ করিব।র পর কম্ীবসানে জীবের চন্দ্রলোকগত 
জলময় শরীর অগ্নিসংযোগে দ্বতকাঠিন্-বিলয়ের স্তায় অচিরেই বিগলিত হয়। 
তখন জীব আর চন্দ্রলোকে ক্ষণমাত্র থাকিতে পারে না। সে যে পথে 
চন্ত্রলাকে গিয়াছিল সেই পথেই আবার তথা! হইতে প্রত্যাবর্তন করে। 


ছলপাখর-তস্ | | 9৯ 


সীহীর সলশরীর ত্রীহি যব ওষধি প্রভৃতি হষ্টতে উপাদান প্রাপ্ত হই পিতার 
শুক্রগত হয় । এবং সুন্দশরীর সেষ্ট শুক্রকে অবলম্বন করিয়া! কর্শাস্থপারে ষথা- 
দেশকালে মাতৃগর্ভে প্রবিষ্ট হইয়া! থাকে । এ্রইরূপে ধুমযানগতি সমাপ্ত হইয়া 
পুনরায় পৃথিবীতাল নবীন কর্্ম লাভ করিবার জন্য জীবের জন্ম হয়। ধূ্মধান্গতি 
হইতে জীব মৃত্যুলোকে আসিবার সময় পিতৃদের সাহায্যে স্ুলশরীর প্রাপ্ত হয় এবং 
দেবতাদের সাহায্যে উহার হুস্মশরীর মাতৃগর্ভে প্রযেশ করে। ইহাই ধুমযান-গতির 
কাংন্সিতি রপ্ত | 

দেবযানগতি উত্তুরারণ পথে হয় । এই গতিতে সর্ধোস্তম লোক অতিক্রম 
করিয়। জাব আরও উন্নত লোকে চলিয়া যায়। তাহার মার 
পুনরাবৃত্তি হয় না। সপ্তমলোকে গিয়। মুক্তি লাভ হয়। 

যথা ছান্দোগ্যোপনিষদে-- 

যে চেমেংরণো শ্রদ্ধা তপ ইতুযপাসতে তেইর্চিষমভিসস্তবস্তাচ্চিষোহ্হরহ্ 
আপুরধানাণপক্ষমাপূর্বামাণপক্ষাগ্ঠান্‌ ষড়,দঙ্ ডেতি মাসাংস্কান্। মাসেভ্যঃ সবৎসরং 
সংবৎসরাদাদি তামা দিতাচ্চন্দ্রমপ* চন্দ্রমসো বিছ্বাতং তৎপুরুষোহমানবঃ দস এনাং 
ব্রহ্ম গময়ত্যেষ দেবযানঃ পন্থা ইচি। 

নিবৃত্তিপরায়ণ যে সকল মুনি অরণো নিবাস করতঃ শ্রদ্ধার সহিত তপ, 
উপাসনা! আদির অনুষ্ঠান করেন তীাভাদেব গতি দেহাবসানে ুর্যয্বার-পন্থা দ্বার! 
হইয়া থাকে। তাহারা অচ্চিঅভিমানিনী দেবতার লোক, দিবসাভিষমানিনী 
দেবতার লোক, আ'পুধ্যমাণপক্ষ দেবতার লোক, ষণ্মাস দেবতার লোক, সংবৎসর 
দেবতার লোক আদিতা দেবতার লোক এবং চন্ত্রমা দেবতার লোক অতিক্রম 
করিয়া যখন বিছ্যৎ দেবতার লোকে পৌছান তখন এক অমানব পুরুষ আসিয়া! 
তাহাদিগকে ব্র্গলোকে লইয়া যান। ইহাই দেবযান পন্থা । এই ব্রক্গলোক বা 
সপ্তমলোক হইতে উপাঁসককে আর সংসারে ফিরিয়া আসিতে হয় না। তিনি 
ওখানেই জ্ঞান ছারা ব্রহ্গসাক্ষাৎকার করতঃ নির্ধাণ মুক্ত লাভ করিক্সা থাকেন। 
ধাহারা সগ্ডণ পঞ্চোপসনার মধ্যে কোন ইষ্টদ্দেবতার আরাধন1 করত ইট্টমৃত্তির 
সহযোগে সবিকল্প সমাধি লাভ করেন এবং সগুণভীবেই তন্ময় হইনা শরীর ত্যাগ 
করেন তীহাদেরও তত্তৎ ইষ্টদেবতার লোকে সালোক্য সামীপাদিরূপ মুক্ত লাভ 
হইয়া থাকে । এই সকল ইষ্টলোকই ষষ্ঠ লোকের অন্তর্গত। ঠঅর্থাৎ শিবলোক, 
বিধুললোক, শক্তিলোর্ক সকল লোকই ষষ্ঠ লোকে বিদ্বমান। শিবতভ্ত শিব 

৭ | 


গেবযান গতি। 


৪৬ জীবের গতি 


ভাবে তন্ময় হইয়া শিবলোক প্রাপ্ত হন, বিষ্ণুভতক্ত-বিষুভীবে তন্ময় হইয়। বিষুলোক 
প্রাপ্ত হন এবং দেবীর উপাসক ততন্তাবে তন্ময় হইয়া শক্তিলোক মণদ্বীপ প্রাপ্ত 
হন। এরই সকল লোকের চমংকার বর্ণন বিষুপুবাণ, শ্রীমদভাগবত, দেবী 
ভাগবত আদি উপাসনাসম্বন্ধীয় প্রবাণসমহে দেশিতে পাওয়া যার। এই কল 
(লাঁকে ভক্ত সামীপ্য, সাধূজ্যাঁপ মুক্তি লাভ করত মভাপ্রলয়কাল প্যস্তও অবস্থান 
করিতে পারেন । মভাপ্রলতয়ব সময়ে ধণন শিব, [বিষ তাাদিব পরত্র্গে লয় তয়, 
তখন ভক্ত পরজ্ঞান লাভ করিয়! স্বকীয় ইষ্টদেবতার স।৯ত পরব্রঙ্গে বিলীন হয়! 
নির্বাণ নোক্ষ লাভ করেন । 
যথ। দেলীভাগবতে _- 
ভক্তে৷ কৃতায়াঃ যস্তাপি প্রারন্ধবশাভো নগ। 
ন জায়তে মম জ্ঞানং মণিদ্ীপং স গচ্ছতি ॥ 
তন্ধ গত্বাইখিলান ভোগাননিচ্ছন্নপি চি । 
তদন্তে মম চিদ্রাপজ্জানং সমাগ. ভবেন্নগ ॥ 
,  ইহলোকে ভক্তিপূর্বক সাধন করা সন্কেও অপূর্ণ প্রাবন্ধতেত যে ভক্তের পরজ্ঞান 
লাভ না হয় মৃত্ার পর দেবীলোক মণিদ্বীপে তাহার গতি হইয়া থাকে । তথায় 
ইচ্ছা না থাকিলে৪ আপনা আপনি ভক্ত বিবিধ হোন প্রাপু হইয়া থাকেন এবং 
তদনন্ুর কালপ্রাণ্ড হইলে ভক্ত পরব্রদ্দের জ্ঞান লাভ কবত মন্তি লাভ করিয়! 
থাকেন। ভক্ত সেকাল কদিনে প্রাপ্ত হন এ বিষয়ে শ্রুতিতে উত্ত হইয়াছে-_. 
| ব্হ্মণা সঙ্গ তে সার্ক সম্প্রাপ্ৰে প্রতিসধ্চরে | 
পরশ্যান্তে রুচাত্মানঃ প্রবিশস্তি পর পদম্‌ ॥ 
উন্নত লোকপ্রাপ্ত ভক্ত ইষ্টদেবের সঠিভ প্রলয়কাল পর্যান্ত উত্ত লোকে বাস 
করিয়া মহা প্রলয়ের সময় পরব্রদ্দেব সাক্ষাংকারলাতভ করত ইষ্টদেবের সহিত ব্রহ্গে 
বিলীন হইয়া যান । ইতাই দেবযানগন্তির চরম পরিণামে নিঃশ্রেরসলাভ । এ 
বিষয়ে মুণ্ডক শ্রুতিতেও প্রমাণ পাওয়া যাক্স যগা-_ 
তপঃশ্রন্ধে যে ছ্যপনসন্তারণ্যে শাস্তা বিদ্বাংসো ভৈঙ্ষচর্ম্যাহ চরস্তঃ | 
ু্যদ্বারেগ তে বিরজা:ঃ প্রবাস্তি যনত্রামৃতঃ স পুরুষো হাবায়াজ্মা ॥ 
বেদান্তবিষ্ঞানন্ুমিশ্চিভার্থাঃ সন্স্যাসযোগাদ্‌ যতয়ঃ শুদ্ধসাঃ। 
তে ব্ঙ্মলোচুকমু পরাস্তকালে পরামৃতাঃ পরিমুচ্যস্তি সর্ষে ॥ 
ভিক্ষানর্ধ্যাবলন্বন করত যে সকল শান্ত বিদ্বান্‌ পুরুষ অরণ্যে বাস করেন এবং 


টি 


জন্বাস্তর তত । ৫৩ 


শ্রদ্ধার সহিত তপস্থাদি আচরণ করেন তাঁতারা দেহত্যাগের পর সুর্য্যঘারপথে কা 
দেববানপথে অব্যয় অনুত পুরুষের লোকে গমন করেন । ইহারই নাম ব্রক্ষলোক। 
বেদান্তের জ্ঞানান্গুসাবে লব্ঘতত্ব এবং সন্না।সযোগের দার! শুদ্ধসত্ব ঘতিগণ এই ক্রচ্গ 
লোকে বন বর্ষ বাঁস করিষ! নহাপ্রলয়কালে ব্রহ্মার লর়ের সঠিত পরব্রঙ্গে বিলীন 
হইয়া নির্বাণ মুক্তি লাভ করেন। সহজগতি এবং শুক্লগতি সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণন 
দেওয়া হইল । এই ছুইই জীবের মুক্তিবিধায়িনী গতি) এতদ্যতীত আর এক মুক্তি- 
বিধাস্তিনী গতি আছে। উহাকে ধশীগতি বলে। ইহার রহস্ত পরে বর্ণিত 
ইইবে। 
ধূমানগতি পাপ-পুণোব মিশ্রণে উৎপন্ন হইয়া থাকে । একন্ত ধৃমযানের 
অন্তর্গত পিতুলোক ব্যঠীন নরকলোক এবং প্রেতলোক গ্রাপ্তিও হইয়া থকে । 
যে সকল মন্তুা পুণার্জন করে নাই, প্রভাত বিষর়বিলাসে 
পাপমর জীবন যাপন করিয়াছে তীহাঁদের মুত্তাকালে বড়ই 
কষ্ট হষ্টরা থাকে এবং মৃত্তার পরেও প্রেতযোনি প্রাপ্তি 
অথবা নরকে গতি ভইয়া থাকে । ইভা কিরূপে হয় তাহ! নীচে ক্রমশঃ বিবৃত 
হইতেছে | আজীবন বিষয়ভোগের ফলে বিষয়বাসিতচিত্ত মন্তুষা মৃত্যুর সময়েও 
বিষয়চিন্থা পরিতাঁগ করিতে পাব না। কাবণ যৃতুারূপী ভীষণ পরিবর্তনের 
জন্য মানবচিত্ত স্বভাবতই বিমুঢ হইয়া কিছু দর্ববল হইয়া পড়ে । এবং অস্তঃকরণের 
প্ররৃতিই এরূপ যে ছূর্ধল চিন্তে আজীবন অভান্ত বলবান্‌ সংস্কার আপনা 
আপনিই উদিত হইয়া থাকে। দুর্বল অভ্ত;করণে স্বভাবতঃ উদিত এইরূপ 
বলবান্‌ সংস্কারকেই প্রারন্ধ সংস্কার বলে এবং জীব এট শরাবন্ধান্থুকুল ভাবনায় 
চিন্তকে অভিভূত করত মুভ্টাব পর সদলদ্‌ ভাবনানুসারে নানারূপ গতি প্রান্ত 
হয় । বেদ বলেন-- 
«প্র/ণক্েজস! খুক্তঃ সহাত্মনা যথাসঙ্কল্িতং লোকং নয়তি ,? 
স্থক্সণরীব, কারণশরীর এবং জীবাত্মা চিত্নিহিত সংকল্লানুস।বে পরলোকে 
ভাঙশ্গভ গতি প্রাপ্ত হইয়া গাকে। 
শ্রীভগবান গীতাতেও বলিয়াছেন 
যং যং বাঁপি ম্মবন ভাবং তাজতান্তে কলেনবম্‌। 
তং তমবৈতি কৌন্তেয় ! সদা তদভাবভাবিতঃ 1 
যেয়ে ভাখ শ্ণ করিতে করিতে জীৰ শরীর ভাগ কর্ঠুর, মৃত্ভার পব সেই 


প্রেত ও নরকাদি 
গতি । 


8 


৫২ জীবের গাঁত? 


ভাবানুসারে জীবের গতি হইয়া থাকে । শ্রীভগবানের চর্রণকমলে ভৃঙ্গায়মানচিত্ত 
হইয়া মৃতার সময়েও যে সাধক ভগবানকে শ্মরণ করিতে করিতে প্রাণভাগ করিতে 
পারেন তাহার নিশ্চয়ই উদ্ধগতি হইয়া থাকে। কিস্তু আভীবন নিষয়মুগ্ধচিন্ত 
জীবের সে সৌভাগ্য কোথায় ? ন্তাহার মুত়ভার সময়ে বিষয়বাসনার স্ুপরিণামহেতু 
চারপ্রকার নিদারুণ চঃখপ্রাপ্তি হইয়া থাকে । নিয়ে ক্রমশঃ এই চারিপ্রকার 
চঃখের বিষয় বর্ণন করা হইতেছে । প্রথম ক্লেশকে বোগশান্ত্রে অভিনিবেশ নাম 
দেওয়া হইয়াছে । 
যথা যোগদর্শনে-- 
*স্বরসবাহী বিষ পি থা বড়ো ভিনিবেশ 15 
যাব সম্বন্ধ পূর্বজন্ম হইতে লাগিয়া থাকে এবং যাভা বিদ্বান আবিদ্ব'ন্‌ 
সকলকেই আশ্রয় করে, মুত্তাভর উৎপন্নকারী সেই ক্লেশকে অভিনিবেশ বলে। 
আবাল-বৃদ্ব-বনিতা সকলেই মুক্তাব ভয়ে ভাত কেন? ষ বালক মবণেব কথা 
কিছুই জানে না সেও মরণেব নাঁমে কপিয়া উঠে কেন » উ্াব কারণ অগ্সন্ধান 
করিলে ঘোগদর্শমোক্ত পুর্বজন্ম-সংস্লাবই কারণ বলিয়া বোধ হয়। মৃত়া স্কুল 
শরীবেরই হইয়া থাকে, নাম্মাব মৃত্যু নাই । 
শ্রুতি বলিয়াছেন 
“জীবাপেতং কিলেদং মিয়তে ন জীবে! মিয়তে |” 
জীবাত্মা-পরিত্ান্ত স্থুলশরীরেরই মৃত্তা হইয়া থাকে জীবাম্মাধ মৃভ্ভা তয় না। 
“বাদাংসি জীর্ণানি” আদি শ্লোকের দ্বারা গীভায় একথা ভগবান স্পষ্টই প্রতিপাঁদন 
করিয়াছেন । এই সিদ্ধান্তানুসারে মৃত্যুর সময় যখন জীবাত্মা. কারণশরীব ও 
স্ুক্শরীরেব দ্বার! স্থলশরীর পরিতান্ত হয় তখন জীবেব যে দারুণ ক্লেশ হয় উনার 
সুক্ষ সংস্কার হৃক্মশরীরগত চিন্তেব মধ্যে থাকি যায়। মৃত্তার কথা বণিলেই জীবের 
মনে পূর্ববজন্মের & চঃখের সংস্কার উদ্বদ্ধ হইয়া থাকে৷ তাহীতেই জীন মৃত্তা ভয়ে 
ভীত তয়। এই ভয় এত ভীষণ যে ভগবান পতঞ্জলি যোৌগদর্শনে পঞ্চক্লেশের বর্ণন 
করিতে সময় অভিনিবেশকেও একটি ক্লেশেব মধ্যে গণনা করিয়াছেন । যথা 
অবিগ্যান্মিতাবাগদ্থেবাভিনিবেশাঃ পঞ্চরেশা: | 
অবিদ্থা, অশ্মিতা, রাস, দ্বেষ এবং অভিনিবেশ সংসারে ভীবকে এই পাচ 
প্রক্চাব ক্লেশ সহা করিতে হয়। এক্ষণে অভিনিবেশহেতু মৃত্যুকালে জীবের কিরূপ 
* ক্লেশ হুয় ভাঙা বর্ণিঠ হইতেছে? মৃত্যুকালে স্থুলশরাবের সহিত সুঙ্ষপরীর 


জানা ম্বধ-ততব | ৫ 


করণশরীব এবং শগীবাত্মাব বিচ্ছেদ হয় । মে বন্থর সহিত অনেকদিনের অন্ক্তা 
সম্বন্ধ থাকে তাহার সহিত বিচ্ডেদের সময় অবশ্যই অহ্যাধিক কষ্ট হইবে । দৃষ্টাস্ত 
রূপে বুঝা যাইতে পারে যে যদি ্ুইখণ্ড কাগজকে নির্যাসের দ্বারা সংলগ্ন করিয়া 
দেওয়া যায় তাহা হইলে কিছুক্ষণ পরে নির্যাস শু হইলে কাগজখপগুদ্বাকে পৃথক 
করা বড়ই কষ্টকব হইয়া উঠে। অনেক সময় কাগজ ছিন ভইয়া যায় তথাপি 
বিশ্রিষ্ট হয় না। ঠিক এ প্রকারে পঞ্চকর্শে্দ্িয় পঞ্চ জ্ঞানেক্দ্িয়, মন, বৃদ্ধি, চিত্ত, 
, অহঙ্কার এবং জীবাঁত্বার ধখন বিষয়বাসনারূপ নির্ধাসের দ্বারা স্থুলশরীরের সঙ্গে 
অনেক বর্ষ পর্যান্ত সম্বন্ধ ছিল এবং সেই বাসন! মৃত্যুকাল অবধি ঘ্বতীহত বহ্ির 
হার ক্রমাগত বাঁড়িয়াই আসিয়াছে, কমে নাই, তখন যদি হঠাৎ দৈববশে পরম 
প্রেমাম্পদ স্থলশরীরকে চিরকালের জন্য ত্যাগ করিতে হয় তাহা হইলে অবশ্যই 
জীবেব অস্তঃকবণে দারুণ ঃখেব উদয় হইবে ইহাতে আর সন্দেহ কি? এই 
গুঁ আন্তরিক ছুঃখকেই মৃত্তাধাতনা বলে এবং হাব সংস্কাব অন্তঃকরণে অনেক 
জন্ম হইতে সঞ্চিত থাকায় মৃত্যুর নামমাত্রেই উদবোধিত হইয়। জীবকে মৃত্যুভয়ে 
ভীত কবে। ইহাই মরণকালীন প্রথম ক্রেশ যাহা ধীর যোগী ভিন্ন বিদ্বান্‌ অবিশ্বান্‌ 
সকলকেই ভোগ কবিতে হয় । ধীর ভদ্ত যোগীর ুক্মশরীর ও আত্ম! বিষয়বাসনা- 
রূপ নির্য্যাসেব দ্বারা স্ুলশবীরের সহিত সম্বন্ধ না হইয়া ভক্তি ও প্রেম নির্ধ্যাসের 
সবার! প্রীভগবানেব চরণকমলের সহিত সংলগ্ন থাকে, এজন্য মৃত্যুর সময় তাঁহাকে 
কোনই ক্লেশ পাইতে হয় না। তিনি মৃত়্ারূপ বিষম সন্ধির সময়েও অপূর্ব 
ধৈর্যের সহিত নিজেব মানোমধুকরকে ভগবচ্চরণারবিন্দের মধুর মকরন পানে 
তন্ময় করিয়া এ অবস্থাতেই স্থুলশরীর ত্যাগ করেন এবং এইজন্যই দেহত্যাগ্গে 
তীহার উত্তরায়ণ গতিলাভ হইয়া! থাকে । মৃত্যুর সময়ে বিষয়ী পুরুষের দ্বিতীয়প্রকার 
ক্েশের কারণ “মোহ” । মোহের স্থান পুত্রকলত্রাদি মুমুখু ব্যক্তির চারিদিকে 
বসিয়া করুণস্বরে যখন বিলাপ করিতে থাকে তখন তাহার মনোবেদনার আর 
সীমা থাকে না। হায়! আমি আমার প্রাণপ্রিয় শিশ্ুগুলিকে কিন্ধূপে 
পরিত্যাগ করিব, উহারা আমাব অভাবে অনাহারে মারা যাইবে, আমার 
সহধর্িণী অনাধিনী হইয়া চিরজীবন কষ্টে কালযাপন করিবেন, এত ক্লেশে 
অর্থেপার্জন করিলাম, অট্টালিক? সুপাক্দিত করিলাম, কিছুই ভোগে আসিল না” 
ইত্যাদি ইত্যাদি মোহমুলক ছুঃখচিন্তায় মুমুর্যুব্যক্তির হৃদয়, বিদীর্ঘ হইতে থাকে । 
ইহাই সব মৃত্যুকালীন দ্বিতীয় ছুখ। যথা ভাগবতে-_ £ * 


৫৪ জীবের গতি। 


এবং কুটু্ঘভরণে ব্যাপৃতাআ্বাংজিতেন্দিয়ঃ। 
অিক্পতে রুদতাং স্বানামুরবেদনয়াহক্তধীঃ ॥ 

কুটুন্বপোষণে ব্যাপৃতচিত্ত অসংবমী বিষয়া ব্যক্তি কুটুম্বগণের দুঃখ দেখিঙ্া 
এইরূপে হতবুদ্ধি হইয়া! থাকে । মুমূর্ষু বাক্তির তৃতীয়প্রকার ছুঃখ অন্গৃতাপজন্ত 
উৎপন্ন হইর। থকে । দ্হায়! আমি শাস্্ জানিরাও বিষয়ের উন্মাদে মন্ত থাকিয়| 
কিছুই ধর্ম নুষ্টঠন করি নাই, স্ত্রীপুত্রা্দির প্রতি আসক্ত হইয়া উহাদিগকে সুখে 
রাখিবার নিমিত্ত কতই চুবি, জুরাচুরি, মিথ্য।চার, কপটতা, প্রবঞ্চনাদির অনুষ্ঠান 
করিয়াছি, যাহ।দের জন্ত এরূপ পাপকার্যা করিয়াছি, তাহাবা ত কেহ আমার 
পাপের ভাগী হইবে না বা! আমার সঙ্গে যাইবে না, কেবল আমাকেই একাকী 
ভীষণ নরকে পতিত হইয়া সকল পাপের ফলভোগ করিতে হইবে । হায়! আনি 
যৌবন মদোন্মন্ত হুইয়। কতই অনাচার, বাভিচার,. সতার সতীত্ব নাশ আদি ঘ্বণিত 
পাপাচরণ করিয়াছি, তখন ওসকলের ভীষণ পরিণামের প্রতি উপেক্ষা! 
কবিম়্াছিলাম, কিন্তু এখন এ সকল পাপ মুণ্তিন।ন হইয়। আমাকে দারুণ যমদতওের 
ভয় দেখাঁইতেছে এবং অন্ত;করণে শতশত বুশ্চিকদংশন$ঠলা ক্লেশ উৎপন্ন 
করিতেছে । যৌবনের ঘেরে অহদ্ধত হুয়া স্বর্গ নরকান বিবয়ক শাস্ত্রীয় 
সিদ্ধান্তকে মিথ্য। বোধে উপহাস করিয়া উড়াইয়া দিতাম এব” শীস্ত্রগহিত কদাঢরণ 
করিতে কুষ্টিত হইতাম না, কিন্ত এখন মৃত্যুকালে এঁ সকল পরোক্ষ লোকের ভাষণ 
ছায়। আমার হৃদয়ের উপর পতিত হইতেছে এবং খষিদের বাক্য সত্য বলিয়। মনে 
হইতেছে, নাজানি মহাপাপের ফলে আমকে কোন রোরন বা কুম্তীপাকে পড়িতে 
হইবে” ইত্যাদি ইত্যাদি পুর্বব্ষম্মজনিত অনুত/পের অনলে বিষয়সেবী মুমুযুর 
চিত্ত দগ্ধ হইতে থাকে । অনেক বিষগ্ী ত এইপ্রক।র দারুণ দুঃখের দ্বারা বিমুগ্ধ ও 
বিকৃতমন্তিক্ষ হুইয়! বিকারাবস্থায় নিজের পাঁপ বলিতে আরম্ভ করে যাহ! শুনিয়া 
জবাস্মীয়স্বদন সকলেই অত্যন্ত অতাস্কত 'ও সন্তস্ত হয়া উঠে। ইহাহি মরণকালান 
অগ্কৃতাপজন্ত তৃতীয় ছঃখ । মরণকালীন চতুর্থ ভঃখ কিছু অলৌকিক এবং বিচিত্র । 
উহা এই যে ঠিক মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে, মনুষ্যের প্রকৃতি, মৃত্যুর পর তাহাকে 
হ্বকর্মানুসারে থে লোকে যাইতে হুইবে সেই লোকের প্রকৃতির সহিত সমভাবাপন্ন 
হইয়া! হা এবং এইছেতু মৃত্যুর সময় জীর পরলোকের অনেক দৃশ্ট দেখিতে পায়। 
ফিনি স্বর্গে যাইবেন ভিনি স্বর্গীয় (দবদেবীকে দেখিতে পান এবং ষে যমলোকে 
শহুক্তি পাইবার জন্য যাইধে সে ভীষণ বমদুকগণকে দেখিতে পায়। 


দন্মান্তব-তপ্ব ! ৭ ৫৫ 


যথা মুণ্ডকোপনিষদে-- 
এহোহীতি তমাছতরঃ সুবচ্চসঃ ক্ষান্ত বশ্মিভির্যজমানং ধহস্তি | 
প্রিরাং বাচমভিবদন্ত্যো হ্চয়ন্ত্যঃ এষ বঃ পুণ্যঃ সুকুতো ব্রন্গলোকই ॥ 

ফদ্ড্ের ফলে সাহারা দিব্যলোৌকের অধিকারী হন এরূপ পুণ্যাত্মা পুরুষগণকে 
মৃত্যুর সমর জ্োতিত্মতভী আহুতিগণ এস এস” বলিয়া আহ্বান করেন এবং 
সুর্যারশ্মি দ্বারা দিব্যলোকে লইয়া যাঁন, উইাদিগকে মধুববচনে সম্বোধন এবং অর্চ ন! 
করেন। এইরূপ পুণাস্মা ব্যক্তিগণের দিবালোকে গতি হইয়া থাকে । পুরাণেও 
স্বর্গ হইতে বিমান আসা এব তাহাতে আরোহণ করিয়া পুণ্যাআ্ার স্বর্গে যাওয়া 
আদিব অনেক বর্ণন দেখিতে পাওয়া যায়। মৃত্ভাকালে পুণ্যাত্মাগণ এরূপ বিমান 
ও দেব্তাঁদির দর্শন করির! প্রফুল্লিত হন। কিন্তু পাঁপীর ভাগ্যে এরূপ দিধ্যদর্শন 
কোথায়? সে মূত্র পর বমলোকে যায় এবং এজন্য মৃ্তুর সময় ভীষণ লগুড়হস্ত 

ধমদূতগণকেই দেখিয়া থাকে | যথা ভাগবত 
যমদূতৌ তদী প্রার্থো ভীমৌ সবভসেক্ষণী | 

স দষ্ট। ত্রস্তহ্ৃদয়ঃ শকুনুত্রং বিদৃপ্চতি ॥ 

পাঁপীর মুত্তাকালে ভাম আরক্তুলোচন ষম্দৃত ছয় সন্থুথে আসে এবং তাহ 
দেখিয়া! ভয়ে মুমুযু ব্যক্তি মল মূত্র ভাগ করিয়া ফেলে! এই সকল যমলোকবাসী 
জীব কবাল মৃষ্তি ধারণ করত পাপীর নিকটে উপস্থিত হয়, নরকের বীভৎস দৃশ্ত 
সমূহ তাহাকে দেখার, কাল্পনিক নরকাগ্নি উংপন্ন করিয়া পাপীকে তাহার মধ্যে 
ফেলিল এরূপ ভয় জন্মায়, বল পূর্বক ভীহার কেশাকর্ষণ করিয়! কমিকীটা দিপুর্ণ 
বিষ্টাকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত করিতে যায়। এই সকল ভয়ঙ্কর অমানুষিক দৃষ্ঠ দেখিয়া 
পাপীর হৃদয় ভয়ে বিহ্বল হইয়া উঠে এবং সে চীৎকার করিতে করিতে মুচ্ছিত 
হইয়া! পড়ে । এই সব বিষয়ী বাক্তিব মৃত্যুকালীন চতুর্থ দুখ । এ কথা সকলেই 
জানেন যে দারুণ ক্রেশে চিত্ত অভিভূত হইলে মন্ুষা প্রায়ই মৃষ্ছাপ্রাণ্ড হয়। এই 
নিয়মান্ুসারে বিষয়ী মন্থুষ্যের ুশ্্শরীর উপব-কথ্িত চতুবিবধ ক্রেশের বশে প্রায়ই 
সচ্ছাপ্রাপ্ত হয় এবং এই মুচ্ছাবস্থাতেই তাহার স্জ্জ্শরীর সূলশরীর হইতে নিষ্ছাস্ত 
হইয়। থাকে । মৃত্যুর সময়ে কুশ্ষশরীরের এই কু্হীবস্থার জন্য যে লোকপ্রাপ্তি হয় 
তাহাকে প্রেতলোক বলে। কিন্তু এই মূচ্ছা সাধারণ সং্ঞাহীনতাযুক্ত মূর্ার মত 
নহে। ইহাতে হুঙ্গশবীর সংজ্ঞাহীন হয় না, কেবুলল মোহাদিজনিত প্রধল 
ভাবনা ও দুঃখের এ্শে অজ্ঞামভীময় এক প্রকীর উন্মস্তদশা প্রাপ্ত হইয়া থাকে 1: 


৫৬ জীবের গতি। 


কোথাও কোথাও শাস্ত্রে এরূপ বর্ণনও পাওয়া যায় যে পুর্বশরীব তাাগ করিব 
মাত্রই জাবের দ্বিতীয় শরীর লাভ হইয়া থাকে। যণা শ্রুতি --. 
হদ্‌ যথা তৃণজলে.কা তৃণস্তাস্তং গত্বাহন্মাক্রমমাক্রম্যাক্নমুপসংহরত্যেব- 
মেবায়মা্বেদং শরীরং নিহতাহবিদ্যাং গময়িত্বানমাক্রমমাক্রম্যাআন্মুপনংহরতি। 
আরও ভাগবতে -- 
দেহে পঞ্ত্বমাপন্নে দেহী কর্্মান্থগোহবশঃ | 
দ্েহান্তরমন্তুপ্রাপ্য প্রাক্তনং তাজতে বপুঃ ॥ 
ব্রজংস্তিষ্ঠন পদৈকেন যখৈবৈকেন গচ্ছতি | 
তথা তৃণজলৌকেব দেহী কম্মগতিং গতঃ ॥ 
এক স্থুলশরীর মৃত হইবার পর কর্মপরতন্ত্র জীব বিবশ হইয়া অগ্ত দেহ প্রা 
হর। যেরপ জলৌকা পূর্ব তুণ পরিত্যাগ করিবামাত্রই পরবর্তী তণ প্রাপ্ত হয় 
সেইঈপ্রকাব ভীবও কন্দুবশে পূর্বশরীর ভাগ করত তৎক্ষণাৎ অন্য শরীর প্রাপ্ত 
হয়। পরজ্ এইরূপ পুর্বশরীর ত্যাগের পরক্ষণেই দ্বিতীয় শরীর প্রাপ্তি জীবের 
তখনই হইতে পাঁরে যদি বিমরবাঁসনাদির পরিণামে জীবের প্রেতযোনি প্রাপ্তি না 
হয় 'অথবা অন্য লোকে ভোগ্য কোন কম্মসংস্কার না থাকে । অন্তথা যতদিন 
জীবের প্রেতবমুক্তি না হয় অথবা স্বর্গনবকাদি ভোগ সমাপ্ত না হয় ততদিন 
তাঙ্ঠার ইভলোকে পুনর্জন্ম হইতে পারে না। এক্ষণে তেতযোনি কি এবং 
কিরূপে তাহার প্রাপ্তি ও তাঁচ। ভইডে মৃক্তি হর তাহাই বণিত হইতেছে । পূর্বেই 
বলা হইয়াছে ধে বিষয়ী জীবের চিন্তে মৃত্যুকালে চার প্রকার ঃখের উদয় হ্ইয় 
সুক্ষ শরীরের মৃচ্ছা প্রাপ্তি হয়া থাকে । এ মুঙ্ছাই প্রেতত্বের কারণ এবং যতদিন 
না এ মৃচ্ছ! কাঁটে জীবকে ততদিন প্রেতযোনিতে অবস্থান করিতে হয়। এইরূপ 
ূচ্ছা ব্যতীত আরও কয়েকপ্রকারে প্রেতত্ব প্রাপ্তি হইয়। থাকে । যথা--কোন 
মনুষ্য ব| অর্থাদির প্রতি বিশেষভাবে আদক্ত হইয়। উহাতেই চিত্তকে মুগ্ধ করতঃ 
প্রীণভ্াাাগ করিলেও প্রেতবোপিপ্রাপ্তি হইয়া থাকে । গৃহস্থগণ পুক্র কলত্রাদির 
মায়ায় মুগ্ধ হইন্া, ব্যভিচারপরা য় স্ত্রীপুরুষ পরম্পরে আসক্ত হইয়া, পণ ধনে 
আসক্ত হইয়া এইরূপে প্রেতযোনি প্রাপ্ত হয়। ইহা ছাড়া হঠাৎ অপঘাত মৃত্যু 
হইলেও প্রেতযোনি প্রাপ্তি হইয়। থাকে । রাস্তা চলিতে চলিতে মন্তকে বস্ত্রপাত 
হুইল, উপর হইতে ঘর ভাঙ্গিয়া৷ মাথায় পড়িল, হঠাৎ কেছ বন্দুক মারিয়া দিল বা 
 নুপ্কুঅবস্থায় শিরশ্ছেদন করিল এরপ মৃত্যুতেও প্রেতযৌনি প্রাপ্তি হইয়। থাকে। 


জন্মাস্তব তত । ৫৭ 


* এই সকল ঘটনাস্থলে ফখ্যাশবীর বীবে ধীবে স্লশরীর পরিভ্যাগ করিতে ন| 
পারিরা হঠাৎ আঁঘ।ত পার! বেগে বহিগভ হইয়া পড়ে । এবং এই আ্ঘাতেই 
লুক্মশবীবের মর ভইরা প্রেতত প্রাপ্তি তয় । তৃতীয়: মাত্সহনন করিলে প্রেতত্ব 
প্রাপ্তি অবশ্যই হইয়া থাকে । উদ্ব্দনে শাণলাগ, জলনগ্র ভইয়। প্রাণত্যাগ, 
বিষ ক্ষণ কবিরা প্রাণত্যাগ ইত্যাদি প্রকাবে আস্মধাতী হইলে প্রেতযোনিলাভ 
হইয়া থাঁকে। এইঈজপ মুহ্বা অত্যন্ঠ কষ্টের সভিভ হয় এবং তাভাতেই শক্মশরীর 

চমচ্ছিত ভইয়া প্রেত লাভ কালে । খুদ্ধে বাবা বীবের মত প্রাণ দেন ভাহাদিগকে 
প্রেহযৌনি ভোগ কবিতে হর না । কিন্ধু্টীরুব মত হায় হায় করিয়া অতিকষ্টে 
প্রাণ দিলে প্রতঙ্গলীভ হয়) এইরূপ নানাগ্রকীবে জীবেব প্রেতযোনি প্রাপ্তি 
হয়। এনদাহীত কোন শরুব ট্পব জিথাংসাবন্থিযক্ত হউয় প্রেতযোনিলাভের 
কাঁবণও বর্ণিত আছে । 'এ সকল (এত যাভীব স্টপর আক্রোশ করিয়া প্রেতত্ 
লাভ কালে তাঁলাকে প্রারঈ সবধশে নাশ কবিয়া থাকে । মন্রসংভিতায় কর্মভষ্ট 
কমা তত প্রাপি বিষয়ে দাদশাধাঁয়ে বর্ণন পাওয়া যায় যথা-- টি 
বাস্থসথাঙ্ষামথং প্রেছো বিপ্রো ধর্খীৎ স্বকীচ্চযতঃ। 
আমেধকিণপাণা চ তিয়ঃ কটপুতনঃ ॥ | 
নৈরাক্ষজোতিকই প্রেভো বোরো ভবতি পুরভূকৃ | 
চৈলাশকশ্চ ভবৃতি শছেো ধন্মাৎ স্বকাচ্চাতঃ ॥ 
বাহ্গণ - স্বকন্মদ্ঈ হইলে দর্দিভক্ষক জ।লামুখ প্রেত ও ক্ষতিয় প্ররূপ হইলে 
শন ও বিঠান্ক্ষক কটপুতননামক প্রেত হয়। বৈশ্য স্বকশ্মতরষ্ট' হইলে পুরভক্ষক 
মৈরাক্ষ-জোতিক নামক প্রেত এবং শূদ্র এরূপ হইলে চৈলাশক নামক 
(প্রেত তয় । 
এই সুত্যলোকরূগী পুথিবীব সঙ্গে তিনটি স্ক্মলৌক আছে। উহাদের 
একটির নাম প্রেতলোক, দ্বিতীয়টির নাম নবকলোক এবং তৃতীয়টির নাম 
পিতলোক । অর্থাৎ এই নৃত্যালোকের সহিত সংশ্লিষ্ট পৃণ্ালোকের নাম পিতৃলোক 
এবং পাপভোগপ্রদ লোকেব নাম প্রেহলোক ও নরকলোক। জীব আতিবাহিক 
দেহ ধাবণ করিনা এই তিন লোকে কর্মান্রসাবে গমন এবং সুখ-দুঃখ ভোগ 
করিয়া থাকে । প্রেতের় সাধারণ স্থুলশরীর থাকে না, কিন্তু বাসনার 
তীব্রতান্সারে প্রেত যখন ইচ্ছা নানীপ্রকার স্কুলশরীর ধ্বাবণ করিতে পারে |, 


ইহ কিরূপ হয় ভাহা বিচাধ্য ।* আধ্যশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই যে, নুস্মশ্বীবের বেগ 
৮ 


৫৮ জীবের গতি । 


বশতঃ স্থুলশরীর লাভ হইয়া থাকে । ুক্মশরীরের এত বল আছে যে সে 
বাসনার বেগে প্রকৃতি হইতে স্থলশরীরের উপাদান সংগ্রহ করিয়া যখন তিখন 
স্থলশবীর প্রস্তুত করিতে পাঁবে। বদ্ধজীবের শসুক্্মশরীর স্থলশরীর ও ইন্দ্রিয়ের 
সহিত আসক্তিযুক্ত এবং তন্নিবন্ধন বদ্ধ থাকায় বন্ধজীব যথেচ্ছতাবে স্থুলকায়া 
পরিগ্রহ করিতে পারে না। যোগীর শুঙ্্মশরীর ইন্দ্রিয়বদ্ধ নহে এজন্ শিক্ষা 
করিলে যোগীও নানান্নপ স্থুলশবীর পরিগ্রহ করিতে পারেন। এইরূপে প্রেতের 
স্লশরীর না! থাকায় একাকী হুক্মশরীরের বল অসীম থাকে, এজন্য ধোতও 
সুস্ম্শরীরের বাসনা-বেগকে বদ্ধিত করিয়া স্থলশরীর ধারণ করিতে পারে। তবে 
যোগীর স্থুলদেহ ধারণ এবং প্রেতের স্থুলশরীর ধাবণের মধ্যে অনেক প্রতদ 
আছে। যোগীর চিত্ত বাসনাশূন্ত হওয়ায় £যাগী যোগসিদ্ধিবলে নানারপ শরীর 
ধাবণ করিতে পারেন। কিন্ত প্রেত তাহ! পারে না। সে কেবল নিজের 
বাসনানুসারেই শরীর ধারণ করিতে পারে । যেমন যদি কৌন পুরুষ নিজের স্ত্রী 
বা পরস্থীতে আসক্ত হইয় উন্তাকেই চিস্তা করিতে করিতে প্রাণতাগ করে এবং 
তন্লিবন্ধন উহাঁব প্রেতযোনি প্রাপ্তি হয় তবে সে পতি বা উপপতির শহীর ধারণ 
করিয়! এর স্ত্রীর নিকট আসিতে পাবে এবং প্রবল বাদনাব বেগে কামের 
সলক্রিয়দিও করিতে পারে । কিন্তু উন্তপ্রকাব কামুক পুরষের বূপধাঁরণ 
ব্যতীত সে বথেচ্ছভাবে অন্তরূপ ধারণ কবিতে পারে না, কারণ তাহার বাসনার 
নৈসর্গিক বেগ এ প্রকারই আছে, অন্তপ্রকার নাই। এইরপে মৃতমাতা 
জীবিত পুল্রেব নিকট মাতৃমৃস্তি ধারণ কবিয়া আসিতে পারে, মৃতা স্ত্রীও পূর্ব 
পতির নিকট আসিতে পারে । প্রেতের শরীর সকল সময় একবকয় হয় না। 
পঞ্চতকেব উপর অধিকার থাকার পেত আবশ্যকতান্তসাবে কোন না কোন 
ত্বকে আকর্ষণ করিয়া তদনতরূপ শরীর ধারণ করিতে পারে। সে কখনও 
বাযুতত্বরকে আকর্ষণ করতঃ বায়বীয় শরীর ধারণ কবিতে পারে এবং প্রবল 
ঝড়রূপে গ্রাম্জনের জৃদয়ে ভীতি উৎপাদন করিতে পারে । কথন বা অগ্রিতত্বকে 
আকর্ষণ করতঃ অগ্নিময় রূপ ধারণ করিয়া শ্মশান বা! নিভৃত স্থানে ভীতিজনক 
আগ্নেয়রূপ দেখাইতে পারে। কখন কখন ছায়ারূপ ধারণ করিয়! মন্ুষ্যের 
সম্মুখে দেখ! দিতে ও কথা কহিতে পারে । এইরূপ ছাত্নাশরীরের কথা মুখদিয়৷ 
নিঃস্থত ও বাযুকম্পন দ্বারা কর্ণগোচর হয় না। প্রেত যাহাকে নিজের কথ। 
*শুনাইতে বা জানাইর্তে চাহে তাহীর হৃদয়ের মধ্যে এরূপ প্রেরণা উৎপন্ন করে 


জশ্গান্তর-তব | ৫৯ 


এবং শ্রোতা! নিজের ভিতরেই প্রেতের কথা শুনিতে পায় এবং তাহার সহিত 
বাক্যালাপ করিতে পারে। অনেক জীবের এনসপ দৃষ্টিথাকে বে তাহারা প্রেত 
দেখিতে পায়। সাধারণতঃ কুকুর স্বভাবতই প্রেত দেখিতে পায় । রাত্রিতে 
অনেক সময় ছায়ামগ্ বা শরীরযুক্ত প্রেত দেখিয়া কুকুর চীৎকার করিয়া! থাকে 
অনেক সময় এরূপ ঘটন! ঘটিয়াছে যে কোন প্রেতনিবাস গৃহে মন্ষা ও কুকুর 
একই সময়ে গেল, মনুষ্য কিছুই দেঁপিতে পাইল না»'কিস্ত কুকুর গৃহমধ্যে প্রেতের' 
বিকটমৃষ্তি দেখিয়া ভয়ে চীৎকার করতঃ মুচ্ছিত হইয়া পড়িল। এতদতিরিক্ত 
অনেক মন্গুষোরগ প্রেত দেখিবাব দুঠি (7255010১101) আছে । উহারা 
প্রেতের ছায়া, প্রেতের মুন্তি অথবা প্রেত যদি কোন স্ত্রী বা পুরুষকে আক্রমণ 
করে তবে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে প্রেতের শরীর দেখিতে পায়। প্রাক্তন 
কম্দম ও শ্বভাবানুসারে ভালমন্দ নানাপ্রকার £েত হইয়। থাকে । সচ্চরিত্র, 
নিরীহ অথচ মোহাদিবশে প্রেতযোনি প্রাপ্ত পুরুষ বা স্ত্রী প্রেত প্রায়ই 
কাহারও অনিষ্ট করে না। কিন্তু জীবিতীবস্থায় কুকর্্মরত দুষ্ট মনুষ্য মরিয়া 
প্রেত হইলে প্রেতত্বাবস্থাতেও তাহাব দুটা যায় না সে মনুষাকে ভয় দেখায়, 
অত্যাচার করে আক্রমণ কবে এবং নানারূপ উপদ্রব করিয়া থাকে | তবে প্রেত 
এ সকল উপদ্রব দুর্ববলচিন্ত মনুষযের উপরই করিতে পারে। প্রেত আত্মার 
বলে বলীয়ান উন্নতচরিত্র, উন্নতমনা, যুক্ত পুরুষ বাঁ স্ত্রীর কিছুই করিতে পারে 
না। স্ত্রীপ্রকৃতিতে মানসিক বেগের আধিকা এবং জ্ঞানের অল্নতা থাকায় পুরুষ 
অপেক্ষা স্ত্রীর 'প্রতি প্রেতের আক্রমণ অধিক হইয়া থাকে । ডুষ্ট *প্রেতের মধ্যে 
এরূপ একটি বিচিত্র স্বভাব দেখা খায় যে তাহার! প্রীয়ই বিকৃতমনা বা বিরুভ 
মস্তি শ্তরীপুরুষগণকে আত্মহত্যা! করিবার ভ্ঞগ্ঠ প্রেরিত করে এবং নিজের 
যোনিতে আঁনিতে চেষ্টা করে । আত্মহনন দ্বারা প্রেতযোনি প্রাপ্ত জীবেব মধো 
এই অভ্যাসটি বড়ই প্রবল হয় । যদ্দি কেহ উদ্ধন্ধনে প্রীণত্যাগ করিৰার চেষ্টা 
করে তবে ইতিপুর্বে উদছন্ধনে মৃত ও প্রেতযোনিপ্রীপ্ত'জীব তাহাকে তরী পাপকার্যে 
প্রবৃত্ত করিতে চেষ্টা করে৷ সেচারিদিকে এরূপ উদ্বন্ধনপ্রাপ্ত স্ত্রীপুরুষের দৃশ্য 
, দেখায় যাহার দ্বারা উন্নত্তপ্রায় হইয়। সেই ব্যক্তিও আত্মঘাতী হইয়া পড়ে । 
এটরূপে জলমগ্র হইয়”ি আত্মহননের সময়েও জলমগ্ন প্রেত বিভীষিক।ম্ী 
নানামুর্তি দেখাইয়৷ এর আত্মহননেচ্ছু ব্যক্তিকে নিজের পাখকার্যো প্রলোচিত 
কবিয়া থাকে । এইরপে ছুষ্ট প্রেতের অনেক লীলা দেখা গিয়াছে। * 


৬ জীবের গতি! | 


আর্ধ্যশান্ত্রে প্রেত ডাকিবার অনেক প্রকার প্রক্রিয়া বর্ণিত আছে নাঁদনাবদ্ধ 
প্রেতের দৃষ্টি সদা সংসারের দিকে থাকায় একটু চেষ্টা করিলেই প্রেত ডাকা যায় 
কারণ প্রেত সাংগারিক জীবের মহিত সর্বাদাই মিলিত হইতে চে করে। প্রেত 
ডাকিবার সীধারণ প্রক্রিয়াকে পীঠাসন (11516175797 ) বলে। পীঠাসনের 
উৎপত্তি 'নিয়লিখিত ভাবে হইয়া থাকে । একটি ত্রিপাদ টেবিলের উপর দ্র, 
তিন, পাঁচ বা ততোধিক বাক্তি পরস্পর হাত মিলাইয়া বসিয়া মদি নকলে একই 
মৃত ব্যক্তির মুক্তি চিত্তা করে তবে কিছুক্ষণ পবেই উগাদের হস্তনমূহের সম্মিলন 
স্থানে একটি বৈদ্ভাতিক চক্রাবর্ত উৎপন্ন হয় এবং এই চক্রাবর্তে মৃতবাক্তির 
হুগ্শরীর সমাবি্ হইয়। থাকে । তখন এ কুক্মশরীরের বেগে টেবিল নড়িতে 
থাকে এবং জিজ্ঞাসা করিলে ইক্ষিতে টেবিল নড়িয়া প্রশ্নের হষ্য়া থাকে 1 
তবে প্রেতের বুদ্ধি বিকূত থাকে বলিয়া ঠিক ঠিক উত্তব পাঁওয়া যায় না এনং 
পীঠাসন ক্রিয়ায়ও সফলতা লাভ হইতে পাবে না। যদি প্রেত নাডাকিয়! 
দিগ্বন্ধবিধি অনুসারে উন্ত পীগীমনে ভাল মাস্স/কে আহ্বান কর! বায় হবে ভাল 
উত্তর ও অনেক গুঢ় তন্বের সন্ধান লাভ তষ্টয়া খাকে। প্রেত ডাকিনার দ্বিতীয় 
বিধিকে প্রীণবিনিময়বিধি (75650807517) বলে । উহার দ্বাৰা প্রথমতঃ নিজ 
গ্রাণশক্তির বলে কোন স্ত্রী বা প্রর্লধকে অভিভূত কবিতে হয়। (স এইবূপে 
অভিভূত হইয়া মুচ্ছিত বা নিদ্রিতের নত হইলে. কেন প্রেতকে চিন্তা করিয়া 
তাহার শরীরের নধ্যে ডাকিতে হয়। দনন্তর ্র শরীপে ঘথন প্রেতাবেশ হয় 
তখন 'আবিষ্ট ব্যক্তি কথা কভিতে থাকে এবং অনেক প্রশ্নের টন্তর দেয়। নকল 
কথা প্রেতেবই কথা হইয়া থাকে | প্রেত এ শরীরকে বন্ত্রপে পরিণত করিয়া 
কথ! কহিয়া থাকে । এইরূপ প্রক্রিয়া দ্বারা 'অগ্ঠের মধ্য প্রেত ডাকার মত 
নিজের মধ্যেও ডাকা বায় । উহাকে স্বতঃপ্রাণবিনি্য় অর্থাৎ ৭616 [70517011517 
বলে। তান্ত্রিক ভৈরবীচক্র আদি সাধনাতেও এইরূপ চক্রমধ্যবন্তী কোন স্ত্রী 
বা পুরুষকে পার্রন্ূপে পরিণত করিরা উষ্ার মধ্যে প্রেতের আবেশ করা 
যাইতে পারে । ইহা ব্যহীত তান্ত্রিক শব সাধনার মধ্যেও প্রেত ডাকিবার 
বিধি 'আছে। 

যথ| ভাবঢু়ামণিতে_ টি 
শন্যাগারে নদাতারে পর্বতে নিজ্জঞনেহপি বা। 
বিছুঘুলে শ্বশ।নে বা ভতসমীপে বনস্তলে ॥ 


জন্মান্থর-তক । ৬১ 


অষ্টমাঞ্ চতুর্দগ্াাং পক্ষয়েরুভয়োবপি | 
ভৌমবাবে তমিশ্রার।ং সাধরেৎ সিদ্ধিদুন্তম।ম্‌ ॥ 
মাবভত্তঞ্চ বলার্ঘং ধুপদীপাদিকং তথা । 
তিলাঃ কুশাঃ সর্ষপাশ্চ স্থাপনারাঃ প্রধজত£ ॥ 
যষ্টিবিদ্ধং শুলবিদ্ধং খড়গাবিদ্ধং জলে মৃতম্‌। 
বন্তরবিদ্ধং সপ্দষ্টং চ| গু।লগ্চভিভূতিকম্‌ ॥ 
তরূণং স্ুন্দরং শুরং রণে নষ্টং সম্মজ্জলম্‌ | 
পলার়নবিশৃন্তন্ত নন্দুখে রণবর্ভিনাম্‌ ॥ 

ধুপেণ ধুপিতং কত্বা গন্ধ দিনা বিলিপ্য চ। 
কুশশব্যাং পরিদ্কতা"ভত্র সংস্ক[পয়েচ্ছবম্‌ ॥ 
টলচ্ছবাদভয়ং নাস্তি ভয়ে জাতে বদেনম্তত2 | 





' যত প্রার্থর বলিতেন দাতন্যং কুগ্জরা দিকম্‌ ॥ 
ধিনান্তরে চ দাস্যামি স্বন(ম কথয়স্থ মে। 
ইতরান্ত। সংস্কৃতেনৈব নিরভরশচ পুনর্জপেত ॥ 

শৃন্তগৃহ। নদীতীর, পর্বত, নিজ্জনস্কান, বিন্বমূল, শ্মশীন অথবা! তৎসমীপস্থ 
বনগ্রদেশে শবসাঁধন করা উচিত । কৃষ্ণ অথবা শুর্রুপন্দীয় অষ্টমী ও চতুদ্দিণী 
তিথিতে মঙ্গলবার রাত্রকালে শবদীধন করিলে উত্তম সিদ্ধিলাভ হইয়া! থাকে । 
বলির নিমিত্ত মীষভক্ত এবং পূজার জন্য ধুপ, দীপ, তিল, কুশ এবং সর্ষপ রাখা 
উচিত। যষ্টি, ত্রিশুল বা খঙ্গাঘাতে যাহার প্রাণ গিয়াছে, জলমগ্ন হইয়া, 
বন্জরাঘ(তে অথবা সপদংশনে যাহার মৃত্যু হইয়াছে এরূপ চ'গালের শব সাধনকাধ্যে 
বিশেষ প্রশস্ত । শব তরুণ বয়স্ক এবং সুন্দরাঙ্গ হওয়া উচিত। সম্মুখনংগ্রামে 
পলায়ন ন। করিয়! যে প্রাণ দিয়/ছে এদ্ধপ ব্যক্তির শব সাধনায় বিশেষ উপযুক্ত-। 
শবকে ধুপ ও গন্ধের দ্বারা স্ুুগন্ধিত করতঃ কুশীসনের উপর পূর্বমুখে স্থাপন 
করিতে হয়। শব নড়িলে ভয় পাঁওয়৷ উচিত নহে । যদি ভয় হয় তবলা উচিত. 
যে প্দিনাস্তরে বলি প্রদান করিব, এখন নিজের নাম বল।” এইরাপ বলিয়া: 
নির্ভয় জদয়ে আবার জপ করা উচিত । এই প্রকারে শবমাধনা ছ।র| প্রেতেব 
উপাসনা হুইয়া থাকে। তাহাতে প্রেত উক্ত শবকে আশ্রয় করিয়া! কথা কহিয়া 
থাকে এবং শবসাধকের অনেক সিদ্ধিলাভও হয়। মন্ত্রের * শক্তিদ্বারঁ এইরূপে' 
প্রেতকে বণাভৃত করতঃ ধনাদির প্রাপ্তিও অনেকে করিয়া খাকে। তবে এ সকজ্গ 


৬২ জীবের গতি। 


নিক সাধনা সদাই বিপজ্জনক। প্রেতের সাধক প্রায় প্রেতের দ্বারাই নিহত 
হইয়া থাকে। অনিচ্ছাসতে কেবল মন্ত্রের বলে বশীভূত প্রেত সর্বদাই সুযোগ 
অনুসন্ধান করিয়া বেড়ায় এবং একটু সুবিধা পালেই উপাসকের প্রণণবিনাশ 
করিয়৷ থাকে। প্রেত ডাকিবার যাহ। কিছু উপায় উপরে বল! হইল এ সকলের 
দ্বারাই উচ্চশ্রেণীর আত্মা এবং দেবত! পর্য্স্তকে আকর্ষণ করা যায় এবং তাহাদের 
সহিত এইভাবে সম্বন্বস্থাপিত হইলে সাধক বিবিধ কল্যাণ লাভ কবিয়া থাকে । 
প্রেতের জীবন বড়ই ভ্ুঃখময়। কারণ যে বাসনার বশে মন্নুষোর প্রেতত্ব 
প্রীপ্তি হয় প্রেত যোনিতে সে বাসন! নিবৃত্ত হয় না। এজন্য প্রেত পুর্ববাঁসনার 
আধার বস্তসমূহকে সদা গ্রহণ করিবাব জন্য লালায়িত থাকে | কিন্তু তাহার থে 
যোনি তাহাতে প্র সকল বস্তব সে যথেচ্ছ প্রাপ্ত হইতে পারে না। এজন 
নৈরাহ্ের তুষানল প্রেতের হৃদয়ে দিবানিশি জলিতে থাকে । স্ত্রীপৃত্রাদির মোহে : 
মুগ্ধচিত্ত প্রেত সর্বদাই হ্রীপুল্রার্দির সঙ্গে মিলিত হয়া জীবিতাবস্কার মত 
ভোগবিলাস করিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সে গ্ুবিধা শ্লুদুর-পবাহত হওয়ায় 
প্রেত বড়ই কষ্ট পায়। অনেক সময সে তাহাব ভীলবাসার পাত্র 
স্্রীপুঞ্রাদিকে নিহত করিয়া নিজের যোনিতে আনিতে চেষ্টা করে এবং তাহাতেও 
নানাকারণে অক্কৃতকার্ধ্য হষ্টলে প্রেত বড়ই তথ পায় । হয়ত কোন পুরুষ পূর্ব 
স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার দারপবিগ্রহ করিল। যদি তাহার পূর্ব স্ত্রী প্রেতযোনি 
প্রাপ্ত হইয়া থাকে এবং তাহার আসক্তি জীবিত পতির প্রতি থাকে তবে সপতধী 
বিগ্বেষের ভীষণ অগ্নি প্রেতযোনিপ্রাপ্ত উক্ত স্ত্রীকে দিবানিশি দারুণ ঢঃখপ্রদান 
করিবে । সে পতির নিকট আসিতে এবং সপতীর সহিত জীবিত পতির বিচ্ছেদ 
ঘটইতে অনেক চেষ্টা করিবে । যে ঘরে দম্পতি থাকে বা শয়ন করে তাহার 
নিকটে বা! ভিতরে সে থাকিতে চেষ্টা করিবে? এইরূপে আজন্ম ধনসঞ্চয় করত: 
যে সকল কৃপণ ধনের মোহে প্রেত হয় তাহারাও ঘরের মধ্যে যেখানে তাহার 
নিজসঞ্চিত ধন আছে সেই স্থানে থাকিতে সর্বদা চেষ্টা করে। সেই ধন 
অপসারিত করিতেও চেষ্টা পায় এবং কৃতকার্য না হইয়া ভীষণ শৌকাগ্রিতে দর্থ 
হয়। ব্যভিচারী কামুক পুরুষ প্রেতযোনি প্রাপ্ত হইয়াও ব্যভিচার-বাসনা 
পরিত্যাগ করিতে পারে না, একস্ত এরূপ প্রেত পরক্ত্রীতে বা এরূপ প্রেতিনী 
পরপুরুষে কামক্রিয়া করিবার চেষ্টা করে। প্রেতের এরূপ কামাসক্তির অনেক 
গ্রতাক্ষ প্রমাণ দেখির্ভে পাওয়া যায়। অনেক স্থলে প্রেত যে পুরুষ বা স্ত্রীতে 


জনাাস্তর-তথ | ৬৩ 


কামাসক্ত হয় তাহাকে মারিয়া ফেলে, অনেক স্থলে প্রেতনিবারক মস্ত্রোষধি গ্রভৃতি 
দ্বার! পরান্ত-শক্তি হইয়া বড়ই দুঃখভোগ করে। প্রেতযোনি অজ্ঞানময় হওরায় 
অনেক সময় প্রেত বুবিতে পারে না যে কেন তাহার অন্তঃকরখে তুষানলের মত 
ছঃখাগ্নি প্রজ্লিত রহিম্নাছে, কেন তাহ'র হৃদয়ের দুঃখ নিবারিত হইতেছে ন1। 
অজ্ঞ।নমুগ্ধচিত্ত প্রেত এইরূপে পাগলের ন্যায় ইতস্তত; দুঃখে ব্যাকুল হইয়৷ ছুটিয়া 
বেড়ায়। প্রাণ কি যে চায় তাহ! সে বুঝিতে পারে ন৷, হৃদয়ে অশান্তির কারণ 
কি তাহাও নির্ণর করিতে পারে না, অথচ দিবানিশি তাহার অস্তঃকরণে ছুঃখাঝসি 
প্রজলিত থাকে। এরূপ অবস্থা প্রেতের পক্ষে বড়ই ক্টদায়ক | সে ছঃখে রোদন 
করে, হৃদয় বিদীর্ণ করে, অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে, শ্শানে উন্মত্তের মত উচ্চৈঃস্বরে 
কাদিয়া কাদিয়া দৌড়িয়া বেড়াম্ ইত্যাদি ইত্যাদি কতই ন! হুঃখ প্রেত যোনিতে 
জীব প্রাপ্ত হইয়া থাকে। হয়ত সে মরিবার সময় জল পায় নাই, পিপাসার 
শুক্ককঠ হইয়া মরিয়া প্রেত হইয়াছে। তাহার সেই পিপাসায় শুফকঠ্ত] প্রেত 
যোনিতেও নিবৃত্ত হইবে না, সে জল জল কথিযা দারুণ দুঃখে কাতরকে রোদন 
করিবে এবং যদ কেহ তাহার নামে কাহাকেও জলদান করে অথবা তাহাকেই 
জলদান করে তবেই তাহার পিপাসা নিবারিত হইবে । এরূপ হুর্ভিক্ষপীড়নে 
পরিতাক্ত-প্র;ণ প্রেতযেনিপ্রাপ্ত নরনারা বুভূক্ষার ভীষণ তাঁড়নে ছটফট করিয়া 
বেড়ায়। কোথায় যাইব, কি খাইব এই চেষ্টা তাহার সর্বদাই থাকে । আথচ 
স্থলসংসারের সহিত এরূপ আহার্ধ্য সম্বন্ধ স্থাপন করিবাব সামর্থ না থাকায় হা অন্ন 
হা অন্ন করিয়়াই তাহার সমস্ত দিবানিশি কাটিয়া যায়। যতদিন না তাহার 
উদ্দেশে তাহাকে বা অন্ত কৌন যোগ্যপাত্রকে অন্ন দান করা হয় ততদিন 
তাহার ক্ষুন্নিবৃত্তি হয় না। মুঙ্ছাভঙ্গের দ্বারা প্রেতত্ব নাশ না হওয়।! অবধি 
প্রেতকে এইরূপে নানাপ্রকার দুর্দশা! ভোগ করতে হয়। আর্ধযশাস্ত্রে প্রেতের 
এই মুহ্ছাভঙ্গের জন্ত যে সকল উপায় বণিত আছে তাহাকেই শ্রাদ্ধ বল! হয়। 
শ্রান্ধের বিস্তৃত বিজ্ঞান গ্রন্থান্তরে বণিত হইবে। প্রকৃত প্রবন্ধে এতটুকু বুবিলেই 
যথেষ্ট হইবে যে যেমন কোন ব্যক্তি মুচ্ছিত হইলে ওষধির শক্তির প্রয়োগ করতঃ 
তাহার মূচ্ছাভঙ্গ করা হয়, সেই প্রকার শ্রান্ধে মহধিগণ যে সকল ক্রিযানুষ্টান 
করিবার আজ্ঞ৷ দিয়াছেন উহার দ্বারা মনঃশক্তি, মন্ত্রশক্তি এবং ভ্রব্যশক্তি নামক 
শক্তিত্রয়ের সাহায্যে প্রেতের মুচ্ছাভঙ্ন হইয়া থাকে। ষনের শক্তি যে অপার 
তাহাতে আর সন্দেহ কি আছে? যেমন নিজ শক্তিবলে ইক্জিয়াতীত ভগবানকেও 


৩৫ শীবের গতি । 


বণাহৃত করিতে পারে সে মনের মধ্যে অসীম শক্তি আছে, ইহাতে অণুমাত সম্পয 
নাই। সংযনের দ্বার! সেই শক্তি বৃদ্ধিপ্রাপ্ু হয় এজন্য অশোৌচকালে নানাপ্রকার 
মের বিধি আর্ধাশান্ত্রে বণিত হইয়াছে । এইরূপে সংঘত মনকে লট্কা 
যৃতন্যক্তির পুল।দি নিকট আস্মীয় ষদি শ্রাদ্ধ করে এবং পরলোকগত আস্তমার সহি 
নিজ আত্মার সন্ব্ধ স্তাপন কবে তবে এ মর্ছিত আত্মা শ্রাদ্ধকর্ভীর মানসিক শক্তি 
ও আত্ম।র শক্তির সাহাষ। পাইয়া অবশ্যই মর্ছাতাগ করিতে সমর্থ হইবে ইহাতে 
সন্দেহ নাই। শ্রাদ্ধে এইরূপেই মনঃশন্তিব প্রয়োগ হইয়। থাকে । এবং 
এইজন্যই জোষ্ঠ পুলের শ্রাদ্ধে প্রথম অধিকার বর্ণিত হইয়াছে । একটি দৃষ্টান্তের 
দ্বারা এই তথ্যটি প্রকাশিত কবা হইতেছে । যদি কোন গ্রহেব মধো পাচটি সেতার 
বা বেগালাকে একম্সুরে বীধিয়া দেওয়া হয় এবং ভদনন্তর একটিকে বাজান 
হয় তবে অন্ত ৪টিও আপনা আপনি ঘাত-প্রতিঘাতের সাভাব্যে বাজিয়। উঠিবে | 
কারণ একস্বুবে মিলিত থাকায় একটি বান্থর আঘাত বাযুকম্পিত করিয়া অন্ত 
যন্থ্ে প্রতিঘাত উৎপন্ন করিব এবং এইরূপে সব ক্রটিউ বাছিতে থাকিবে। 

শাস্ত্রে লেখা আছে--“আত্মা বৈ জীয়তে পুজ্র2 1৮ বেদ বলেন-- 

অঙ্গাদঙ্গাৎ সম্ভবসি জদয়াদধিজায়ুসে | 
আসম্মাসি পুল্রনামাদি সজীব শরদঃ শহম্‌ ॥ 

পুপ্প পিতীর ভঙ্গ হইতে অঙ্গ লইরা, হৃদয় হইন্ডে হাদয় লইয়া এবং আত্মা হইতে 
আল্ম। লইয়া! উৎপন্ন হয়। এক্ন্য পিতামাতার আক্ম(র সহিত ধন্মসস্তান জোন্ঠ 
পু্রের আত্মার সুর স্বভাবতই একতানে সন্মিলিত থাকায় পুত্রের শ্রাদ্ধকালীন 
প্রদন্ত মনঃশকস্ত মোহমু্ধ প্রেতযোনি-প্রাপ্ধ পিতার প্রেতত্ব নাশ অবশ্যই করিবে 
ইহাতে অণুমাজ্র সংশয় নাই । ইচ্ছাই শ্রাদ্ধে সমস্্ক মনঃশক্তির সন্বন্ধ । মন্ত্রের 
বিজ্ঞান এবং মন্ত্রে কত শক্তি নিহিত থাকে তৎসম্বন্ধে “সাধনতত্ব নামক পুস্তকে 
বিশেষভাবে বিবৃনত হইয়াছে। শ্রাদ্ধকালে যে সকল মন্ত্র উচ্চারিত হয় উহাদের 
সহিত পরলোকগত আন্মীর আহ্বান, তাহার মুচ্ছাভঙ্গ, প্রেতত্ব নাশ আদি ক্রিয়ার 
বিশেষ সম্বন্ধ থাকে । এজন্ঠ শ্রাদ্ধ-কর্তা যদি সংযত মনের সহিত & সকল মন্ত্র 
উচ্চারণ পূর্ববক শ্রাদ্ধকার্ষের অনুষ্ঠান করেন তবে মন্ত্রশক্তির দ্বারা প্রেতত্বনাশ 
অবশ্যই হূইয়৷ থাকে৷ তৃতীয়তঃ যে সকল শান্্বিহিত দধি, মধু$ তিল, তওুল আদি 
প্রবৌর খারা শ্রাদ্ধ করা হয় পল সকল দ্রবোর মধ্যে এরূপ শক্তি নিহিত আছে যে সেই 
পির বলে গ্রেতাস্মা 'াককষ্ট, সম্যক পরিতৃপ্ত এবং প্রেতযোনি-মুক্ত হইয়া! থাকে 


্ উগাধর-তত। ৬৫ 


ই ,কাঁবণেই অনেক সময় প্রেতাত্মাকে আকর্ষণ করিবার জন্য তাহার 
জীবিতাবস্থার প্রি খাগ্চত্রব্য শ্রাদ্ধকালে তাহার উদ্দেশে সমর্পণ করা! হয়। 
এরূপ করিলে প্রেতের আত্মা শ্রাদ্ধক্ষেত্রে শীপ্ই আকষ্ট হইক্জা থাকে এবং তদনস্তর 
মন ও মন্ত্রের শক্তির প্রভাবে তাহার প্রেতষোনি হইতে মুক্তিলাভ হয়। শ্রান্ধে 
ব্রাহ্ণভোজন করাইবার যে বিধি পরিদৃষ্ট হয় তাহারও মূলে এইরূপ বৈজ্ঞানিক 
শক্তি-প্রয়োগ-তথ্য নিহিভ আছে। মনুস্ংহিতায় লেখ। আছে যে শ্রাদ্ধ বিচার 
কুরিয়া ল্রাঙ্ণভোজন করাইতে হত্ব। এক সহজ নিক্কষ্ট ব্রাহ্মণভোজন করান 
অপেক্ষা একজন তপন্বী ও শক্তিশালী ব্রাহ্গণভোজন করাইলে বেশি ফল 
হয়। তাহার কারণ এই ষে তপব্বী ব্রাহ্মণ ভোজনানস্তর নিজের তপঃ-শক্তির 
দ্বাবা প্রেতাত্মাকে সহ্থায়তা প্রদান করিয়া থাকেন এবং এই শক্তির প্রভাবে 
শীঘ্ই তাহার আত্মা প্রেতত্বমুত্ত হইয়া থাকে। নিক্কষ্ট ব্রাহ্মণের মধ্যে সে 
শক্তির অভাব থাকায় তাহাকে ভোজন করাইলে তাদৃশ ফল হয় না এবং 
এইরূপ শ্রা্ব-ভোজনের দ্বার! ব্রাক্দণের আরও অধোগতি হইয়া থাকে) কারণ 
্াহ্মণ-ভোজনের সময় পরলোকগত আখয্মা ভোদ্য অন্নের প্রতি দৃষ্টিপাত ও 
মন:-সংযোগ করিয়া থাকে এবং ভোক্গণের মধ্যেও তাহার আত্মার 
অজিনিবেশ উৎপর হয়। একারণ শক্িমান্‌ ব্রাহ্মণই এন্প অন্নগ্রহণ করিয়া 
নিজেকে স্থির রাখিতে পারেন। সাধারণ ব্রাহ্মণের শ্রাদ্ধান্ন ভোজনের দ্বার! 
পতন হয়। 

এইরূপে শ্রাদ্ধক্রিয়ার যথাবিধি অনুষ্ঠান স্বারা পরলোকগত আত্মা প্রেতত্বমুক্ত 
হুইয়। নিজ প্রাক্তনানুসারে ব্বর্গ নরক অথব! নবীন জন্ম লাভ করিয়া থাকে । যদি 
কেহ শ্রাঙ্ধ ন করে অথবা অবিধিপূর্ববক শ্রাদ্ধ করে তবে প্রেতত্ব মুক্তি হইতে বিলম্ব 
হয়। তবে যেরূপ ওধধিপ্রয়োগে মুচ্ছিত ব্যক্তির শীত্্রই মূচ্ছা ভঙ্গ হয়, কিন্ত 
ওধধিপ্রয়োগ না করিলেও প্ররুতি কিছুকাল পরে নিজেই মুর্ছাভঙ্গ করিয়! দেন, 
সেই প্রকার যদি প্রেত শ্রাদ্ধ ক্রিস্সার সহায়ত। পায় তবে শীত্ই উল্লিখিত হঃখসমূহ 
হইতে 1নস্তার লাভ করিয়। নবীন শরীর ধারণ করিতে পারে নতুবা কিছু বিলম্বে 
আপনা আপনিই মহাপ্রক্কৃতির সাহায্যে প্রেতত্ব মুক্ত হইয়া তাহার প্রাক্তনানুসারে 
উর্ধালোকপ্রান্তি হয় অথবা মৃত্যুলোকে জন্মলাভ হয়। ইহাই মৃত্যুকালীন বিশেষ 
কারণবশতঃ প্রেতযোনিপ্রাপ্তি এবং তাহা হইতে মোক্ষলাভের উপায়। অতঃপর 
নরকাদি গতির বর্ণন করা হইতেছে। ঃ ্‌ 


€ 


৬ জীবের গডি। 


মৃত্যুর পরে এবং পুনর্জন্মলাভের পুর্বে বাসন! দ্বারা পরলোঁকে কর্মফল ভোগ 
করিবার জন্য জীবের যে দেহ প্রাপ্তি হয় তাহাকে আর্ধ্শান্ত্রে 
যাতনাদেহ বলে। যথ! মন্ুসংহিতার দ্বাদশাধ্যায়ে-_ 
পঞ্চভ্য এব মাত্রাভ্যঃ প্রেত্য ছুষ্কতিনাং নৃণাষ্‌। 
শরীরং যাতনাধীয়মন্যদৃৎপগ্যতে ফ্রবম্‌॥ 
পাপের ফলভোগের জন্ত পঞ্চভৃতের হুঙ্াংশ হইতে পরলোকে একটি যাতনা 
দেহ উৎপন্ন হইয়া থাকে। আর্ধ্শান্ত্রে যেমন স্বর্গীয় স্থখহূঃখের কথা, বণিত 
আছে, তেমনই নরকে অবশ্ঠ-ভোগ্য ছুঃখের বিষয়েরও ভূরিভূরি বর্ণন আছে। 
বর্গের বিষয়ে ধূমযানগতি বর্ণন প্রসঙ্গে ইতিপুর্বেই অনেক কথা বলা হইয়াছে। 
এক্ষণে নরকে জীবের কিরূপ কষ্ট হয় তাহাই সংক্ষেপে বর্ণন কর! হইতেছে। 
বেদ বলেন--» 
অস্থর্ধ্যা নাম তে লোকা অন্ধেন তমসাবৃতাঃ | 
| ংন্ডে প্রেত্যভিগচ্ছন্তি যে কে চাত্সহনো জনাঃ ॥ 
আত্মঘাতী স্ত্রীপুরুষ ঘোঁব অন্ধকারময় অস্ুরসেব্য নরকে মৃত্যুব পর গমন 
করিয়া! থাকে । মন্গসংহিতার দ্বাদশীধায়ে নরকের বিষয়ে অনেক কথা লেখ 
আছে যথা -- 
যথা যথা নিষেবন্তে বিষয়ান্‌ বিষয়াত্মকাঃ | 
তথা তথা কুশলতা তেধাং তেযুপজায়তে ॥ 
“ তেহভ্যাসাৎ কর্মণাং তেষাং পাপান [মলবুদ্ধয়ত | 
সম্পরাপ্ন বস্তি হুঃখানি তাসু তাস্িহ যোনিযু 
তামিত্রাদিযু চোগ্রেযু নরকেষু বিবর্তনম্। 
অসিপত্রবনাদীনি বন্ধনচ্ছেদনানি চ ॥ 
বিবিধাশ্চৈব সম্পীড়াঃ কাকোলুকৈশ্চ তক্ষণম্‌। 
করস্তবালুকাতাপান্‌ কুস্তীপাকাংস্চ দারুণান্‌। 
বহ্‌ন্‌ বর্ষগণান্‌ ঘোরান্‌ নরকান্‌ প্রাপ্য তৎক্ষয়াৎ। 
সংসারান্‌ প্রতিপপ্তন্তে মহাপাতকিনব্তিমান্‌॥ 
বিষয়মুখ্ধ জীব একাদশেক্জিয় দ্বারা! যতই বিষয় ভোগ করে ততই ভোগকুশলতা 
উৎপন্ন হইয়া পরলোকে জীবের নান! দুঃখের কারণ উপস্থিত হয়। পাপকর্মের 
* ফলে ভামিত্র, অপিপত্রবন, বন্ধনচ্ছেদন আদি নরকে জীবকে ভীষণ যন্ত্রণীভোগ 


নয়কাি গতি । 


জন্মান্তর-তত্ব। ঙখ' 


করিতে হয়'। নাব্যপ্রকার পীড়ন, কাক উলুক' আদি দ্বারা তক্ষণ, সন্তপ্ত 
বাপুকার উপর গমন, কুস্তীপাকে রোমহর্ষণ যন্ত্রণা আদি নরকের ভীষণ ছে পাপী 
অবন্তই ভোগ করিয়া থাকে। এইরূপে বন্ুবর্ধ পর্যযস্ত অশেষবিধ কষ্ট ভোগের 
পর পাঁপক্ষয়াস্তে জীক আবার সংসারে জন্মগ্রহণ করিয়া থাকে । 
মৃত্যুর অনন্তর যমলোৌকে যাইবার সময় পাপী জীবকে কিরূপ ব্লেশভোগ! 

করিতে হয় শ্রীমদভাগবতে তাহার বর্ণন আছে যথা-_- 

ফাতনাদেহমাবৃত্য পাঁশৈর্বদ্ধা গলে বলাৎ।' 

নয়তে। দীর্ঘমধবানাং দণ্ডাং রাজভটা! যথা ॥' 

তয়োমিভিনজদয়ন্তর্জনৈর্জাতবেপথুঃ | 

পথি শ্বভির্ক্ষ্যমাণ আর্ভোহধঃ স্বমনুদ্মরন্‌ ॥ 

ক্লুংতৃটপরীতভোহকদবানলানিলৈঃ, 
সম্তপামানঃ পথি তপ্তবালুকে ।' 
কচ্ছেণ পৃষ্ঠে কয়! চ তাঁড়িত- 
শ্চলত্যশক্তোহপি নিরাঅক্বোদকে ॥ 

তত্র তত্র পতন্‌ শ্রান্তো মুচ্ছিতঃ পুনরুখিতঃ। 

পথ! পাপীয়স! নীতন্তমস! যমসাদনম্‌ ॥ 

যৌজনানাং সহআণি নবতিং নব চাধবনঃ | 

ত্িভিমুহুর্তৈদ্বভ্যাং বা নীতঃ প্রাপ্রোতি যাতনাঃ॥ 

যেরূপ রাজকর্মচারিগণ অপবাধী ব্যক্তিকে পীড়ন করতঃ টানিয়া লইয়! যারা 

সেইপ্রকার যমদূতগণ পাপীর গলায় ফাসি দিয়া তাহাকে অত্যন্ত কষ্ট দিতে দিতে 
সথদূরবর্তী যমলোক পর্যন্ত টানিয়া! লইয়া যায়। ছুঃখে ভগ্রহাদয়, যমদূতের তর্ঞনে' 
কম্পিতশরীর পাপী নিজ পাপরাশি শ্রবণ করিতে করিতে ঘমলোকের দিকে চলিয়া 
থাকে। ক্ষুধাতৃষ্ায় গীড়িত, প্রচণ্ড সুরয্যতাপ, অনল ও অনিল দ্বারা বাথিত, তপ্ত 
বালুকার উপর গমনের ঘারা সন্তপ্ত, পৃষ্ঠে কষাঘাত দ্বীর! ব্যথিত এবং সুদূর পথ 
গমনে অশক্ত হওয়া সত্বেও পাপীকে বলপূর্বক আকুষ্ট হইয়া যাইতে হয়। অতি 
শ্রম ও ক্রেশহেতু তাঁহার মূচ্ছ! হইতে থাকে, তথাপি মূঙ্ছাভঙ্গ হওয়া মাত্র আবার 
ধমদূতগণ তাহাকে টানিয়৷ লইয়। যাঁয়। এইরূপে সহশ্র সইঅ্র যোজন পথ ছই 
তিন মুহূর্তের মধ্যে অতিক্রম করিতে হয় বলি পাঁপীর বড়ই কষ্ট হইয়া থাকে । 
যমতোকে যাইবার সময় এই সকল ছূঃখ পাপীকে ভোগ ঝাঁরতে হয় তদমস্তর 


৬৮ জীবের গতি । 


যদলোকে পৌঁছিয়া নিজ প্রাক্তনান্থসারে পাপীকে যাতনাদেহে যে সফল নরক 
ঘাতন! ভোগ করিতে হয় তাহা শ্রমদভাঁগবতে বর্ণিত হইয়াছে ষখ1-- 


'আদীপনং স্থগাত্রাণাং ঝেষ্টয়িত্বোল্মুকাদিভিঃ। 
আত্মমাংসোদনং কাপি শ্বকৃতৃং পরতোইপি বা ॥ 
জীবতশ্চান্ত্রাভাদ্ধারং শ্বগৃরৈর্ধমসাদনে | 
সর্পবৃশ্চিকদংশাইৈদ্শত্তিশ্চাত্মবৈশসম্‌ ॥ 
কৃত্তন্বয়বশো গজাদিত্যো ভিদাপনম্। 

পাঁতনং গিরিশৃঙ্গেভো রোধনধান্থগর্ভয়ো; ॥ 
যাস্তামিআ্ান্ধতা মিশ্বরৌরবাগ্ঠাশ্চ যাতনা: 1 

ভুঙক্তে নরো বা নারী ব! মিথ: সঙ্গেন নির্শিতীঃ ॥ 
অধস্তান্নরলোকন্ত যাঁবতীর্াতনাস্ত তাঃ। 

ক্রমশঃ সমচুক্রম্য পুনরত্রারজেচ্ছুচিঃ ॥ 


পাপীর সমস্ত শরীর অগ্িশিখার দ্বারা বেষ্টিত করিয়া দগ্ধ কর! হইয়। থাকে । 
সে কখন নিজের মাংসই নিজে কাটিয়া! খায় আবার কখন অন্ত কেহ তাহার, 
মাংস কাটিয়া তাহাকে খাইতে দেয় । শ্বান ও শকুনি দ্বারা উ্তার দেহের অন্ত্রসমূহ 
টানিয়া বাহির করান হয়, সর্প, বৃশ্চিক ও অন্ঠান্ত বিষাক্ত কীটেব দ্বাবা উহাকে 
দংশন করান হয়। শরীর কাটিয়া খণ্ডবিখণ্ড করা, হস্তীপদে মদ্দিত করা, পর্বত 
শৃঙ্গ হইতে অধোনিক্ষেপ করা, জলপুর্ণ গর্তে ভুবাইয়া দেওয়া ইত্যাদি নানাবিধ 
যন্ত্রণা তামিন্্র, অন্ধতামিত্র, রৌরব আদি নরকে স্ত্রীপুরুষ উভয়কেই ভোগ করিতে 
হয়। এইক্সপে মনুষ্যলোকের অধঃস্থিত লৌকসমূহে যতপ্রকার যাতনা আছে সব 
ভুগিয়া পরিশেষে জীব আবার সংসারে আসিয্প। মনুষ্য দেহ লাভ করে। গরুড 
পুরাণেও নরকযাতনার এইরূপ অনেক বর্ণন পাওয়া যায় যথা. | 


তত্রাগ্রিন৷ স্থৃতীরেণ তাপিতাঙ্গারভূমিনা । 
তন্মধ্যে পাপকর্াণং বিমুঞ্চস্তি যমানুগাঃ ॥ এ 
স দহমানভ্তীব্রেণ বন্ধিনা পরিধাবতি। 
“পদে পদে 5 পাদোহন্ত জায়তে শীধ্যতে পুনঃ ॥ 
ঘুটিষস্ত্েণ বন্ধ! যে বদ্ধান্তোয়ঘটা যথ। | 
আম্যস্তে মানব! রক্তমুদ্গিরস্তঃ পুনঃ পুনঃ ॥ 


, জগ্াসতর-তত্ব। ' কউ 


হা মাতভ্রতগ্তাতেতি ক্রন্দমানাঃ সুছঃখিতাঃ। 
দহমানাড.ব্রিযুগলা ধরণিস্থেন বন্ধিনা ॥ 
নরকের কোন কোন স্থানে তীব্র অনল জবলিতেছে, উহার মধ্যে যদৃতগণ 
পাপীকে ফেলিয়া দের । সে অগ্নিতে দ্ঞ্ধকলেবর হইয়! ইতস্ততঃ ধাবমান ছয় এবং 
পদে পদে তাহার পাদঘ্য় বিদগ্ধ হইতে থাকে ॥ কোথাও ঘটিযস স্থিত জলঘটির 
মত পাপীগণকে একসঙ্গে বীধিয়া ঘুর্ণিত করা হয়, ইহাতে তাহাদের রুধির বন 
হইতে থাকে । পাীগণ, হা মাতঃ, হা ভ্রীতঃ1 হা পিতঃ1 ইত্যাদি করুণ 
স্বরে হাহাকার করিতে থাকে, ধরণিস্থিত অগ্নির সংযোগে তাহাদের চরণযুগল *স্ধ 
হইয়! যায়। এইরূপে কোথাও দহামান, কোথাও ভি্তমান, কোথাও ক্রিগ্মান, 
কোথাও মুহামান এবং কোথাও বিদীর্কলেবর হইয়া রৌরব, কুস্তীপাকাদি 
নরকে পাপীগণকে বর্ণনাতীত দারুণ দুঃখ পাইতে হয়। যমলোকস্থিত বৈতরণী 
নদী পার হইবার সময় পাপীগণ যেরূপভাবে বিলাপ করে তাহ! জানিয়৷ কাহার না 
হৃংকম্প হইবে? গরুড়পুরাণে এই বিলাপের বিষম লেখ আছে যথা-- 
ময়! ন দত্তং ন হুতং হুতাশনে 
তপো! ন তণ্তং ত্রিদসা ন পুর্িতাঃ। 
ন তীর্থসেব! বিহিতা বিধানতো 
দেহিন্‌! কচিন্নিস্তর যৎ তবয়া কৃতম্‌ ॥ 
ন পুজিতা বিপ্রগণাঃ সুরাপগা 
ন চাশ্রিতাঃ সৃৎপুরুষা ন সেবিতা:। 
পরোপকারা ন ক্তাঃ ক্দাচন 
দেহিন্! কচিনরিত্তর হং য়া ক্কতম্‌॥ 
জলাশয়ো নৈব কৃতো হি নির্জলে 
| মনুষ্যহেতোঃ পণুপক্ষিহেতৰে ৷ 
গোবিত্রকত্যর্থমকারি লাধপি 
রী দেহিন! কচিন্নিস্তর যৎ হয় কতম্‌ ॥ 
পাশ্ী অনুতপ্ত হইয়া! বৈতরণীর তীরে নিজের আত্মাকে সম্বোধন করিয়া 
রলিতেছে__হে দেহিন্‌! আমি দান, হবন, যন্ত্র, তপ আদ্ধি কিছুই করি নাই এবং 
দেবপৃজন ও তীর্থসেব! বিধিমতে করি নাই, এন্রন্ত তোমার ভাগ্যে যাহা আছে 
তআহাই নীরবে ভোগ কর। আমি ব্রান্ধণের পুক্ষঃ করি নাই, স্কুরধুনী গন্ভার 


ণ৪ জীবের গনি । স্ঞ 


শরণ লই নাই, সাধুগণের সেব। করি নাই এবং পরোপকা'র ব্রতের দ্বারাও নিজের 
জীবনকে ধন্ঠ করি নাই, এজন্য নিজ কর্মনুসারে তোমার ভাগ্যে ষে ভোগ আছে 
তাহা ভোগ কর। আমি নির্জল দেশে মনুষ্য, পণ্ড ও পক্ষিগণের পিপাসা নিবারণের 
জন্য কুপতড়াগাদি খনন করাই নাই, এবং গোঁক্রাহ্গণ পালনের জন্য অর্থদানও 
করি নাই, অতএব হে দেহিন্! মন্দভাগ্যের যাতনা-ভোগ নীরবে সহা কর? 
কোন পাঁপিনী স্ত্রী অন্কৃতপ্ত হইয়া ছুঃংখ করিতেছে যথা -- 
ভর্তর্মরা নৈব কৃতং হিতং বচঃ 
পতিব্রতং নৈব কদাপি পালিতম্‌। 
ম গোঁরবং বাপি কতং গুরূচিতং 
দেহিন্‌! কচিন্লিস্তর যত তয়! কৃতম্‌ ॥ 
ন ধর্সাবুদ্ধা। পতিরেব সেবিতো ্‌ 
বহিপ্রবেশো ন কতো মৃতে পতৌ। 
বৈধব্যমাসাগ্থ তপো! ন সেবিতং 
দেহিন্! কচিনিস্তর যৎ ত্বয়া কৃতম্। 
আমি কখনও পতি দেবতীর প্রিয় ও হিতকারী বাকা বলি নাই, পাতিত্রত্ 
ধর্ম কখনও পালন করি নাই, তাহার প্রতি গুরুর মত গৌরব প্রদর্শন করি নাই, 
এঞ্ঠ্য হে দেহিন্! ম্বকৃত কর্মফল কোনরূপে ভোগ করিয়া নিস্তার পাঁও। 
আমি ধর্ণাবুদ্ধিতে পতিসেবা করি নাই, মৃতপতির সঙ্গে জ্বলন্ত চিতীয় আরোহণ 
করি নাই, বৈধব্যাবস্থায় তপোধর্শেরও অবলম্বন করি নাই, এজন্য হে দেহিন্‌ ! 
নিজকৃত কুকর্মের ফলভোগ কর। এইরূপে মন্দকর্ম্বের ফলে স্ত্রীপুরুষ উভয়কেই 
মৃত্যুর পর উপর কথিত নরকছূঃখ ভোগ করিতে হয়। ইহাই নরকাদি লোক 
প্রাপ্তির গুঢ় তত্ব। | 
পূর্ব যে সুখময় শুক্লগতি, আত্মজ্ঞানময় সহজগতি এবং সুখছুঃখময় কৃষ্গতির! 
কথা বর্ণিত হইয়াছে উহা ব্যতীত এক অসাধারণ গতি আছে তাহার নাম এঁশী 
গতি। উহার মহিত মৃত্যুলোকস্থ জীবের কোন সাক্ষাৎ সম্বন্ধ নাইজী ইন্দ্র, বন্ধ, 
রুদ্র আদি দেবতাগণ নিজ নিজ কর্মের যোগ্যতা দেখাইলে এবং আধ্যাত্মিক 
উদ্নতিলাভে সমর্থ হইসে, অস্তে ব্রহ্মা, বিষ বা মহেশ পদ লাভ করিয়া থাকেন। 
সগানুসারে এই ব্রিমুর্তির কোন পদে পৌঁছিলে তাহারা আর দেবতা থাকেন না। 
গুহার! সপ ত্রহ্ধপদ প্রাপ্ত হইয়! ঈশ্বরদ্বে প্রতিঠিত হন এবং যে কর্শের বেগে 


জন্মাস্তর-ততব। ১ 


কাহার! ব্রঙ্ধাপ্ডের স্ৃষ্টিস্থিতি প্রলয়ের অধিনায়ক হইয়াছেন তাহার অবসান হইলে 
্বস্বরূপে বিলীন হইয়া যান। এজন্ঠ শাস্ত্রে ত্রিমৃদ্ধিকে জীব বলা হয় না। তাহীরা 
সপ্ত ব্রদ্ধস্ব্ূপ। যে গতির দ্বারা উন্নত দেবতাগণ এই ত্রিমুত্তি পদ প্রাপ্ত হন 
ত'হ!কে এশী গতি বলে। 

হুস্মলোকবাসী জীবগণকে দেখত! বল! হয়। উহারা অনান্ুষিক দৈবীশক্তি 
সম্পন্ন এবং এজন্ত মনতুষ্যের নমস্ত । দেবতা! তিন শ্রেণীতে বিভক্ত যথ! পিতৃগণ, 
, গ্কাবিগণ এবং দেব্গণ। অন্ুরগণও এক শ্রেণীর দেবতা । কর্মান্ুনারে দেবান্ুর 
সংগ্রামে কখন দেবতাদের জয় হয় এবং কখন অস্ুরদের জয় হয়। খধি, দেবতা 
এবং পিতৃগণ যথাক্রমে জ্ঞানরাজ্য, কর্মরাজ্য এবং স্থলরাজ্যের সধশলক। স্থুল 
মৃত্যুলোক এই তিন শ্রেণীর দেবতার দ্বারা মুরক্ষিত। দেবতাদের রাজা আছেন, 
অন্থরদের রাজ! আছেন এবং নরক, প্রেতলৌক আদিরও রাজা! আছেন। পিতৃ 
নামধারী দেবতাদের বাস কেবল পিতলৌকে । অস্ুরদের বাস সপ অধোলোকে । 
দেবতাদের বাস সপ্ত উর্ধলোকে । এবং খধিদের বাস চতুর্দশ ভবনের মধ্যেই 

হইয়া থাকে । |] 
এইরূপে স্বর্গ, নরক অথবা প্রেতযোনিতে বর্খক্ষয়ানস্তর জীব পিতার শুক্রকে 
আশ্রয় করিয়া নিয়মিত কালে মাতার গরভমধ্যে প্রবেশ করে 

যথা ভাগবতে 
কর্মণা দৈবনেত্রেণ জন্তর্দেহোপপত্তরে | 
স্্িয়াঃ প্রবিষ্ট উদরং পুংসো রেতঃকণাশ্রয়ঃ ॥ 

জীব দেবতাদিগের দ্বারা সঞ্চালিত প্রারন্ধ কর্খান্থসারে নবীন দেহপ্রাপ্তির জন্ত 
পুরুষের রেত:কণাকে আশ্রয় করতঃ স্ত্রীর গর্ভে প্রবিষ্ট হয়। যেরূপ কোন বক্ষে 
আরোহণ করিবার সময় মনুষ্ের মধ্যে জ্ঞান থাকিলেও কদীচিৎ যদদি বৃক্ষ হইতে 
সে পড়িয়া যায় তবে হতজ্জীনের মতই পতন হইয়! থাকে, পৃথিবী নিজ মাধ্যাকর্ষণ 
শক্তিবলে বৃক্ষীত মনুষ্যকে টানিয়া লয়, ঠিক সেইগ্রকার ুস্্রশরীরে, অথব! 
আতিবাহিকদেষ্ট্‌ স্বর্গনরকাদি ভোগেব সময় জীবের নিজ নিজ কর্খের জ্ঞান 
খাঁকিলেও মাতৃগর্ভে আকৃষ্ট হইবার সময় সে হতচেতন জীবের মত বিবশ হইয়া 
আকুষ্ট হইয়। থাকে । এই অচেতন অবস্থায় জীবকে যতদিন না গর্ডের মধ্যে 
তাহার সমস্ত অবয়ব পরিপুষ্ট হয় ততদ্দিন নিবাস করিতে হয়। ছয়মাস পর্যযস্ত 
এইভাবে থাকার পর সপ্তম মাসে গর্ভস্থ জণ পুর্ণারয়ব হইলে পর ভবে জীব্জে 


গর্ভবাস ছুঃখ। 


৭২ ' জীবের গতি। 


অতীত ও ভবিষাৎফালীন সমস্ত ঘটনা স্থৃতিপথে উদ্দিত হইয়া থাকে । গর্ভমধ্যে 
অলসপ্রত্যঙ্গ কিরূপে ধীরে ধীরে পরিপুষ্টি লাভ করে তদ্ধিষয়ে গর্ভোপনিষদ এবং 
ভাগবতে প্রমাধ পাওয়া যায় যথা-- 

কললং ত্েকরাত্রেণ পঞ্চরাত্রেণ বুদ্বুদম্‌। 

দশীছেন তু কর্কন্ধুঃ পেশ্তণ্ডং বা ততঃ পরম্‌ ॥ 

মাসেন তু শিরো দ্বাভ্যাং বাহ্রঙ স্র্যান্কঙ্গবিগ্রহঃ | 

নখলোমাস্থিন্্ীণি লিঙ্গচ্ছিদ্রোত্তবন্ত্রিভিঃ | 

চতুভির্ধাতবঃ সপ্ত পঞ্চভিঃ ক্ষুতৃড়ুদ্ভবঃ | 

ষড় ভির্জরায়ুণা বীতঃ কুক্ষো ভ্রাম্যতি দক্ষিণে ॥ 

মাতুর্জগ্বান্নপানাগ্ৈরেধদ্ধাতৃরসম্মতে | 

শেতে বিন্মৃত্রয়ো্গর্তে স জন্তর্জন্তসম্ভবে ॥ 

কমিভিঃ ক্ষতসর্ধবাঙ্গ: সৌকুমার্ধাৎ প্রতিক্ষণম্‌। 

মুচ্ছামাপ্পোত্যুকক্রেশস্তত্রতোঃ ক্ষুধিতৈমুদিঃ ॥ 

কটুতীক্ষোঞ্চলবণক্ষারাম্নীদিভিরুন্বণৈঃ । 

মাতৃভূক্তৈরুপন্পৃষ্টঃ সর্বাঙ্গোখিতবেদনঃ ॥ 

উন্েন সংবৃতস্তশ্িন্সতৈশচ বহিরাবৃতঃ | 

আস্তে কৃত্বা শিরঃ কুক্ষৌ ভুগ্নপৃষ্ঠশিরোধবঃ ॥ 

'অকল্পঃ স্বাঙ্গচেষ্টায়াং শকুস্ত ইব পঞ্জরে । 

তত্র লন্বস্থতির্দৈবাৎ কর্ম জন্মশতোদ্ভবম্‌ ॥ 

শ্ররন্‌ দীর্ঘমনুচ্ছ সং শর্ট কিং নাম বিন্দতে। 

আরভ্য সপ্তমান্‌ মাসাংল্লববোধোহপি বেপিতঃ ॥ 

নৈকত্রান্তে সৃতিবাতৈধিষ্ঠাভূরি সোদরঃ ॥ 

একরান্ত্িতে শুক্র ও শোণিত মিশ্রিত হয়, পাঁচ রাত্রিতে মিশ্রিত রজোবীধ্য 

বর্ত,লাকার হইয়া বায়। দশ দিনের মধ্যে এই বর্ত'ল বদরী ফলের মত কঠিন হইয়া 
ায়। তদদন্তর পেশি অর্থাৎ মাংসপিপ্ডের মত পদার্থ হইয়া যায়।* এক মাসের 
যধ্যে মস্তক ও হস্তপদাদির পৃথক পৃথক বিভাগ হইয়া! উৎপত্তি হইয়া যায়। তিন 
মাঁসের মধ নখ, লোম, অস্থি, চর্ম, লিজ এবং লিঙ্গচ্ছিদ্রের বিকাশ হয়। চতুর্থ 
বাসে সপ্তধাডু এবং পঞ্চম মাসে ক্ষুধাতৃষ্ণার উদয় হয় । ফট মাসে জন্াযুর দ্বারা 
আরহৃত হইঙ্া গর্ভস্থ খ্রি মাতার দক্দিণ কুক্ষিতে ভ্রদণ করিতে থাকে। 


রঃ জন্মা স্ব-তরবব ৷ গও 


মাতৃভুক্ত অন্ন-পানাির দ্বারা উহার ধাতু পুষ্ট হইতে থাকে । ঝিষ্ঠামুত্রপূর্ণ 
জীষের উৎপতি স্থান গর্ভরূপ গর্ভে অনিচ্ছাসন্বেও জীবকে এইরূপে পড়িয়া থাকিতে 
হয়। উহার কোমল শরীর তত্রত্য ক্ষুধাক্ষাম কমিকীটাদির দ্বার! পুনঃ পুনঃ দষ্ট হয়। 
ইহাতে গর্ভস্থ শিশু কণ্ঠ পাইয়। ক্ষণে ক্ষণে মুচ্ছিত হইতে থাকে । মাতৃভক্ষিত কটু, 
তীক্ষ, উষ্ণ, লবণ, ক্ষার ও অয় আদি রসযুক্ত পদার্থের সংযোগে তাহার সর্বাঙ্গে 
বেদনার উৎপত্তি হইয়া! থাকে । জীব গর্ভচ্্ন এবং অস্ত্র সমূহের দ্বারা চতুদ্দিকে 
বেষ্টিক্চ হইয়! কুক্ষিদেশে মস্তক রাখিয়া অতিকষ্টে পিঞ্জরাবদ্ধ পক্ষীর ন্যায় গর্ভপিঞ্জরে 
নিবাস করে। ন্বল্প-পরিমিত গর্ভাশয়ে তাহার সচ্ছন্দে হ্তপদ সঞ্চালনেরও 
উপায় থাকে না । এই সময়ে দৈববশে পূর্ববকর্ম্ের স্থৃতি জীবের হৃদয়ে জাগিয়া 
উঠে। তথন মে অনেক জন্মের মন্দকন্্ম শ্ররণ করিয়া ব্যথিত ও অশাস্তচিত্ত 
হইয়। পড়ে । সপ্তমমাসে লন্ধজ্ঞান হওয়া সত্বেও গর্ভস্থ কৃমির মত প্রসববাসু 
প্রকম্পিত হ্ইয়! জীব স্থান হইতে স্থানান্তরে চালিত হয়। এইরূপ ভীষণ ক্লেশের 
মধ্যে থাকিয়া জীবের পুর্বজন্মের সকল কথ। মনে পড়ে যথা গর্ভোপনিষদে-_ 
পৃর্বজীতিং ম্মরতি, গুভাশুভং কর্ম বিন্দতি। রী 
পূর্বজন্মে কোথায় নিবাস ছিল, কোন্‌ কোন্‌ শুভাশুভ কর্মের ফলে কোথা 
কিরূপ গর্ভে জন্ম হইয়াছে এবং ভবিষ্যতে কিরূপ সুখছুঃখার্দি ভোগ করিতে 
হইবে এ সকল স্থৃতিই জীবের অন্তঃকরণে জাগরুক হয়। এই অবস্থায় বিষয়ী 
জীব গর্ভের মধ্যে বড়ই অনুতাপ করিয়া থাকে । যদি পূর্ববজন্ম উত্তম হওয়া! সত্বেও 
কুসঙ্গীদি বশে তাহার দ্বারা পাপাচরণ হইয়া! থাকে এবং সেই পাপের ফলে তাহাকে 
পাঁপময় কুগর্ভে আসিতে হইয়। থাকে তবে গর্ভস্থ জীবের অন্ুতাপের আর সীমা 
থাকে না॥ “অহো! কি ভীষণ পাপের ফলে ছুরতায় কর্্মশ্রোতে প্রবাহিত 
হুইয়৷ পরাধীনের মত আমাকে এই প্রত্যক্ষ রৌরবরূপ গর্ভে আসিতে হইল! 
আমি পূর্বজন্মে ব্রাহ্মণ ছিলাম, কিন্ত ব্রাহ্মণের মত আচরণ ন! করিয়। কুসঙ্গবশে 
অনেক পাঁপাচরণ করিয়াছিলাম। এবং'সেই সকল পাপের ফলেই আমাকে এই 
চগ্ডালিনীর গর্ভে আসিতে হইয়াছে । এই নীচজাতীরা। স্ত্রী কদধ্য তামসিক অন্ন 
ভক্ষণ করিতেছে, ইহার ভুক্ত অন্ন দ্বারা আমার শরীর পুষ্ট হইতেছে, এজন্য এই 
জন্মে চণ্ডালযৌনি অবশ্যই আমাকে পাইতে হইবে এবং তামসিক অন্লের দ্বার! 
তামপিক মতি হইয়। আমার অধিকতর পাপাচারে প্রবৃত্তি হইবে, যাহার ফলে 
আগামী জন্মে আমাকে পণুযোনি অবশ্ঠই প্রাপ্ত হইতে হইচুব। হায়! যৌবনের 
১৩ 


৭৪ জীবেব গতি 1 


মনে উত্প্ত হইয়! শীস্করোপদেশের অবমাননা করত আমি কতই প্রামাদ করিয়াছি, 
পাপপুপ্যের বিচার নাঁ করিয়া কত নরহত্যা৷ করিয়াছি, এই সকল হত্যাপাপের 
ফলে আমাকে নানারোগাক্তান্ত এবং জল্লাধু হইডে হইবে | খাহারদিগকে গত 
অঞ্জে হত্যা! করিয়াছি তাহার! কতান্তের মত এই জন্মে আগাকেও যন্ত্রণা দিয়া 
বধ করিবে। কামোম্মাদদে কতই জ্রণহত্যা, শিশ্ুহত্যা করিয়াছি এজন্ত গর্ভের 
মধ্যেই “অথবা গর্ভ হইতে নিষ্কান্ত হওয়া মাত্র আমার প্রাণ যাইবে। আমার 
গতিব্রতা স্ত্রীর অবমানন! করিয়া পরস্ত্রীতে আসক্ত হইয়াছি, এই পাপে স্বামি 
ধবাম্পত্য প্রেম চাত হইয়া! অনেক কষ্ট পাইব, আমাক সংদার শ্বশান হইবে, স্ত্রী 
পিশাচিনীর মত প্র শ্মশানে আমাকে ছংখ দিয়া নৃত্য কর্িবে। লক্ষ লক্ষ টাক৷ 
আমার নিকট থাকিলেও সংকাধ্যে ও সংপাত্রে ব্যয় করি নাই, বৃভুক্ষুকে অন্ন 
দিই নাই, পিপাসার্তকে জল দিই নাই, দরিদ্রের করণ রোদন আমার পাষাণ 
হৃদয়কে বিগলিত করিতে সমর্থ হয় নাই, আমি সমস্ত সম্পন্ভি ব্যভিচার, ব্যসন ও 
মস্থপানে নষ্ট করিয়াছি, এই সকল কুকর্ম্ের ফলে এজন্মে আমীর ভিখারীর ঘরে 
উৎপন হইয়া হা অর, হা অল্প, করিয়া ছুর্ভিক্ষের করাল কবলে কবলিত হইতে 
হইবে । শরীর থাকিতে এ সকল বিষয়ে আঁমার জান ছিল না। এখন নিজের 
চক্ষের সমক্ষে সমস্ত ঘটন। সত্যরূপে প্রতিভাত হইতেছে 1” এইরূপে গর্ভস্থ জীব 
পুর্ব কর্ম স্মরণ করত অন্ৃতাপানলে দগ্ধ হইতে থাকে এবং নিরুপায় হইয়| 
দীনপরণ মধুহ্দনের চরণকমলে বন্ধাজলি হইয়া! প্রার্থনা করে। যথা ভাগবতে-_ 
নাথমান খবির্ভীতঃ সপ্তবপ্রিং কৃতাঞ্জলি; 
স্তবীত তং বির্লুবয়া ঘাচ। যেনোদরেহপিতিঃ ॥ 

গর্ভহঃখসন্তপ্ত, পুনগর্ভবানভীত, সপ্তধাতুরূপ সপ্তবন্ধনবন্ধ জীব কৃতাজলি হইয়া 
খিনি তাহাকে গর্ভবাসছঃখ দিয়াছেল সেই ভগবানের নিকট প্রার্থনা করে, বখ! 
পার্ডোপনিষদে-_ 
পূর্বযোনিসহস্রাপি পৃষ্টা টব ততে৷ ময় । 
আহারা বিবিধা তুক্তাঃ পীতা নানাবিধাঁঃ স্তনাঃ ॥ 
জাতশ্চৈব মৃতশ্চৈব জন্ম চৈধ পুনঃ পুনঃ । 
যস্থর! পরিজনন্তার্থে কতং কর্ম শুভাণ্তভম্। 
একাকী তেন দহেহ্হং গতান্তে কলভোগিনঃ। 
রা 'অহো।হঃখোদধো মগ্স ন পণ্তামি প্রতিক্রিয়াম । শ্ 


১৯০৮ 


জঙ্গাস্তর-তখ। ৫. 


বদি যোল্তাঃ প্রসুচ্যেইছং তং প্রপছ্ধে। বহেঙ্রম্‌ 1 
অগুক্ষরকর্ডারং ফলমুততিপ্রদণায়কম্‌ ॥ 
যদি বোস্াঃ প্রসচোহহং তং প্রপঞ্ছে নারাযণম। 
' অগুতক্ষরকর্তারং ফলমুকিপ্রদারকম্‌ ॥ 
যদি যোল্তাঃ 'প্রসযুচোহহং তৎ সাংখাযোগষভ্লে । 
অগুতক্ষরকর্ভারং ফলমুক্তি গ্রদার়কম্‌ ॥ 
4 বদি যোঙ্বাঃ প্রসুচোহহং ধ্যাকে ব্রহ্ম সনাতনম্‌ ॥ 
আমার ইতিপূর্বে সহম্র সহস্র জন্ম হইয়াছে, কতপ্রকার আহার এবং কত 
মাতার জ্নপান করিয়াছি। কতবার জন্গিয়াছি, মরিক্কাছি, আবার জন্মগ্রহণ 
করিয়াছি। যে সকল পরিজনের জন্ত গুভাশুতের অনুষ্ঠান করিয়াছি, তাহার! 
কেহই আমার সঙ্গে আসে নাই, সফল বার্দের ভার আমার উপরেই পড়িয়াছে। 
আমি একাকীই কর্মকলে ছুঃখানলে দগ্ধ হইতেছি। অহোঁ! আমার ছঃখসাগরের 
অস্ত নাই, উদ্ধায়ের কোন উপায়ও দেখিতেছি নাঁ। হে মহেস্বর! এবার গর্ভ 
হইতে নিঙ্ছপত্ত হইলে জার তোমাকে ভূলিব না, তোমারই রাতুল চরণের শরণ 
লইয়! ছরিতক্ষয় ও মোক্ষোদয়ের জন্য যত্র করিব। হে নারায়ণ! এবার আমান 
গভছ্হখ হইতে ত্রাণ কর। তাহা হইলে আর বিষয়মদে মত্ত হইরা তোমায় 
তুলিব না। তোমারই টরণ সরোরুহে মনোতৃঙ্গকে নিশিদিন নিসপ্প রাখিব । 
তুমিই আমার অগুতঙ্ন্পূর্বহক সুক্তিফল দান করিবে । এবার গর্ভর্রেশসুক্ত হইয়া 
অবন্ঠই ব্রহ্গধ্যান এবং জান যোগের আশ্রয় গ্রহণ করিব। ইহাতে পাপনাশ এবং 
নিঃশ্রের়স পদের উদ্দয় হুইবে। শ্রীমদ্ভাগবতে গর্ভস্থ জীরের হঃথ ও প্রার্থনা 
সম্বন্ধে বিশেষ বর্ন আছে বথা__ 
তন্তোপসন্গমবিতুং জগদিচ্ছয়ার্ত- 
নানাতনোভূণৰি চলচ্চরণারবিন্দম্‌। 
সোহহং ব্রঞঙ্জামি শরণং হাকুতোভয়ং মে 
যেনেদুশী গতিরদশ্যসতোহইমুরূপা ॥ 
দেহ্ন্তদেহবিবরে জঠরাক্মিনাশ্থগ.- 
_. বিন্মৃত্রকূপপতিতো। ভৃশতগ্তদেহঃ | 
 ইচ্ছন্সিতে। বিবসিতুং গণয়ন্‌ ্বমাসান ) 
নির্ব]স্ততে কুপণধীর্ভগবন্‌ কদ। 2॥ 


ণ৬ জীবের গন্ডি। 


তক্মাদিছং বিগতবিক্লব উদ্ধরিযো- নু 
আত্মানমাণ্ড তমস; সুহৃঘাত্বনৈব । 
ভূক্গে যথ। ব্যসনমেতদনেকরন্ধ,ং. 
মা মে ভবিষাহুপসা দিতবিষুপাদঃ ॥ 
হে ভগবন্‌! নিরাশ্রয় ভোগমুগ্ধ জগজ্জনের প্রতি কৃপা করিয়া তাহাদের 
উদ্ধারের নিমিত্ত যুগে যুগে তুমি অবতার ধারণ করিয়। থাক। আমি নিজের 
মন্দকর্দ্দের ফলে দুঃসহ গর্ভবাসহ্‌ঃখে মগ্ন হইয়া অনন্তশরণ তোমার শরণ লইতেছি। 
'আমায় উদ্ধার কর। রক্তবিষ্টামুত্রপরিপূর্ণ এই গর্ভগর্তভে নিপতিত হইয়া কৰে এই 
দুঃখের আগার হইতে নিস্তার লা করিতে পারি সেই আশায় দিন গণিতেছি। 
এবার এই কারাগার হইতে মুক্ত হইতে পারিলে আর সংসারজালে বন্ধ হইব না, 
আত্মার দ্বারা অবশ্তই আক্বীর উদ্ধার করিব এবং ব্রহ্মপদলাভ করিয়া জননমরণ 
চক্র হুইতে নিস্তারলাভ করিব। এইরূপে প্রার্থনা করিতে করিতে যখন দশমাস 
পূর্ণ হয়এতথনই জীব গন্ত হইতে নিম্ণন্ত হইয়। পড়ে, বথ| ভাগবতে__ 
এবং কৃতমতিগর্তে দশমান্তঃ স্তবন,ধিঃ | 
সগ্ঃ ক্ষিপত্যবাতীনং প্রন্চতো কতিম।ক তঃ ॥ 
তেনাবকঞ্টঃ সস! কৃত্বা বাকশিরআতুরঃ | 
বিনিজ্রপমতি রুচ্ছেণ নিরুচ্ছীসো হতন্তৃতিঃ ॥ 
পতিতো ভূব্যস্থউ.মিশ্রো বিষ্ঠাভূরিব চেষ্টতে | 
রোরয়তি গতে জ্ঞানে বিপরীতাং গতিং গঃ ॥ 
এইরূপে প্রসবের পুর্ব পর্যন্ত গর্তে থাঁকিয়া শ্রীগবানের নিকট প্রীর্থন৷ 
করিতে করিতে একদিন হঠাৎ প্রসব বারু প্রবল হইয়। গর্ভস্থ শিশুকে চালিত 
করত উর্দপদ নিয়নুখ করিয়া দেয় এবং এ বায়ুর পীড়নে শিশু এ প্রকারেই 
উদ্ধপদ নিশ্নমুখে গর্ত হইতে বহিগত হয়। দে সময় যোনিযস্ত্রের দ্বারা অত্যন্ত 
নিশ্পেষিত ভুইয়া ভীষণ ক্লেশের সহিত তাস্ঠাকে বাহির হইতে হয় । এই ক্রেশে সে 
হতশ্বতি হইয়া মায়। রক্রাক্ত কলেবর জীব ভূমিতে পতিত হইয়া বিষাকমির মত 
নড়িতে থাকে এবং গর্ভের সমস্ত জ্ঞান বিস্মৃত হইয়া এইগ্রাকার বিপরীত গতি প্রাপ্ত 
₹ওয়ার দরুণ বিকলাস্তঃকরণ হইস। বোদন করিতে থাকে । যথা গর্ভোপনিষদে--- - 
অগ যৌনিদ্বার" স্কশ্রাপ্যো য্েণাপীঢামানো মহতা দুঃণেন জীতমাত্বস্ত নৈষ্ঃবেন 
বাযুনা সংস্থটম্তদ। ন শ্বাবতি জন্মদরণানণি ন চ কশ্ শুভীশুভঃ বিন্মৃতি । 


জল্লাস্তর-তত্ব। সব 


* প্রসববায়ু দ্বারা সঞ্চালিত হইয়1*যোনিত্বায়ে আসামাত্র যোসিন্ত্ের দ্বারা অতাস্ত 
গীড়নের সহিত ভূমিষ্ঠ হইয়াই জীব বৈষ্ঞবী মায়াতারা 'সংস্থষ্ট হয় এবং তাহাতেই 
জীবের গর্তের সমস্ত স্থৃতি নই হয় এবং পূর্ব্ব জন্মের ও ভবিষ্যৎ কালের সমস্ত 
বিষয় বিশ্বতির অতল জলে ডুূবিয়! যায়। সংসারে প্রায়ই দেখ] যায় যে কঠিন 
রোগ ব! অন্তপ্রকারে কঠিন ক্রেশ প্রাপ্ত হইলে মনুষ্য অতীত ঘটন৷ ভুলিয়া গিয়া 
থাকে এবং আগামী নবীন নবীন ঘটনাবলীর' নবীন সংস্কার যতই চিত্তের 
উর্পরিদেশকে আচ্ছন্ন করে ততই অতীত ঘটনাসমূহ অস্তঃকরণের গভীর তলদেশে 
প্রচ্ছন্ন হইয়া যার়। ঠিক এই কারণে গর্ভাশয় হইতে নির্গত হইযার কালীন 
দারুণ ছুঃখ এবং নবীন দৃশ্তজগতের নবীন বস্ত প্রাপ্ত হইয়া জীব গর্ভের সব কথা! 
ভূলিয়! যায়। যে মোহিনী বৈষ্ঞবী মায়া নিখিলবিশ্বকে বিমোহিত করিয়া 
রাখিয়াছে তাহার তমৌমর আবরণ গর্ভচাত হইবামাত্র জীবের অস্তঃকরণক্কে 
আবৃত করে এ্সং তাহাতেই জীব পূর্ববজদ্মের, গর্ভবাসের এবং ভবিষ্যতের কোন 
বিষয়ই শ্মরণ করিতে পারে না । কেবল যে সকল ধীর যোগী 'শ্রষবরান্ীন সন্ধির 
সময় ধৈর্যের সহিত প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করিতে পারেন; উহ্হাতে অভিভূত হইয়! 
পড়েন ন! এবং বাহাদের উপর বৈষ্ণবী মায়ার বিশেষ প্রভাব নাই, হারাই 
গর্ভের কথা ও জন্মজন্মাস্তরের কথ! মনে রাখিতে পারেন। এই সকল যোগীকে 
জাতিত্মর”ঁ বলে। এইপ্রকার মহাপুরুষ ভিন্ন সকবকেই মহামারার মোহে 
আচ্ছন্ন হইতে হয়। জীব এইরূপে মোহাচ্ছন্ন হইয়! সব ভুলিয়৷ আবার মনে 
করে যে সে নুতনই সংসারে আসিয়াছে, সবই তাহার পক্ষে. নূতন বস্ত, সবই 
তাহার ভোগের জন্য নৃতন রূপে সজ্জিত হুইয়াছে। এরূপ মনে করিয়া আবার 
সে নবরাগে চিত্তক্ষেত্রকে র্জিত করে, আবার স্ত্রীপুত্রাদির নবীন প্রেমে উন্মত্ত 
হইয়া ঘোর বিষয়সেবীর মত আচরণ করিতে আরম্ভ করে। ইহাই খহাদাযার 
অতীব গহন লীলা । 

অজ্ঞানাচ্ছন্ন জীব অবিস্তার প্রভাবে স্থখহঃখমস্ব এই আবাখমম চক্রে 
ক্রমাগত ঘুরিতে থাকে । কখনও স্বর্গে, কখনও নরকে, 
কখনও প্রেতযোনিতে ভ্রমণ করিয়া আবার যৃত্যুলোকে 
আসিরা উপস্থিত হর। কখন অনুর হইয়া আবার পতন হুর এবং রুখন দেবতা 
হইয়া আবার পতন হয়। তথাপি জীবের মোহনিতর| ভঙ্গ হয় না। ভুর্রোক 
চতুর্দশ ভূবনের এক চতুর্দশাংশ এবং এই ম্ৃতলোক তাহারও এক চতুর্থং শ। 


উপসংহার । 


রঙ 


৮. স্ীবের গতি । | 
পরলোক রহস্ত বুৰিতে হইলে প্রত্যেক ্ধা্ের গঠন প্রণালী বুঝ একাত্ম 
'লাবস্ঠক। গ্রাত্যেক রঙ্ধাও ৃকুর্দিশ ভুবনে বিভক্ত । এ চতুর্দশ ভুবনের মধ্যে 
সাতটি উর্ধলে'ক এবং সাতটি অধোলোক | 'অধোলোকসমুহের নাম যখা-_-অ তল, 
বিতল, মুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল ও.পাতাল। এই সাতটি অধোলোকে 
অন্ুরদের বাস। বঅন্থরগণ ভাহসিক। তাই এই সাতটি অনুর লোকে রাজান্ছু- 
রর পারির সারার বাটিক নর রা দিকাাদ রা রি 
পাতাল লোকে । 

বাতটি উর্ধলোকের নাম ভূলোক, ভূবলোক, শ্বর্গলোক, মহর্লোক, জনলোক, 
তপোলোক গরবং সত্যলোক ৷ এই সাতটি উর্ধলোকে দেবতাদের বাস। সপ্ত 
উর্ধলোকফের মধ্যে নকলগুলিতেই উত্তরোত্তর সবগুণের আধিক্য হওয়ার ফেবল 
স্বীয় লোক অর্থাৎ ন্বর্গলোক পর্যন্ত রাজানুশীসনের আবগ্তঠকতা থাকা 
গেহয়াজের স্লাজধানী ক্বর্গোলোকে অবস্থিত । শাস্ত্রে এরূপ বর্ণ আছে যে, 
জার নিযাবস্থায় প্রত্যেক জগ্ধাণ্ডের অধ: সাতটি লোক এবং উর্ধ তিনাটি লোক 
ঘর্থাৎ স্বর্লোক পর্থ্যত্ত নষ্ট হইয়! যায়) অর্থাৎ দশটি লোক নষ্ট হয়। বিফুয় 
বিজ্রীক্স সময় উর্ধ চতুর্থলোক পর্য্যন্ত অর্থাৎ এগারটি লোক নষ্ট হই বায়। 
কয়ে নিজ্ার সময় উর্ধ পঞ্চম লোক পর্য্যন্ত অর্থাৎ বারটি লোক নষ্ট হইয়া যায়। 
কিন্ত সন্বগ্তগে পুর্ণ তপ্বেলোকরূপী উপাসনালোক এবং জ্ঞানুমর সত্যলোক 
বন্ধা্ডের নৈমিতিক প্রলয়াবস্থাতেও লয় হয় না। উহারা কেবল ব্রক্গাণ্ডের 
মহা প্রলক়্াবস্থাক্কালীন লয়ের মহিতই লীন হইয়! থাকে | 

এই চভুর্গশ ভূবনের মধ্যে তৃুলোক আবার চারিভাগে বিভক্ত । এই চারি- 
ভাগের ত্রাছ বখা--মৃভ্যুলোক, গ্রেতলোক, নরকলোক এবং পিভুলোক | এই 
চাঁরিটি লোকের মধ্যে পিতৃলোক নুখপুর্ণ, নরক লোক ও প্রেতলোক হুঃধরুর্ণ 
এবং সৃত্যুলোক কর্শের কেব্র্রুস্থল | 

তথাপি জীব অহঙ্কাযে আচ্ছন্ন হইয়া! ভগবানকেও উপেক্ষা করে। ইহাই 
জগতে আশম্চর্যোর কারণ। ০০০০০ 
'আস্তর্ঘয ধার্থাই সঙ্গিয়াছিলেন। 

হব রহাতারতে-. 
অহন্তহনি ভূতানি গচ্ছন্তি যমমন্দিরম্‌। 
শেষ! জীবিতুমিচ্ছস্তি কিমাশ্চর্ধ্যমতঃ পরষ্‌ ॥ 


রঃ সানা ািদিবে্ষনেন। 
নীগর্ত দর্বী গরিখটটনেন 
ভতানি কাঁলঃ পচতীতি বার্থ ॥ 
শুঁতিদিন শত শত ব্যক্তি বর্ালয়ে বাইভেছে, ইহ! দেখিয়াও অবশিষ্ট লোকে 
টিনজীবর্ন লাভের ইচ্ছা করিয়া খাঁকে, এতাপেক্ষা জাশ্চর্থের বিষয় আয় ক্বি. 
আছে? মহামোহময় এই ত্রঙ্াওড কটাহে সন্ত জীথকে ফেলিয়া কাঁধ নিত্য. 
* উহছছাদিগকে পাক করিয়া খাকে। ইহাতে হুর্্যই পাঁকাগ্সি স্বরূপ, দিবা ও রাব্রি 
ইন্ধনন্বরূপ এবং মাস ও খাতু পাকদওুস্থরূগ | অধটন-ঘটনাপটায়সী মহামায়ার 
চঞ্জে ঘটযস্ত্রের মত জীব অনাদিকাল হইতে এইরূপে লক্ষ লক্ষ জন্ম-ঝান্াস্তর প্রাপ্ত 
হইতেছে । বিরাম নাই, বিশ্রাম নাই, শাস্তি নাই, নিবৃত্তি নাই, অনস্তসিদ্ধুবাহিনী . 
। ক্রোতন্বতীর মত জীবনিবহের গতি বঅনস্তেয় দিকে অবিরাম চলিরাছে। শে 
কোথায়, শাস্তি কোখার আহার প্রকৃত পথ দেখাইবার অন্ত করশাদর 
ভগবান্‌ নিজমুখে গীতাক্স বলিয়াছেন-_ 
ঈশ্বরঃ সর্বাভৃতানাং হৃন্দেশেইর্জুন ভিডি । 
। ভ্রামরন্‌ সর্বভূতানি প্্া়ানি মাহা! ॥ 
তমেব শরণং গচ্ছ সর্বতাবেন ভারত। 
তৎ প্রসাদাৎ পরাং শাস্তিং স্থানং প্রাপ্গাসি শান্ত । 
| অন্ত্যানী ভগবান্‌ সকল জীবের হৃদয়ে বিরাজমান থাকিয়া ঘায়ার সহায়তায়. 
যন্ত্রারের মত সকলকে ঘুর্ণিত করিতেছেন । এজন্ঠ সর্ব্বভোভাবে তীহারই শরণ 
গ্রহণ করা উচিত। ডাহারই প্রসাদে পরম শান্তিময় এবং নিত্যাননমর শাশ্বত 
রঙ্গপদ প্রাপ্ত হওয়া যায়। তিনি আরও বলিয়াছেন--. 
দৈবী ক্ষ! গুণষ্রী মহ মায়! দূরভ্যয। | 
1 মামেৰ যে প্রপ্তত্তে দায়ামেতাং তরন্তি তে॥ ূ 
আমার ব্রিগুণমরী দৈবীমায়! হইতে নি্তায় পারা বড়ই কঠিন। কেবল হে 
আমার শরণ লয় সেই সায়ার পাশ হইতে মুন্ধিলাভ করিতে গারে। মারাই, 
_ ব্অনস্পুত্তে সংসার নাট্ের অভিনয় রিতেছেন। আমর! এই অভিনয়ের 
ঝীড়াপুত্তলি সাজিয়া জাছি। এই ভাবেই বিভোর হ্যা জনৈক তরু 
গাহিয়াছেন-. ঃ ্ 


রঃ 
774৮ 

রর 
তি, 
« 


৮৮, উদর গাঁত। 
| 'আনীতা গর্টবনায়। তব পুর: জীতঞ্চ যা ভূমিকা, 
ব্যোমাকাশকথান্বরাদ্দিবসহন্ব্গ্রীভয়েহভ্ঞাবধি । 
প্রীতো ষস্ধাসি তাঃ লমীক্ষ্য ভগবন্‌! হন্বাহিততং দেছি সে, 
নো চে জ্রহি কর্াপি মালয় পুমর্মামীপশীং ভূমিকাম্‌ ॥ 
হে তশগব্দ্‌! নট বেসন দর্শকগণের তৃপ্তি বিধানেৰ জন্ক কত সাজে সাজিরা 
মেইরূপ সংসার রঙ্গমঞ্চে তোমার নিকট আজ পর্যাস্ত 
সিালাশ, দায়, রি, জল, পুঙ্গিবী আদির কত দৃশ্ঠাই দেখাইয়াছি। যদি তুমি এ 
সুফল শক্ষাতিলক্চ যোনির দৃশ্তাবলী দেখিরা সন্থষ্ট জইয়। থাকে তবে আমাকে 
পুরস্কার দেওয়া উচিত । আমি মোক্ষর্সপী পুবস্কারই চাই। আব বদি 
পার দৃণ্তে তোদার আনন না কইয়া থাকে, তবে আজ্ঞা দাও আব কর্বনও যেন 
ভোদায় সনুখে এপ দৃশ্ত দেখাইতে না হয়। তাহা ভইলেও আম।ব উদ্ষেন্ত সিদ্ধ 
হাইছে। এইক্সপে উভয়ভাবেই ভক্ত দীনশরণ ভগবানের নিকট ছুর্পভ মুক্তিপদ 
শ্রা্থনা করিতেছেন। আক্গুন পাঠকু! জন্মাস্তর তত্ব অবগত হইয়া আমরাও 
করুণাবরুমালয় শ্রীভগবানের চরণকমলে মুক্তি পদ্দেরই ভিক্ষীলাভ করি। তাহ 
হইলে ঝানদমরণের অমোঘ চক্র নিবারিত হইবে, হঃখেব দাবদ।হ অমৃতসিঞ্চনে 
'টিনকালের জন্ত নির্বাপিত হইবে এবং তাহার অমিক্সমীখা মধুব হরিনাম প্রাণ 
. -... গাহিভে গাহিতে তাহ্ারই অনস্তানন্দময় অনন্যধামে 'অনন্তকীলেব জন্য 
খাজা! করিতে পারি 


ও শান্তি শাস্তিঃ শান্তি: । 





শ্রীব্গধর্মমণ্ডল শাস্ত্র প্রকাশ গ্রন্থমালা | 


১। মন্ত্রযোগ সংহিতা (সংস্কৃত, বঙ্গাম্থবাদ সহ)--এই পুম্তকে 
মন্ত্রযোগ-লক্ষণ, দীক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সদ্‌গুরু-লক্ষণ, দীক্ষাবিবরণ, মন্ত্রসিদ্ধির 
উপায়, মনোবিজ্ঞান প্রভৃতি সাধনার অতিগ্রস্থ রহস্যপুর্ণ ৮* আশিটী বিষয় 
বর্ণিত আছে। সনাভন ধর্মাবলম্বী ধ্যক্তি মাত্রেরই ইহার একখানি পুস্তক 
ধন্মপত্খের সহাধকরূপে সঙ্গে রাখা কর্তব্য | মুল্য ৪ বার আন। | 

" ২। জাতীয়-মহাযজ্ঞ-সাধন-_ইহাতে চিরখৌরবান্বিত আর্্য- 
জাতীর এই অভাবনীয় অবস্থ! কিকপে হইল, বর্ধমান সময়ে আর্ধা-জাতির 
মধ্যে কি কি ব্যাধি প্রবিষ্ট হইয়াছে, কোন কোন্‌ উধধ গ্রযোগ ও সুপথ্য 
সেবন করিলে টাহাব! আবার সেই প্রাচীন উজ্জ্রলময় অবস্থায় উন্নত হইতে, 
পারিবেন ইত্যাদি বভবিধ শিক্ষাপ্রদ ও সুন্দর দেশকালোপঘোগী বিষদ্ব বর্ণিত: 
হইয়াছে । দেশ ও সমাজের উন্নতিকাষী বাক্তি মারেরই ইহ! পাঠ কর 
উচিত 1 অল্য এ* বাবর মানা । 


৩। দৈবামীমাংস। দর্শ --ইহ1 বৈদিক উপাসনাকাপ্ড সয়া 
মীমাংমাদশন। উক্ির সহজ, সর্প ও সুন্দর সিন্খান্তসমূহ নিবপেক্ষভাবে বে, 
দশন গ্রভতি শান্সের সহিত সামগ্রন্তা রাখিয়া বর্ণিত হইয়াছে । ভক্তিই, এই 
এ।স্েব প্রধান প্রতিপাদ্ধা বিষয় হইলেও সম্‌ঞ্ সম্প্রদায়ের সহিভ একটা সুনর 
সাম৪ আ 


৯ 


ছে ইচ্ছাই ইহ!র বিশেষত্ব । স্ৃত্রাং জ্ঞানপিপান, ভক্ভিপিপা্ছ 
প্রত্যেকেরই ইহ। পঠি কব কর্তব্য । ইহা খপণ্ডাকারে খ্রাকাশিস্ত হইতেছে 
প্রথন থপ খুল) ৮৮ আড আনা । ছ্িতীষ খণ্ড ফ়ুস্থ। ৫ 

৪। গুরুগীতা ( সংককত। বঙ্গানুবাদ সহ 1 ইহাতে ওরু-শিষাত 
লক্ষণ, মন্ত্র, হঠ, শষ ও বাঁজযোগের অক্ষণ, শরমাহাজ্মা। শিষ্কের কর্তব্য, 
ওরুশখের গ্রহ ভাহপধ) পথম তিতেক স্বকদ শিশীভ হইয়াছে ॥ 
মূগ। ।০ চাবি আল) | )? 

৫1 তত্ুমোধ (সস্কত) বঙ্গাগগবাদ সহ) ইহাতে সংক্ষেপে বেদান্ত 
মাবভত্থ নির্ধীত হইয়াছে । মুল্য 1০ আন। । 

৬1 সদাচার সোপান বাসকধিএিব নীতি শিক্ষ। বিষষক উগাণ 


এয পুকক । খুলা ৮ এব আনা টু 


টি 


৭1 বন্যাশিক্ষা। মোপান-_বালিকাদিগের নীতি শিক্ষা বিষয়ক: 


উপাদের পুস্তক । মুলা /* এক আন। । 


৮1 সাধন সৌপীন--এই পুস্তকে সাধকের প্রথন মবস্থায় পাল- 
নীয় কতকগুলি কর্বা রিশদরূপে লিখিত হইয়াছে | মূলা ৮%* | 





শ্রীমৎ স্বামী 'দয়ানন্দ প্রণীত ্স্থাৰলী | 


১1 পুরাণতন্-উহাছে পৃরাপসন্বস্বীয় বিদেধ লিরদ্ধ আপ্কবাদের 

বৈচ্চানিক বহস্থাপূর্ণ অপূর্ব সামপন্য, রামলীলা, কৃষ্ণচরিত্র প্রভ্‌ন্তি শৃন্দ্াতি- 
গ্ক্ম বিষয়ের গলভীর তত্ব অতি সরলভাবে বিশদীরুত করা হঈয়াছে । 
পুরাণ সগদ্ধে আধুনিক শিক্ষিত সম্প্রদায়ের দে সমস্ত সন্দেহ উপশ্িজ্্ হয 
স্বামীজী মহারাজ তাহা'র অপূর্ব বর্ণন। শক্তির সাহাযো উদার ৪ ঠনরাপেক্ষ 
ভাবে সেঁই সমস্ত সন্দেহের নিরাকরণ করিয়া সমগ্র হিন্দুজান্ির অশেষ কল্যাণ 
গাধন করিয়াছেন । 'গাষাদ্র বিশ্বাস এই পুস্তক পাগ করিলে প্রতোক হিন্দ 
সস্তানের হৃদয়ুমন্দির পুবাণের অপূর্ব প্রণাছ্্যোনিন্ছে উৎাসিহ হহীবে। 
. আল ॥৮* আন।। 
২) ধন্ম_হহা্চে ধণ্মেব বৈজ্ঞানিক নিপুচহর, দান-পর্ম গু আপ, 
'ধর্দের সময়োচিত বাবস্থা, শাঙ্্ীয় যুক্তি ৪ গ্রমাণাহসারে সনাতন ধর্ধেব নিত্যতা, 
সতাত।, সার্বভৌমিকত্ব, নির্বিবাদকত! প্রতি বিবিধ প্রযোদ্বনীয় বিষ 
' সমালোচিত হউগাছে | যুলা 1৮০ আনা । 


৩। ' সাঁধনতত্ব--ইহাতে মুক্ধিপৃচ্ছার বৈজ্ঞানিক পিদ্ধা্। ভুরি 
' প্রতিমার রূপের ব্যাখ্যা এবং মন্্রশান্ অনসায়ে সাধনার মচজ স্গমোপাষ দেখ, 
“কাল, পার বিবেচন। করিয়া বর্ণন করা হইয়[ছে । মূলা দ* ান। | 

৪। জন্মান্তরতন্ত্র--নাচম রিয়া কি হয় । এই বহক্ঞপর্ন কেডহলো- 
দীপক বিষয় শান, বুকে এ বিজ্ঞানাতসারে বর্ণিত হইয়াছে । খুলা ৮৮ | 
৫1 সদাচার শিক্ষ1-কোমলমন্টি বালকগণের ধশাশিক্ষার উপ- 
সেিকাণে এঠ গক অ্ডি সরল ভাষায় লিখিস্ত হইয়াছে । মুলা 1৮৭ ছানা । 


প্ 


| | ) এ রা শা ই 


-.৬1। আর্ধ্যজাতি-ইহাতে আধ্জাতির লক্ষণ, আদি নিবাসস্থান, 
নিয়, হিন্দুশবের শ্রেষ্ঠতা, আর্যোর সর্ববাঙ্গীণ পূর্ণতা, অনার্য হইতে বিশেষত 
প্রভৃতি নিষস্ন সমালোচিত হইয়াছে । মূল্য ॥* বার আনা। 

৭। নারীধর্মী- ইহাতে নারীধর্ম-বিজ্ঞান, পুরুষ-ধর্শী হইতে উহার 
বিশেষত্ব, পাতিব্রতোর চতুর্কিস স্বরূপ, স্বীশিক্ষা, বিবাহকাল নিরূপণ, লজ্জা, 
শীলত্] ও অবপ্ত&ন প্রথার সহিত পাতিব্রত্যের সম্বন্ধ এবং বিধরাঁবিবা 
নিরসন প্রভৃতি নারীধন্্ সম্বন্ধীয যাবতীয় জ্ঞাতব্য বিষয় বর্ণিত হইয়াছে । 
মল্য ১৯ টাকা 11 
_. এভদভিরিক্ত প্রার ৬* থানি বুক্তিপ্রমাণসন্বলিত উপদেশপূর্ণ শাস্ত্রীয় গ্রস্থরতধ 
কুমশঃ প্রকাশিত £ইবে | যাহার! শ্রীবঙ্গধর্শমগ্ুলের মেম্বর হইবেন তীহার। 
সাপারণ শপেক্ষ। অল্পমুলো পাইবেন ! 


শ্বীমৎ স্বামী স্চিদানন্দ সরন্বতী প্রণীত-_ 


সাধন ব্ষিয়ক গ্রন্থাবলী | 





১। সাধন প্রদীগ 2 রঃ ,.. মুল ঘ* শ্পানা। 
»। গ্রুপ্রদীপ ক '** মূলা ১৭ আনা 
৩1 আ্ানপ্রদপ ৪ ১ম ভাগ ,** মুলা ১* আন! 
9 | এ ২য় ভাগ (ঘন্্রহ্থ) 

৫| ঠাকুর স্দানন্দ (মানার দীবন চরিত( ,,* মুলা ॥* আনা। 
৬। চিন কাশীধাম রি *** আলা ১1৭ আনা। 
৭ সঞ্ধ্যারহ্ত রঃ শি ** মুলা 1/* আন।। 


সাধনার অতি ছুজের তব গরুর নিক ভি যাহা জানিবার উপায় নাই 
তাহার” অনেক আভাস এই সমস্ত গ্রন্থে প্রদন্ত হইয়াছে । 
| প্রাপ্রিস্কান__ 
শহবীগেপালচন্দ্র বেদাস্তশাস্ত্ী, 
পাক -সশান প্রকাশ কাধ্যালয়, 


শ্রীবজধর্দ্বমণ্ডল$ ৯২নং বহুবাজার সীট, 
ঙ 
কলিকাভ । 


851 5. . 
ভক্তগণের অপুর্ব রত্ব। 

আমরা বহু ভক্ত ও শিপ্কের সাতিশয় অবরোধে ও আগ্রছে শ্রীমৎ কেশবা- 
নন্দ, জ্ঞানানন্দ, সচ্চিদানন্দ, দয়ানন্দ ও বিবেকানন্দ স্বামী মহারার্জদিগের 
মুল ফটে! চিত্র সর্ববদ। বিক্রয্ার্থ প্রস্ত রাখি । এই সমস্ত চিত্র বছু চেষ্টা ও 
সাধনায় আমরাই সাধারণের সমক্ষে প্রকাশিত করিবার অনুমতি পাইয়াছি। 
'প্রত্যেকখানি ফটোর মূলা ডাক মাশুল সমেত ১1* দেড় টাকা । ইহ ছাড় 
উপরোক্ত ঘে কোন চিত্র এনলার্জ করিয়া স্বন্দর ভাবে অয়েল কলারে চিত্রিত 
করিয়া দেওয়া হয়। প্লগরূপ চিত্রের ১২৯১৭ সাইভ্রের ম্লা ২*২ টাকা ও 
১৫৮১২ মূল্য ২৫২ টাকা । 


ক্ন্যানা মনথাকজ্সাগণের চিত্রের ছ্ধন্য পত্র লিখিয়। জাঙ্চুন । 
রর প্রাপ্তিস্থান-_ 


ইগ্ডিয়ান আর্ট ক্কল। 
৯২ন্ং বহুবান্জার ধ্বাট, কলিকাত।। 


1175 01105 15661051 €6112101, 


£ 971000৬০৮15 017 13170015810) 01255915109 001115177108 
24 608130575 91015 0085919ম2 11105175060775) 01995270560 0, ৫০৪1, 
1055100005769 21019051608) 15172115)) 791 01৮৩9 17 ৪ 90023115 
1008117757 0)6 1621 90051610177 01 (15 1117)00161158017 হা) 21] 16 
01555652715 0০9 155 2০6০৮) ৪.)0091160 1718 1070-011 | ৮7218 


2195 01105815 0621] 16511510103 17) 035 5০110 11] 70109 0. 
2১০11811606 1011715 17050708000 21৮5, ৮1155 01001901810 
58161101701810 79, 5. 0191081% 1:0101018 হন, 3, 7005522 
5৮02, 10215 €0 075 11505557589015 10596, 015159478817051 
13908108759, 155585817]) 80121690815 ঃ 





০৮৩৪: 8১2220ৎ8 ই 
ভি হু হ১ হঞ তাহ এ হি 590850১০) 8,052 ৮ লহ ১৩